লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: শনি, ২০০৭-০৯-২২ ১২:৫০)
http://www.sachalayatan.com/next/opobak/8833
দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত ক্ষমা প্রার্থনার প্রতিবেদনটা পড়ে আতংকিত হলাম। ইনকিলাবের পাঠক হয়তো খুব বেশী না তবে উগ্র ধর্মীয় অনুভুতি সম্পন্ন মানুষেরাই মূলত এর পাঠক- তারা সামগ্রীক ভাবে এমন একটা ধারণা পোষণ করে বর্তমান মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ আসলে ইসলাম ধর্মকে বিপন্ন করেছে। কোরাণের মহিমান্বিত অনুসারীদের কৌশলে কোনঠাসা করে রেখেছে তারা। তারা বৈশ্বিক মুসলিম গণজাগরণের মূল অন্তরায়।
বঞ্চিত হবার এই বোধ তারা কেনো ধারণ করে এটা ব্যখ্যা করা আদতে সহজ কোনো কাজ না, বরং সরল অনুমানের যথার্থতা নিয়ে আমার নিজস্ব সংশয় আছে- তবে ইনকিলাবের পাঠকশ্রেনীর অধিকাংশের বিশ্বাস তাদের এই বৈশ্বিক অধঃপতনের পেছনে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের কুটকৌশল ক্রিয়াশীল। তবে আশ্চর্য হলো প্রকাশ্য বিরোধিতার আড়ালে তারা এই মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে তোয়াজ করে চলে এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের প্রপাগান্ডার এরাই মূল কণ্ঠস্বর।
সাম্রাজ্যবাদী এবং ধর্মোন্মত্ত নির্বোধের ঐক্যবদ্ধতা বৈপিরীত্বের মিলন নয় বরং একই মুদ্রার অবিচ্ছেদ্য অংশ- এরা কখনই অমানবিক নৃশংসতার দায়ে বিন লাদেনকে অপরাধী ভাবে না বরং এটা তাদের কাছে বীরোচিত কাজ, এবং অন্য একটা অংশ ভাবে এটা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের মুসলিম উম্মাহকে দমিয়ে রাখবার একটা কৌশল- এ কাজে বিন লাদেন সহযোগী হলেও মুসলিম উম্মাহর পক্ষ থেকে যে প্রতিরোধ তার প্রাপ্য তা বিন লাদেনকে কখনই বিব্রত করে না বা করে নি এখন পর্যন্ত= বরং বিন লাদনের অমানবিকতা এইং নৃশংসতা এদের কাছে মুসলিম শৈর্য্যের পরিচায়ক।
বিন লাদেন মুসলিম উম্মাহর ত্রাতা এবং বিন লাদেন নৃশংস খুনী- মুসলিম উম্মাহর শত্রু এবং মুসলিম শৈর্য্যের ধারক বাহক- এবং এই সব চেতনাগত বৈপিরীত্ব নিয়েও তারা স্বাভাবিক জীবনযাপন করে- এই বিপরীত ভাবনার বা উদ্ভট ভাবনার কোনো সমাধান তারা খুঁজে না- তারা কোনো মীমাংসায়- কোনো সমাধানে পৌঁছাতে আদৌ আগ্রহী নয়-
