আজ ০২/০৭/২০১০ তারিখ শুক্র বার। আমি ভাবতেও পারিনি আজ আমাকে ওদের বাড়ি যেতে হবে। কাল ও বাড়ি এসেছিল , ওর দাদু ওদের বাড়ি বেড়াতে এসেছিল ভারত থেকে।ওর সকল মাসিমনিরাও ওদের বাড়ি এসেছিল। কাল রাত থেকে ও আমাকে কোন কল করেনি। সকাল ৯টার দিকে আমাকে কল করে। বলে তুমি কোথায়? সেভ করা আছে?/ কেন?/ তোমাকে হয়তো এখন আমাদের বাড়ি আসতে হবে।/কি বল?/ হ্যা দাদু তোমাকে দেখতে চেয়েছেন। মা-মাসিমনিরা দাদুকে তোমার কথা বলেছে, দাদু বলছে আর কবে আসব তার ঠিকনেই যদি দেখে যেতে পারতাম! // আমি কি করব ভেবে পাচ্ছিলাম না।খুব ভয় পেলাম। দিদিকে বল্লাম এবং মোবাইলটা দিদির কাছে দিলাম। দিদি বাবাকে ডেকে বাবাকে মোবাইলটা দিল। বাবা আমাকে ওদের বাড়ি যেতে বল্ল। দিদি বল্ল অংকন কে নিয়েযা। বাবা দিদির কাছে ৫০০ টাকা দিল আমাকে দেওয়ার জন্য। দিদি আমাকে টাকাটা দিয়ে বল্ল মিষ্টি কিনে নিয়ে যেতে। আমি øান করে খেয়ে অংকনকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। দিদি কিছুদুর আমাদেরকে এগিয়ে দিয়ে আসলো। মশিয়াহাটি গিয়ে ওকে কল দিয়ে বল্লাম আমরা মশিয়াহাটি। ছেদুর দোকান থেকে মিষ্টি কিনে নিয়ে ভ্যানে চড়ে বসলাম। সোজা ওদের বাড়ি। বাড়ি ঢুকতেই দেখলাম ও গেটে দাড়িয়ে আছে। মুখে রুপ চর্চা মেখেছিলো। আমাকে ও সাথে করে বাড়ি ঢুকলো ওর বাবাকে ক্রস করলাম । আমাকে দেখতে পাননি সম্ভবত তাই রাস্তার সাইডে সরে গেলেন মিস্ত্রিরা কাজ করছিলেন তাদের নির্দেশনা দিতে।আমি প্রনাম করতে পারলাম না। আমি বাড়ির ভিতর ঢুকে দেখি ওর মা-মাসিরা সকলেই রান্না ঘরে আছে। আমি মিষ্টির প্যাকেটটা ওর হাতে দিয়ে রান্না ঘরে গিয়ে সকলকে প্রনাম করলাম। রান্না ঘর থেকে বেরিয়ে বাবাকে পেয়ে প্রনাম করলাম। বাবা ঘরে গিয়ে বসতে বল্লেন। আমি বারান্দায় গিয়ে ঠাকুরমার পাসে বসে কিছুসময় কথা বল্লাম ঠাকুমা চিনতে পেরে খুসি হলেন। পরে ঘরের দিকে গেলাম যেখানে আগে থেকে ভারতের দাদু বসে ছিলেন। দাদুকে প্রনাম করে পাসে বসলাম। দাদুর সাথে বিভিন্ন বিষয়ে অনেকক্ষন কথা বল্লাম। ওর ছোট মাসিরা গতকাল আসেনি তাই তারা এখন আসলেন। সাথে বৃষ্টি ও অর্ক এসেছিল। আমরা প্রথমে ফল-মিষ্টি দিয়ে নাস্তা করলাম পরে রান্না হয়ে গেলে ভাত খেলাম।ও আর ওর বড় মাসি পরিবেসন করেছিল। খাওয়ার পর বৃষ্টি আমার হাত ধুইয়ে দিল। বৃষ্টি নাকি আমাকে পেয়ে খুসি হয়ে ছিল। আমরা অনেক মজা করার পর এক সংগে বের হয়েছিলাম। ওর মাসিমনিরা দাদু এবং ও যশোর চলে গিয়েছিল। আমি আর অংকন বাড়ি চলে এসে ছিলাম। পরে মোবাইলে সুনেছিলাম সকলে নাকি আমাকে বেশ পছন্দ করেছিল। দিন টা বেশ ভালোই কেটে ছিল।
আলোচিত ব্লগ
=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।
আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন
"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?


৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন
এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন
টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।