somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কিয়ামত , ইসলাম , এবং নুর নবী সা এর ভবিষ্যৎ বাণী এবং আল্লাহর মহত্ত ।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ধর্মীয় আলোচনা , এম জি আর মাসুদ রানা কবি ও ইসলামী গবেষক ।
মানবের মুক্তির লক্ষ্য মোহাম্মদ সা এর বানী জীবন্ত



আসহাব গনের প্রশ্ন নবীজীর উত্তর
মদিনায় মসজিদে নব্বিতে এক সাহাবা প্রশ্ন রাখলেন ইয়া রাছুলুল্লাহ
সা কিয়ামত কবে হবে
মাগরেবের সময় দিনটি হবে শুক্রবার ।
সময়ের ব্যবধান
সূর্য দেখিয়ে বললেন এখন সূর্যাস্ত / পূর্ব অতিক্রম করে যেটুকু ডুববার বাকি সেসময়ের চাইতেও কম ।

হাদিস
আখেরি যামানায় ফেত্না ফ্যাসাদ আক্রান্ত হয়ে আমার ছুন্নত দাফন
হতে থাকবে সেই সময় যারা আমার একটি মাত্র ছুন্নত কে জিন্দা
করবে তার আমল নামায় একশত গলা কাঁটা শহীদের ছওয়াব দেয়া হবে । তিরমিজি ও মেশ কাত শরীফ

নামায আল্লাহর হুকুম ফরজ । কিন্তু ওয়াক্ত মত আদায় করা ছুন্নত ।
সৎ কাজে আদেশ অসৎ কাজে বাধা দেওয়া ছুন্নত ।

শিক্ষা বা জ্ঞান অর্জন ফরজ
কিন্তু শিক্ষা বা জ্ঞান দান করা ছুন্নত ।

নিথ্যা যুলুম অন্যায় থেকে নিজে বাচা ফরয এবং অন্যকে প্রভাবিত
করা ছুন্নত ।
সামাজিক সুসম্পর্ক স্থাপনের মধ্য দিয়ে ভাল পরিবেশে বাস করা
ছুন্নত ।
মহান সাহাবীদের উক্তি ।

আমরা নিজেরা তা অনুসরন করি এবং অন্যকেও প্রভাবিত করি
আল্লাহ আমাদের হেদায়েত ও ক্ষমা দিন আমিন ।



হে মুমিনগন তোমরা সম্পূর্ণ ভাবে ইসলামে দাখিল হও সুরা বাকারা ২০৭ /



আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করিওনা , নিশ্চয় শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু ।

যখন আদম আ কে সৃষ্টি করলেন ।আল্লাহর হুকুমে সব ফেরেস্তা
আদম আ এর সম্মানে সেজদা দিল ,শয়তান বিরুধিতা করল
আল্লাহর হুকুম না মানার কারনে আল্লাহু পাক শয়তান কে
শাস্তি দিলেন এবং দুযখের আগুনে শ্রিংখলিত করে রাখলেন ।

খালিকিচ্ছামাওয়াতি অয়াল আরদিন । আচ্ছালামু আচ্ছালাতু আলা
মান খানা নাবিয়াও অয়া আদামু বা মায়ে অয়াত্তিন ,

অর্থ নবীজীর মুখ নিশ্রিত বাণী / আল্লাহর ক্ষুদ্রতে আদম যখন কাদা
মাটি পানি মিশ্রিত তখনই আমি আল্লাহর রাছুল । হাদিস

আল্লাহু বাম পাজর থেকে হাওয়া আ কে সঙ্গিনী বানালেন ।
এবং বহু দিন যাবত বেহেস্তে বাস করতে লাগলেন । আল্লাহ আদম
আ কে বেহেস্তি সব কিছু জ্ঞান শিক্ষা দিলেন যা ফেরেস্তাগন পর্যন্ত
জান তনা । আদম আ কে নিষেধ দিলেন সবস্থানে যাইও কিন্তু
নিষিদ্ধ গন্দম ফল ভক্ষন করনা ।

বস্তুত শয়তান আদম আ কে প্রলোভনে নিয়ে নিষিদ্ধ ফল খাওয়ালেন ।সাথে সাথে আল্লাহ পাক আদম আ ও হাওয়া আ কে
বেহেস্ত হতে দুনিয়ায় নামিয়ে দিলেন ।