ধর্মাচারণের ভেতরে ধোঁয়াশা এবং অবচেতনাগত উপাদান বিদ্যমান এবং এই চেতনাতীত উপলব্ধির জগতে সবাই বোধহীন পুতুল। এই ধর্মীয় উগ্রবাদী মানুষের অস্বচ্ছ ভাবনার জগতে হঠাৎ করেই ভীষণ দোলা লেগেছে- যদিও কোথাও নির্দিষ্ট করে বলা নেই তবে বাংলাদেশের উগ্র ধর্মীয় চেতনাধারী একদল মানুষের ধারণা নামের আগে মোহাম্মদ বসানো একটা ইসলামী অনুশাসন কিংবা সংস্কার- যদিও খুব কম সাহাবীর নামের আগে মোহাম্মদ বিদ্যমান- তা তাবেঈ তাবেঈনের যুগ পর্যন্ত বিস্তৃত করলেও খুব কম মানুষ পাওয়া যাবে যারা নামের আগে এই ধর্মীয় তিলক লাগিয়েেন- তবে এই উপসর্গ বিঃসর্গ যেটাই হোক না কেনো এটা অবশ্য পালনীয় একটা প্রথা হিসেবে তারা বিবেচনা করে।
সুনীল, আবীর, উর্ণী উন্মন এসব নাম গ্রহনযোগ্যতা পায় না- কারণটা সাম্প্রদায়িকতা আচ্ছন্ন চেতনা- এই বাংলাভাষা পৌত্তলিকতার পুঁতিগন্ধময় একটা ভাষা- এই ভাষায় নাম রাখলে নামের বিশুদ্ধতা নষ্ট হয়ে যায়- তাই শোধনকল্পে যেকোনো মুসলিম ছেলেকে এই নামের আগে একটা মোহাম্মদ লাগিয়ে নিজের পরিচয়কে পবিত্র করে তুলতে হয়।বাংলা শব্দের যেকোনো নামের সাথে মোহাম্মদ যুক্ত হলে সেটা ইসলামি হয়ে যায় এই উদ্ভট বিশ্বাস নিয়ে বসবাস ও জীবনযাপন করা ধর্মীয় উল্লুকেরাই আবার নতুন একটা বিতর্ক সামনে নিয়ে আসে।
মুসলমানের ছেলে হিসেবে একটা অলিখিত দায় থাকে নামের সামনে মোহাম্মদ লাগানোর- বেহেশতের পুঞ্জী পড়ে মোল্লা হয়ে উঠা মানুষের বক্তব্য হয়তো খুবই দুর্বল এবং প্রায় অগ্রহনযোগ্য হাদিসের বয়ানে গ্রহন করা যেতে পারে তবে বাস্তবিক বিবেচনায় এই অনুশাসন মেনে চলবার কোনো কারণ আদতে নেই-
আমরা যাদেরইসলামের আদর্শ ভাবি, সাধের পাকিস্তান আর মধ্যপ্রাচ্য- তারা কি তাদের সব নামের আগে মোহাম্মদ লাগায়? এ প্রশ্নের উত্তরে বলতে হয় অধিকাংশ মানুষই নামের আগায় মোহাম্মদের টিকি লাগায় না- তাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের কারণে তারা নিজস্ব ভাষা থেকেই তাদের নাম সংগ্রহ করে- দুর্ভাগা বাংলাদেশী মুসলিম যারা নিজস্ব ভাষায় নাম রাখবার প্রবনতাকে পৌত্তলিকতা ভাবে-
আমাদের প্রিয় সাহাবিদের সবাই পৌত্তলিক পটভূমি থেকে এসেছে- নাগরিক সভ্যতাকে সংস্কৃতি নির্মাণের সূচনা ধরলে বলতে হবে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার বছর আগে উদ্ভুত নাগরিক সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রভাবে আবু সুফিয়ান- আবু লাহাব, উসমান- আলী ওমর- এসব নাম তাদের প্রায় ৯০০০ হছরের পৌত্তলিক অতীতকে ধারণ করে ঐতিহ্যের সাথে চলে এসেছে- আর যদি সাম্প্রতিক অতীত বিবেচনা করতে হয় তবে ইসলাম ধর্ম প্রবর্তনের আগে যেসব সাহাবা জন্মেছে এবং যারা ইসলাম গ্রহন করেছে তারা সবাই আসলে পৌততলিক ছিলো- আমাদের বাংলাভাষার পৌত্তলিকতার চেয়ে সে পৌত্তলিকতার ইতিহাস অনেক বলিষ্ঠ- তবে