একটি ভ্য়ংকর রাত্রি(১ম পর্ব)
মাঝি জিগ্গেস করল কার বারি জাবেন ?বারির নাম বলতেই চিনে ফেল্ল।
আমি নানু বারির ঘাটে নামলাম, নানু আমকে দেখে খুব খুশী। আমার নানু বারি ওনেক সুন্দর , অসংখ্য গাছ , বারির সামনে দিয়ে নদী,ঘাট একেবারি নদির মাঝে নেমে গেছে। সেই রকম!
আমকে ডাব পেরে দিল রাইস্যা (এতিম রাসু নানু আদর করে পালে বারির কাজ করে)।মিস্টি ডাব বল্ল, আমি নোনা ডাব খাই মিস্টি খেলে পেট খারাপ করে শুনে অবাক হল, নোনা ডাব খাওয়াল , রাইস্যাকে আমার পছন্দ হল।আমার সমান বয়স হবে,সে নাকি আশে পাশে কয়েক গ্রামের সবচাইতে শক্তিশালী , নৌকার রেইসে নৌকা চালায় তার দল সবসময় প্রথম হয়।
আমি সিগেরেট ব্যবস্হা করতে বল্লাম যেন নানু না জানে, হেসে বল্ল ঠিক আছে।বিকালে নিয়ে আমাকে নিয়ে গেল লাইব্রেরিতে, সে এখানে সেচ্ছাসেবক , সে লাইব্রারিয়ান হিসাবে চাকুরি করে বেতন ছাড়া।সে আমাকে গ্রামের সব কিছু ঘুড়িয়ে দেখাল।নৌকাতেও চড়লাম।
রাতে আসলে বোরিং লাগে , ইলেক্ট্রিসিটি আছে কিন্তু সাপ্লাই নাই।চারিদিকে অন্ধকার।হারিকেনই ভড়সা।রাতে খেয়ে ঘুমালাম।
হঠাৎ চিৎকার চেচামিচির শব্দে ঘুম ভেংগে গেল,অনেক কান্নার আওয়াজ।
নানু বল্ল ডাকাত পড়ছে চিন্তা করিস না।হঠাৎ করে বিকট বোমার আওয়াজ নানু বল্ল সাতার জানি কিনা ? বল্লাম জানি , পিছনের দরজা দিয়ে বের করে দিয়ে বল্ল সাতরে পার হতে,আমি তাই করলাম মাথা ভাল কাজ করছে না ।(চাপে মথা ভাল কাজ করে না )।সতরে পিছনের বারিতে উঠি তারা সবাই ভয় পাচ্ছে ডাকাত তাদের বারিতে আসে কিনা , মসাল জ্বেলে ধর ধর বলে চেচাচ্ছে আমিও তাই করলাম।আমার হাতে ১ টি মশাল দেয়া হল।
অনেক টেনশনে রাত পার করলাম , চেচামেচি অনেক কমেছে, আমি বারিতে যাই , নানু ঠিক আছে রাইস্যা কে হাসপাতালে নেয়া হল , রাইস্যা
লাঠি দিয়ে এক ডাকতের মাথায় আঘাত করায় চিৎকার করে পরে যায় , অন্য ডাকাত তা বুঝতে পরে তার গায়ে বোমা মারে।আর লাইব্রেরির সামনে এক ডাকাতের মৃত দেহ দেহ পাওয়া গেছে(মাথায় আঘাত পাওয়া)।আমি রাইস্যা কে দেখতে যেতে চাইলে নানু বারন করল বল্ল , নৌকা ঠিক করেছি এখনি ঢাকা চলে জাবার জন্য।তাই করলাম।
সেই রাতের কথা আজও মনে আছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