শত শত বছর আদম আ ও হাওয়া আ আল্লাহর দরবারে ভুলের
জন্য কাদলেন । ৩৬০ বছর পর আরাফাতের ময়দানে তারা মিলিত
হলেন এবং মুনাজাত করতে লাগলেন
হে আমার সৃষ্টি কর্তা আরশ মহল্লায় তোমার নামের পাশে যার নাম
মোহাম্মাদ তার খাতিরে আমাদের ক্ষমা করুণ । আল্লাহ পাক তাদের দোয়া কবুল করলেন বললেন দুনিয়ায় বাস করতে থাক এবং আমাকে সরণ কর নিশ্চয় তোমাদের প্রভু অতি ক্ষমা শীল ।

আদম আ এর বংশ বৃদ্ধি হতে লাগল , শয়তান দুনিয়ায় আসার
আগে আবার আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাইলেন । আল্লাহ ক্ষমা মঞ্জুর
করেনি শয়তান হতাশ হয়ে বলেন প্রভু আমি চির জাহান্নামি তাহলে
আমাকে ভিন্ন শক্তি দাও ।

সেকেন্ডে সব স্থানে যাতায়াত , দিলাম । সব জিব জন্তুর আকার
ধারন ,দিলাম । সব মানুষের রগে রগে বিছরন / দিলাম । কিন্তু
অহে শয়তান আমার প্রক্রিত ইমানদার গনের চুল পরিমাণ
ক্ষতি করার ক্ষমতা তোর নাই ।যারা তোর পথ অনুসরণ
করবে তারাই জাহান্নামী ।

আল্লাহু এবং তার রাছুলের বাণী আমরা মানি তাহলেই আমাদের
ইমান ইসলাম /মুক্তি আসবে । আলোচনা কোরআন ও হাদিস
ভিত্তিক যার কোন সন্দেহ নাই । আল্লাহ আমাদের হেদায়াত দিন
রাছুল আমাদের রহমত দিন । মদিনায় লক্ষ কোটি দরূদ ছালাম

ছালাতুনিয়া রাছুলুল্লাহ আলাইকুম
ছালামুনিয়া হাবিব আল্লা আলাই কুম

আসলে ইমান রুহে কোরআন মগজেদিন
হাস্তে হুব্বে রাহমাতুল্লিল আলামিন ।

অর্থ ইমানের মুল কোরআনের রুহ দিনের মগজ
তিনি যিনি সমস্ত জগতের রহমত । আল্লাহর দুস্ত নবী পাক হজরত
মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে অয়াচ্ছাল্লাম ।




আল্লাহর মহত্ত্ব এবং রাছুল সা এর রহমত



মহানবী হযরত মোহাম্মদ সা সাহাবিদের নিয়ে মদিনায় পরিখা
খননে ব্যস্ত , শত শত সাহাবি প্রানান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে মাটি
মাথায় বহন করে শক্ত বাধ নির্মাণ এবং মদিনাকে শত্রুদের হাত
থেকে রক্ষা করতে খাল খননে ব্যস্ত ।

নবীজীর প্রিয় সাহাবী লক্ষ্য করলেন নবীজীর পেটে পাথর বাধা ,
পেট মোবারক ইশদ কুঞ্জিত ।

সাহাবী নবীজীর শুকনো মুখ মোবারকলক্ষ্য করে বাড়ি চলে আসে

একমাত্র সম্ভল মেষ ছাগ জবাই করে স্ত্রীকে কিছু যব পিষে খামি
বানাতে তাগদা দেয় ।
নবীজীর কানে কানে দাওয়াত দেয় সাহাবী , নবীজী তাৎক্ষনিক
সব সাহাবাকে দাওয়াত দিতে তাগদা দেন ।

সাহাবী দাওয়াত দেন সবাইকে
যথা সময়ে দলবল লয়ে নবীজী ঐ সাহাবীর বাড়িতে উপস্থিত ।
আবুআইয়ুব আনসার রা এর স্ত্রী হতবাক , খাবার মাত্র ২/৩ জনের
আর লোক ৪ হাজারের অধিক হবে ।

নবীজী রান্না করা মাংস এবং খামির মধ্য কিছুটা থুথু মোবারক
মিশিয়ে দিয়ে পরিবেশন করতে বললেন ।