এটা আসলে বিবেচনার বিষয় না- কারণ ওটা আরব ভুমি হয়ে এসেছে- সেখানে পৌত্তলিকের নাম আহমেদ হলেও সেটা মুসলিমের নামের অংশ হতে পারে -তবে কেনো এই পৌত্তলিক উত্তরাধিকার বহন করা নাম পবিত্র বিবেচিত হয় এটা আমার নিজস্ব একটা প্রশ্ন- এই নির্বোধ আচরণের একটা সহজ জবার হলো আমাদের আত্মপরিচয় সংকট, আমরা নিজেদের সব সময়ই কমদামি মুসলিম ভাবি আর এ দেশের ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক আবহে নিজেদের সংযুক্ত করতে পারি না, বরং এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে পৌত্তলিকতা ভেবে নিজেদের এই সাংস্কৃতিক সংলগ্নতাকে অপবিত্র ভাবি।
এই সংকট একদল মানুষের ভেতরে কৌমভাব জাগাবার জন্য অহেতুক মোহাম্মদ ব্যবহারের তাগিদ জাগায়- তারা সমাজ মানসে এই বিচ্ছিন্নতার বীজে জলসিঞ্চন করে তবে তারা কোনোভাবেই উপলব্ধি করতে পারে না কেনো তাদের এই মনস্তাত্ত্বিক সংকট, তারা কেনো বঞ্চিত, নির্যাতিত, শোষিত এবং তারা কেনো পিছিয়ে আছে ইহুদি নাসারাদের থেকে-
উনিশ শতকের শেষের দিকে বাইবেলের মাহত্ব্য ও বিজ্ঞানতত্ত্ব নির্ভরতার এবং বাইবেলভিত্তিক সৃষ্টিতত্ত্বের জোয়ার আসলে পিছিয়ে পড়া মুসলিম জনগোষ্ঠি হঠাৎ করেই কোরান নিয়ে চিন্তিত হয় এবং তারাও কোরানের বৈজ্ঞানিকতাভিত্তিক বিবাদে অংশগ্রহন করে- তারাও কোরানকে বিজ্ঞানের আধার প্রমানে সচেষ্ট হয়- একটা নতুন বিবাদে নব্যশিক্ষিত মুসলিমেরা নিয়োজিত হয়- তারা কোরাণের আয়াত খুঁজে বিজ্ঞানের ভিত্তিতে নিজেদের ধর্মের শ্রেষ্ঠত প্রমাণ করতে চায়- এবং ইহুদী খ্রীষ্টানদের তুলনায় নিজেদের ধর্মগ্রন্থ অধিক বৈজ্ঞানিক প্রমাণে ব্যতিব্যস্ত থাকে- এবং ক্রমশ বিজ্ঞান চর্চা বাদ দিয়ে অহেতুক অধিবিদ্য পাঠে মনোযোগী হতে থাকে। সামাজিক ও চেতনার অনগ্রসরতা বিবেচনায় তারা বিজ্ঞান চর্চায় মনোযোগী না হয়ে অহেতুক জ্ঞান চর্চা এবং বিতর্কে লিপ্ত থাকে- এবং বৈজ্ঞানিক জগতে এদের অবদান ক্রমশ কমতে থাকে- এবং বর্তমাণে মুসলিম বিজ্ঞানীর সংখ্যা হাতে গোনা এবং এদের অধিকাংশই আবার কোনো এক অদ্ভুত কারণে মুসলিম জগতে মুরতাদ।
একই রকম ধারাবাহিকতায় আমাদের শরীর পবিত্র এবং অপবিত্র অংশে বিভাজিত হ- এবং আমরা আমাদের অপবিত্র নিম্মাঙ্গ দিয়ে আমাদের পবিত্র উর্ধাঙ্গকে বহন করি, আমরা আমাদের পবিত্র ডান হাত দিয়ে অপবিত্র বাম হাতকে দমন করি- তবে শুঁচিবায়ুগ্রস্থ হয়ে আমাদের শরীর থেকে অপবিত্রতা ছিন্ন করতে পারি না- এই অপবিত্রতা বহন করেই আমরা জীবনযাপন করি-
