কিন্তু এ জীবনে একটা জিনিষের লোভ কখনোই সামলাতে পারিনি।এখনো পারিনা।
নারিকেল তেলের বিজ্ঞাপনে যেমন করে বেলীফুলের গন্ধে ছেলেটি,মেয়েটির চুলের পিছু পিছু ছুটে।কিংবা জেরী যেমন চিজের মৌ মৌ গন্ধে চোখ বন্ধ করে নাচতে নাচতে ছুটে চলে,আমার অবস্থাটাও ঠিক তেমনি হয় যখন রাস্তায় চলার সময় আমার নাসারন্ধ্রে প্রবেশ করে সেই গন্ধটা।
জিনিষটা আর কিছুইনা...শিককাবাব!!!!
উফফফফ.....আমার কাছে বেহেস্তি খানা লাগে।
ছোটবেলায় রাজশাহীতে একটা শিক ৪ টাকা করে ছিলো।তখন তো এমন ফার্স্টফুডের কালচার ছিলোনা।মনে আছে মাসের প্রথমে আব্বু যেদিন বেতন পেতেন সেদিন বিকেলের নাস্তা হতো শিককাবাব আর পাউরুটির স্লাইস,সাথে শসা আর টমেটোর টুকরো।ঐটাই ছিলো বিকেলের হেভি নাস্তা
আমি খাওয়ার পরে হাত ধুইতাম না,হাত ধুলে গন্ধটা চলে যাবে বলে
এখনো রাস্তায় শিককাবাব দেখলে লোভ সামলাতে পারিনা।রোজার সময়তো ঐসব দোকানের আশেপাশে ঘেঁষিনা
অবশ্য শুনতে হাস্যকর লাগলেও ,ঢাকার শিককাবাবে আমি আগের সেই স্বাদ পাইনা।কিন্তু তারপরেও জিনিষটা শিককাবাব বলে কথা
ক'দিন আগে একটা কাজে বগুড়া গেছিলাম।ওখানে আমার এক ফ্রেন্ড আমার শিককাবাবপ্রীতির কথা জানতো।সাতমাথার কাছে গলির ভেতর ছোট্ট একটা দোকানে নিয়ে গিয়েছিলো।ঐখানে শুধু শিককাবাব বানানো হয়। ৬ টাকা করে শিক।উফফফ......কি যে স্বাদ সেই শিক এর!!!
ঢাকার ৪০-৫০ টাকার শিকেও সেই মজা নেই।এখনো জিভে লেগে আছে সেই স্বাদ
গতকালকেও রাজশাহী থেকে ঢাকায় ফেরার পথে রাজশাহীর হাজির দোকানের পাশ দিয়ে যাবার সময় গন্ধটা পেয়েছিলাম।এখনও তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে.....খাওয়া হয়নি

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


