জাফর ইকবাল - প্রজন্মের হিট কলামিস্ট
"জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অপরাধের ব্যাপারে কোনটা সত্যিকার কথা সেটা জানি না। তবে অভিযোগ থাকলে তদন্ত হবে, শাস্তি হবে, কিন্তু আগেই নিজেরা একজনকে শাস্তি দিয়ে তার মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হবে, সেটি কোন দেশের বিচার?"
এইটা আজকের লেখা জাহাঙ্গীর নগরের ভিসি কে নিয়ে
হয়ত সেইদিন বেশি দুরে নয় যেইদিন সাধা সিধে কলাম লেখক জাফর ইকবাল স্যার শামিম ওসমান , মখা আলমগীর অথবা টাকু কামরুলের আদর্শ , নৈতিকতা, আর চরিত্র যে কত ভালো এসব নিয়ে কলাম লিখবেন !
গত লেখাটা ছিল আদিলুর রহমানকে নিয়ে
কয়েক হাজার মুসল্লীকে হত্যা করা হয়েছে সেটি প্রচারিত হয়েছে গোপনে। প্রকাশ্যে সর্বশেষ যে প্রচারণাটি ছিল সেটি হচ্ছে ৬১ জনের, “অধিকার” নামে একটি সংগঠন সেটি দেশ-বিদেশে প্রচার করেছে। কয়েক হাজার থেকে সংখ্যাটি ৬১ তে নেমে এসেছে, তাই সরকারের খুশী হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সরকার খুশী হয়নি, তারা ৬১ জনের নাম জানতে চেয়েছে, আমিও জানতে চাইতাম। পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় অভিযোগ করলে তার প্রমাণ থাকতে হয়। ‘অধিকার’ নামক সংগঠনটি নাম প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, কারণটি আমরা বুঝতে পারি, কারণ পুরো ঘটনাটি টেলিভিশনে দেখিয়েছে, সাংবাদিকেরা রিপোর্ট করেছে এবং কোথাও এত বড় একটি সংখ্যা কেউ দেখিনি। সরকার তখন মিথ্যা একটি তথ্য প্রচারের জন্যে ‘অধিকার’ নামক সংগঠনের সম্পাদক আদিলুর রহমান খানকে গ্রেপ্তার করেছে।
সামারি হচ্ছে - উক্ত গ্রেপ্তার সহিহ এবং ১০০% হালাল হয়েছে
-------------------------
এখানে আদিলুর রহমানের ক্ষেত্রে উনি কয়টা মিথ্যা বলেছেন -
"পুরো ঘটনাটি টেলিভিশনে দেখিয়েছে" - ডাহা মিথ্যার বাপ
- আমরা সবাই জানি মিডিয়া কে সরায়ে দিয়ে কারেন্ট অফ করে দিয়ে অপারেশন চালানো হয়েছে
- সরকার বিরোধী মিডিয়া কে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে
- রাত আড়াইটার সময় এমন ৩০ হাজার আর্মড ফোর্স দিয়ে অপারেশন চালানো হলো, কতো হাজার রাউন্ড গুলি খরচ করা হলো কিন্তু আপনার অন্ধ চোখ কিছুই দেখল না। আপনার মোহগ্রস্থ বিবেকে মানবাধিকার বিষয়ক কোনো প্রশ্ন জাগলো না
- আপনি এর আগেও কয়বার বলেছেন আপনার বাড়িতে টেলিভিশন নাই
- বাড়িতে টেলিভিশন নেই তো আপনি কোথা থেকে দেখেছেন আপনিই ভালো জানেন
"অধিকার নামক সংগঠনটি নাম প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।"
আবার মিথ্যা
আপনি কি জানেন যে অধিকার নামক সংগঠনটি ৬১ জনের নাম ঠিকানা জানাতে অস্বীকৃতি জানায়নি?
'অধিকার' বলেছে তারা এই ৬১ জনের নাম ঠিকানা সংবলিত রিপোর্টটি দেবে , কিন্তু সেটা সরকার মনোনীত হাইকোর্টের কোন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বাধীন কমিশনের কাছে দেবে যারা এটার সত্যতা যাচাই করে সরকার এবং গনমাধ্যমকে জানাবে।
কারন তারা মনে করে যেহেতু সরকারের নির্দেশেই ৫ ই মে রাতে এই খুনাখুনি করেছে সরকারি বাহিনী সেহেতু সরকার এই ৬১ জনের পরিবারকে ভয়ভীতি দেখাবে মুখ বন্ধ রাখার জন্য।
বরং আপনি-ই তো মিথ্যা লিখলেন।
আপনি বলেছেন "তারা (সরকার) ৬১ জনের নাম জানতে চেয়েছে, আমিও জানতে চাইতাম।"
সাইদির রায়ের পর সহিংসতায় সরকারি বাহিনির গুলিতে ব্যাপক রক্তপাতের পর আইন ও সালিশ কেন্দ্র রিপোর্ট করেছিলো যে ১৩৭ জন সারাদেশে সরকারি বন্দুকের , মানে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে।
১৩৭ তো ৬১ এর দ্বিগুণের চেয়েও বড় সংখ্যা।
কই , আপনারা কেউতো আসক কে মিথ্যাবাদী বলেননি।
১৩৭ জনের নাম তো জানতে চাননি
আপনারা কেউতো আসকের লীড পারসনদেরকে অ্যারেস্ট করেননি।
কেউ তো জবাবদিহিতা চাননি - আইন ও সালিশ কেন্দ্রের কাছে সেই ১৩৭ জনের নাম - ঠিকানা- পরিচয় জানতে চেয়ে !
--------------
এখন ২ টা কলামের তুলনা করি
একটাতে শিক্ষকেরা ভিসির অপসারণের দাবি জাফর স্যারের কাছে সহ্য হয় নাই , তার জন্য তদন্ত দরকার ইত্যাদি ইত্যাদি
আরেকটাতে একটা রিপোর্টের জন্য মানবাধিকার কর্মীকে গ্রেপ্তারের বৈধতা দেয়ার জন্য উনাকে মিথ্যার আশ্রয় নিতে হলো, তার ব্যাপারে তদন্তের আগেই উনি তাকে মিথ্যাবাদী এবং দোষী বানায়ে দিলেন
জাফর স্যার - আপনি দিনে দিনে কোথায় নামছেন আপনি নিজেও বুঝতে পারছেন না
শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ যেমন কত মহৎ উদ্দেশ্যে এক হয়েছিল , কিন্তু পরে সরকারের পা চাটতে চাটতে সরকার বিরোধী দের হটাতে সদরঘাটের পাহারা দেয়া শুরু করছিল
আপনিও হয়ত কয়দিন পরে টাকু কামরুল বা ইনুর সাফাই গাওয়া শুরু করবেন
দলকানা হলে মানুষের যেমন পতন হয় , যেমন আজকের আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে দেখলে বিশ্বাস ই হয়নে "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো " গান তার লেখা , জানি না আপনার অবস্থাও তেমন হয় নাকি
তবে আপনার অধপতনের গ্রাফ কিন্তু ঐরকম ই দিক নির্দেশ করে !
বি দ্র :আমি স্যারের সরাসরি ছাত্র
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৫৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