নাম বিষয়ক সংকটের সুচনায় আমাদের কৌতুকটাতে এই অপরিহার্য নির্বোধ আচরণকে অহেতুক প্রমাণের একটা ক্ষীন চেষ্টা ছিলো- তবে মোহাম্মদ বেড়াল অপবিত্র ও মোহাম্মদের জন্য অবমাননাকর প্রমাণিত হলো- মোহাম্মদের অবমাননা হয় কোন আচরণে এটা বুঝবার মতো মেধা আসলে আমাদের এই উগ্র নির্বোধ ধর্মোন্মত্তদের নেই- তার নিজস্ব জীবনবোধে মোহাম্মদ সহনশীলতার যে চর্চা করে গেছে এবং তার মানবিকতার জগত এবং তার পরিস্থিতি বিবেচনার দক্ষতার কোনোটাই এই নির্বোধদের নেই-
শক্ত সুন্নাহভিত্তিক প্রমাণ বিদ্যমান যে মুহাম্মদের নাম উচ্চারণের সাথে দরুদ পাঠ করতে হয়- অর্থ্যাৎ আমরা মোহাম্মদ উচ্চারণের সাথে সাথে দরুদ পড়ি- তবে এই আচরণ আমরা করি না যখন আমরা মোহাম্মদ ছহুল হোসেন বলি- কারণ আমাদের ছহুল হোসেন আর মোহাম্মদ সম্মান বিচারে একই পদের মানুষ না এটা আমরা উপলব্ধি করি- তাই মোহাম্মড যখন নামের অংশ তখন আমরা শক্ত সুন্নাহ ভিত্তিক প্রমাণ স্বত্তেও দরুদ পাঠ করি না- তবে মোহাম্মদ উচ্চারণের পড়ে দরুদ পাঠে তারা যে অবমাননা খুঁজে পায় না- সেই অবমাননা খুঁজে পায় মোহাম্মড বেড়ালে-
কাঠ মোল্লাদের বরং এটা অধিক ধর্মানুভুতিতে আঘাতকারী কনে হতে পারে যে এই বিশ্বব্যাপী এত মানুষের নামের সাথে মোহাম্মদ যুক্ত এবং এই নাম উচ্চারণের সময় তারা কেউ দরুদ পাঠ করছে না- এতে সুন্নাহ লঙ্ঘন এবং নবীর অবমাননা হচ্ছে বেশী- এভাবে যেনো অসম্মানিত না করতে পারে এ জন্য হয়তো সদ্য বোধিপ্রাপ্ত নির্বোধ ধর্মোন্মত্তরা দাবী জানাবে বাংলাদেশের কোনো মানুষের নামের সাথে মোহাম্মদ যুক্ত করা যাবে না- এতে নবীর অসম্মান হয়- কিংবা একজন লোক যার নাম শুধু মোহাম্মদ- সে যদি ২০টা খুন, ১০টা ধর্ষণ আর কয়েকটা এসিড কেসের প্রমাণিত আসামীও হয় কোনো ধর্মীয় নেতা তার নাম থেকে মোহাম্মদ বাদ দেওয়ার দাবী জানাবে না- একজন মানুষ যে মোহাম্মদের নাম বহন করছে এবং তার নিজস্ব জীবনযাপণে মোহাম্মডের অবমাননা করছে তাকে প্রতিরোধ না করে একজন কার্টুনিস্টকে মিশিয়ে ফেলানোর একটা প্রচেষ্টা চলছে- এটাই আমাদের রসবোধের প্রমাণ।
মোহাম্মদ বেড়ালে আক্রান্ত বাংলাদেশের মানুষ বেড়াল পুজা করে নি এতদিন এটাই আশ্চর্য বিষয়- হাদিসের বয়ানে আছে মোহাম্মদ বেড়াল ভালোবাসতেন- এই ভালোবাসার প্রমাণ হিসেবে তিনি কুকুরকে অপবিত্র এবং বেড়ালকে পবিত্র করেছেন- এমন কি তিনি একজন সাহাবীর নাম রেখেছেন আবু হুরায়রা- এবং আরেকজনের উম্মে হুরায়রা- বেড়াল মাতা আবং বেড়াল পিতা এই দুজন জীবজগতের নিয়মানুসারে কোনোভাবেই বেড়ালের জন্ম দিতে পারবে না- তবে এই আদরের সম্বোধনর মাহত্ব্য সারাদিন গুনগুন করলেও প্রতীক বাস্তবতা এবং উপমার ভেতরের অর্থ তারা বুঝতে ব্যর্থ এটার প্রমাণ বাঈজি শরীফ কাবাঘর বিতর্ক।
