পদ্মা সেতু বিষয়ে বিশ্ব ব্যাংকের বিবৃতি সেপ্টেম্বর ২১, ২০১২ (ঢাকা সময়) ওয়াশিংটন, বিশ্ব ব্যাংক গত ২৯ জুন, ২০১২ তারিখে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের জন্য ১.২ বিলিয়য়ন ডলারের আইডিএ ঋণ বাতিলের ঘোষণা দিয়েছিল। এর আগে বিশ্ব ব্যাংকের ইনভেষ্টিগেটিভ ইউনিট পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ বাংলাদেশ সরকারের কাছে পেশ করেছিলো এবং এই প্রকল্পে সংশ্লিষ্ট থাকার উদ্দেশে বিশ্ব ব্যাংক, সরকারের উদ্যোগে বাস্তবায়নে জন্য কয়েকটি সুস্পষ্ট ও সুর্নিদিষ্ট পদক্ষেপ চিহ্নিত করেছিল যা বাংলাদেশ সরকার পূরণ করতে পারেননি। এসব বিষয়ের মধ্যে রয়েছে: -
(ক) যেসকল সরকারী কর্মকর্তা ও সরকারী ব্যক্তিবর্গের (আমলা ও রাজনৈতিকভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত) বিরূদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সরকারী দায়িত্ব থেকে তাদের ছুটি প্রদান;
(খ) এই অভিযোগ তদন্তের জন্য বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনে একটি বিশেষ তদন্ত দল নিয়োগ;
(গ) আন্তর্জাতিকভাবে ¯^ীকৃত বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত বিশ্ব ব্যাংকের নিয়োগকৃত একটি প্যানেলের কাছে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সকল তথ্যের পূর্ণ ও পর্যাপ্ত প্রবেশাধিকারে সরকারের সম্মতি প্রদান যাতে এই প্যানেল তদন্তের অগ্রগতি, ব্যাপকতা ও সুষ্ঠুতার ব্যাপারে উন্নয়ন সহযোগীদের নির্দেশনা দিতে পারে। এবং;
(ঘ) বিকল্প বাস্তবায়ন ব্যবস্থার বিষয়ে একমত হওয়া যাতে বিশ্ব ব্যাংক ও সহযোগী দাতারা প্রকল্পের ক্রয় কর্মকান্ড আরো নিবিঢ় ভাবে পর্যবেক্ষনের সুযোগ পায় ।
ঋণ বাতিলের পর, বাংলাদেশ সরকার উপরোল্লিখিত পদক্ষেপসমুহ পূরনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেছে। বাংলাদেশ সরকার দূর্নীতির যে প্রমান বিশ্ব ব্যাংক চিহ্নিত করেছে তার বিরূদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে। বিশ্ব ব্যাংক মনে করে যে, প্রকল্পে দুর্নীতির সাথে জড়িত বলে সন্দেভাজন সকল সরকারি ব্যক্তিবর্গকে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সরকারি দায়িত্ব থেকে ছুটি দেয়া হয়েছে এবং একটি অবাধ ও সুষ্ঠু তদন্ত চলছে। এ সকল পদক্ষেপ গ্রহনের কথা জানানোর সময় বাংলাদেশ সরকার বিশ্ব ব্যাংকেকে পদ্মা বহুমুখী সেতুতে অর্থায়নের বিষয়টি পুর্নবিবেচনার অনুরোধ করে। সরকার নতুনভাবে বাস্তবায়নের পূর্বশর্ত হিসেবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসমুহ গ্রহনে সম্মত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ঃ সেতুর নির্মান কাজে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য প্রকল্পে নতুন ক্রয় ব্যবস্থা অধিকতর ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের সুযোগ; সুষ্ঠু, অবাধ ও দ্রুত তদন্ত কাজ চালিয়ে যাওয়া; এবং তদন্ত পর্যালোচনা করে সরকার ও বিশ্ব ব্যাংকের কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য প্রদানের জন্য একটি স্বাধীন এক্সটারনাল প্যানেল গঠন। সরকারের সম্মত ব্যবস্থার সন্তোষজনক বাস্তবায়ন এবং বিশ্ব ব্যাংকের গভর্নিং বডির সহায়তায়, বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা বহুমুখী সেতুতে নতুন করে সম্পৃক্ত হতে রাজী হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পে যে কোন ধরণের দুর্নীতির ব্যাপারে কোন ছাড় দিবে না এবং যে কোন অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর অবস্থানের কখনও পরিবর্তন হবে না। যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হলে, পদ্মা সেতু বাংলাদেশের জনগণের জন্য অপার সম্ভাবনা ও সুপরিবর্তন আনবে। সরকারি অর্থের ¯^চ্ছ ব্যবহার, প্রকল্পের যথাযথ বাস্তবায়ন এবং একটি আধুনিক ও উন্নতমানের সেতু যা দেশের প্রবৃদ্ধি ও উনড়বয়ন ত্বরাšি^ত করবে-এটি বাংলাদেশের জনগনের অধিকার ও প্রাপ্য।
##

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




