বাংলাদেশে এখন খুবই দুঃসময় চলছে। এই দুঃসময়ের ভিতরে যে কয়টা গুরুত্ব পূর্ণ সভ্যতামূলক বসত্দ টিকে রয়েছে তার মধ্যে সংবাদ পত্র একটি। আর সংবাদপ্রত্রের জন্য আবশ্যক হচ্ছে রিপোর্টার, সাংবাদিক, ফটো সাংবাদিক সহ আরো অনেকেই। আমি গত দুই শাসন আমল দেখেছি। তাই্ বয়সটা খুব বেশি না হলেও মনত্দব্য করার বয়স হয়েছে।
গত 17 এপ্রিল চট্টগ্রামের বিভাগীয় ষ্টেডিয়ামে ঘটে গেছে সাংবাদিকদের উপর এক অমানুষিক ঝড়, নির্যাতন। যা বলা খুবই কষ্টকর আমার প।ে তবুও বলতে হয়। পুলিশ হচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। মানুষের জান ও মালের নিরাপত্তার জন্যই সরকারের এ উদ্যোগ। আর পুলিশ তা না মেনে 17 তারিখ বিভাগীয় ষ্টেডিয়ামে ঘটিয়ে দিল সাংবাদিতদের উপর অমানুষিক নির্যাতন। যা দেখে দেশ বিদেশের প্রত্যেক মানুষ হতবিম্ব হয়ে পড়েছে। দেশে বিদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছে নানা ােভ।
2.
এদিন আমি খেলা দেখতে পারি নি কলেজে থাকার কারনে। পরে খবরের মাধ্যমে জানতে পারলাম এই ঘটনা। গত দুই সরকারের আমলে যারা সবচেয়ে বেশি তিগ্রস্থ হয়েছেন তারা হল সংবাদকর্মী। নানা কারনে কখনও খুন, কখনও বা লাঞ্চনা আবার কখনও অপমান সইতে হচ্ছে তাদের। এর প্রমাণ অবশ্যই আমরা জানি। চট্টগ্রামের ঘটনায় অভিযোক্ত দুই পুলিশ কর্মকতাকে সাময়িক ভাবে বরসত্দ করা হয়েছে। এটাই কি তামের উপযোক্ত বিচার? আর এটাই কি সংবাদ কর্মীদের উপযোক্ত পাওনা? যারা দেশের উন্নয়নের জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যনত্দ অবিরাম কাজ করে চলে তাদের কিনা স্বাধীন দেশে এইভাবে সবার সামনে পুলিশের লাঠির আঘাতে ঘামের মতো রক্ত ঝরাতে হল!
জোট সরকার কিংবা আওয়ামী সরকারের শাসন ব্যাবস্থায় আমি দেখেছি দেশের বুদ্ধিজীবিদের নিশ্চিহ্ন করার পায়তারা করেছে। যা আওয়ামী সরকার করে গেছে এবং জোট সরকার ও তা করছে।
3.
আসুন আমরা ডিসি আকবর আলীর কথা বলি। বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেল এই আকবর আলী নানা সরকারের আমলে তার চাকুরির সুবাদে নানা ধরনের অপকর্ম করে চলছিল। নিম্ন শ্রেণীর কর্মকর্তার কাছ থেকে নানাভাবে টাকা খাওয়া ছিল তার নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার।
তার চাকুরি জীবন 40 বছর হয়নি। অথচ 17 এপ্রিল সে তার বাবার মতো এক সাংবাদিক জহিরুল হককে কিল ঘুসির আঘাতে রক্তাক্ত করে হাজার হাজার জনতার সামনে। জানা গেছে ঐ সাংবাদিক গত 40 বছর যাবত সাংবাদিকতা করে আসছে। তার অপরাধ ছিল কেন তিনি বললেল " বাবা, আপনি কনস্টেবল ডাকছেন কেন?'' তার পরপরেই পুলিশরুপি সনত্দাসী আকবর আলী তার ইপর চড়াও হয় এবং তার সকল প্রমান আমরা যারা স্যাটালাইট চ্যানেলে খবর দেখেছি অথবা পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারলাম। আমরা এর আগেও অনেক কিছু জানকে পেরেছি পুলিশের সম্পর্কে। যারয নিরীহ স্কুল ছাত্রকে নির্মমভাবে হত্যা করতে পারে। তারাও তো কারো বাবা কিংবা কারো সনত্দান? তারা দেশের নেত্রীদের মতো ধরেই নিয়েছে তাদেরও কোন রকম কর্মকান্ডের বিচার হবে না। আমার মনে হয় তাদের ধারনা তাই। তা না হলে কি করে জাতির মেরুদন্ডের উপর আঘাত করে? কি করে পারল তারা? আমার এই ছোট্ট জ্ঞান দ্বারা তা বোঝা জাচ্ছে না।আমি সে জায়গায় ব্যার্থ।
আমরা দুঃতি , আমাদের মা করে দিবেন আপনারা যারা পুলিশের লাঠির আঘাতে নির্মমভাবে আহত হয়ে নির্ঝরে রক্ত ঝড়িয়েছেন। আমি বিশেষ করে মা চাই প্রবীণ সাংবাদিত জহিরুল হক এবং গুরুতরভাবে আহত ফটো সাংবাদিব টিটুর কাছে। আমরা যারা এ লাইনে আছি তারা তারা আনত্দরিকভাবে সকল আহত সাংবাদিকদের কাছে মা চাচ্ছি কারণ আমরা কিছুই করতে পারি নি।
আমরা আপনাদের মতো পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত 17 তারিখ হয়নি তবে আমার যারা এ লাইনে আছি তারা এর অনক আগে থেকেই হাত পা বাধা। স্বাধীনভাবে কিছুই করতে পাবি না। আমরা যেমম অফিসে পরাধীন ঠিক তেমনি পরাধীন অফিসের বাইরেও। আমাদের নিজস্ব কোন অভিমত প্রকাশের সুযোগেই নেই।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