সাপ্তাহিক ২০০০ নিষিদ্ধ হলো এই উপমার দায়ে- যদি কোনো ভাবে মোহাম্মদ এই পৃথিবীতে বাংলাদেশে থাকতো এই মুহুর্তে তবে সেও তার আচরণের জন্য ফ্যানাটিসিজমের শিকার হতো- কোরাণ নিয়ে একটা বক্তব্য আছে- যে যখন পাথর ছুড়ে মারার আয়াত নাজেল হয় তখন মদীনাবাসী উত্তাল হয়ে প্রতিবাদ জানায় এবং মোহাম্মদ এই আয়াত প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়- একই ভাবে একটা পর্যায়ে স্যাটানিক ভার্সেসকে প্রত্যাহার করেছইলো মোহাম্মদ কারণ কোনো সাহাবা তাকে বলেছিলো এটা পৌত্তলিকতার চর্চায় সহায়ক হবে- এই আয়াত অবহেলিত থাকে মোহাম্মদের মৃত্যু পর্যন্ত এবং মোহাম্মদের মৃত্যুর পরে প্রথম সংকলিত কোরাণেও এটা ছিলো না- এটা কোরানে প্রবিষ্ট করণের মুল হোতা ওমর- এবং তখন হাতে লেখা কোরাণের কপিতে লেখা থাকতো এই আয়াত কোরাণে প্রবিষ্ট করেছে ওমর- সে আলোচনায় না গিয়ে বলতে পারি- মোহাম্মদের এই ম্যালিয়েবল রিত্র এবং খোদার বানী সংশোধনের প্রচেষ্টাকে ওবায়দুল হকেরা কিভাবে গ্রহন করতো?
আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্র এবং এর অবিচ্ছেদ্য অস্ব্ছতাসহ সম্ভবত উপদেষ্টামন্ডলীর ভেতরে শ্রেষ্ট উল্লুক মইনুল হোসেনকে প্রতিনিধি করে খতিবের এবং জামায়াতমনস্ক নেতাদের সাথে সাক্ষাৎকারের উদ্যোগ এবং টানাপোড়েন কমানোর প্রক্রিয়ায় যে বক্তব্যটা এই নির্বোধদের জানানো হলো তা ভয়ংকর।
বর্ণনার কৌশলে মনে হয় খতিব এবং এই অহেতুক উন্মাদনা সৃষ্টির জন্য দায়ী নির্বোধেরা রাষ্ট্রের তুলনায় অধিক শক্তিশালী- এবং তাদের করূণা নির্ভর হয়ে আছে আমাদের সম্পুর্ণ রাষ্ট্র। তারাই রাষ্ট্রের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী এবং তারা চাইলেই যেকোনো ধরণের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে এবং সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তাদের কৃপাপ্রার্থী- তারা যেকোনো সময় যেকোনো নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে- তারাই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী বলেই ৩বার অনুরোধ করে মতিউর ঢ়মানের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থণা করা হয়- এবং তা ৩য় বারের সময় গ্রহন করেন খতিবেরা- তাদের চাহিদার কাছে আত্মসমর্পন করে প্রথম আলোর সার্কুলেশন বাতিল করা এবং তাদের সাথে একত্রে ইফতার ও নামাজ আদায়ের বক্তব্য পড়ে আমি আশংকিত হই- আমি আশংকিত তাদের বিজয়ে- তাদের এই চাপা উল্লাস আমাকে ভীত করে-