সাহাবী তাই করলেন এবং সমস্ত সাহাবিদের মধ্য বিতরন করার
পরও আরও খাবার বাড়টি রইল ।

এবার সাহাবীকে ডাকলেন দয়াল নবীজী তোমার ২ সন্তান কোথায়
ডেকে নিয়ে এস ।
সাহাবীর মৌনতা দেখে নবীজী কিছু আচ করতে পেরে ডাক দিলেন
হে নাতি ইব্রাহিম ও সাদি তোমরা এস
ঘরের কোনে চাদর দিয়ে ডাকা মৃত দুভাই জিন্দা হয়ে নবীজীর
পাশে চলে এল এবং জবাব দিল ।

ঘটনা ক্রমে দুভাই পিতার মেষ জবাই দেখে চুরি লয়ে পাশের জংগলে একেঅপরে , খেলাচ্ছলে জবাই করে বসে ।
অন্য ভাই ভয় পেয়ে ছাদ থেকে লাফিয়ে সেও মারা যায় , অথচ
কেমন সাহাবা ছিল শুধু নবীজীকে রাজি খুশি রাখার জন্য
এতবড় শোক ভুলে ছেলেদের লাশ চাদর দিয়ে ডেকে রেখেছিলেন

আল্লাহু আকবার / ছুবহান আল্লাহ বলুন

নবীজী দাওয়াত খেয়ে আবার পরিখার কাজে লেগে গেলেন তার
প্রিয় সমস্ত সাহাবাদের নিয়ে ।
আর আশ্চান্নিত হলেন অনেকেই ।

পরের দিন ১০০ শত নব্য সাহাবি কালমা পাট করেন ।
লাইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুররাছুলুল্লাহ ।

মুজেজা নবীজীর প্রতি আল্লাহর এক মহত্ত্ব ।





মোহাম্মদ সা এর সাথে ইশা আ এর তুলনা করা কাদিয়ান দের অতিমত ।



আল্লাহর মনোনীত ধর্ম ইসলাম । এবং হজরত মোহাম্মদ সা আল্লাহর একমাত্র প্রেরিত পুরুষ । কোন সন্দেহর অবকাশ মাত্র
নাই । কোরআন কারিমএর আয়াত , অয়ামা আরছাল নাকা ইল্লা
রাহ মাতাল্লিল আলামিন অর্থ আপনাকে /মহাম্মদ কে / সমগ্র জাহানের রহমত সরূপ প্রেরন করা হইয়াছে ।

এখানে কাদিয়ানদের মত ঈশা আ কিয়ামতের পূর্বে শেষ নবী হয়ে
দুনিয়ায় আসবেন । কত তুকু সত্য /মিথ্যা আসুন জানি ।

ঘটনা ঈশা আ এর সময় / বিস্তারিত তাফছিরুল কোরআন আল্লামা
মাওলানা রুম রা হইতে ।

একদা ঈশা আ আল্লাহর হুকুমে মৃত কে জিন্দা করলেন এবং নানা
বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করে আবার মৃত কে অদৃশ্য করে দিলেন । বহু লোক সাক্ষি তারা ঈশা আ এর উচ্ছ প্রশংসা করলে
, তিনি মনে মনে গর্ব বোধ করতে লাগলেন । ঈশা আ কে মহান
আল্লাহ পাক ধমক দিলেন হে ঈশা নিজেকে নিয়ে অহংকার পরিত্যগ কর এবং সাগরে লাটি নিক্ষেপ কর , তাই করলেন ।
সাগর ভাগ হয়ে রাস্তা দেখা দিল । তিনি হাঁটতে লাগলেন সম্মুখে
পড়ল একটা পাথর । আল্লাহ নির্দেশ দিলেন পাথরে আঘাত কর ।
আঘাত করলে তা ফেটে গেল , দেখতে পেলেন তার ভিতরে
এক জঈফ বৃদ্ধ তসবি লয়ে আল্লাহর জিকিরে মসগুল । হে আল্লাহ নিশ্চয় ঐ ব্যক্তি আমি ঈশার চাইতেও বুজুর্গ । হে বৃদ্ধ
কতদিন পাথরের ভিতরে জিকিরে মসগুল । সটীক জানিনা
তবে শিষ নবীকে আমি দেখেছি , হিসাব অনুযায়ি হাজার হাজার
বছর । ঈশা আ সুধালেন নিশ্চয় আমার চাইতে আপনার বুজুর্গি
আল্লাহর নিকট প্রিয় । বৃদ্ধ উত্তর দিলেন না আখেরি যামানায় যে
নবী আসবে তার উম্মতের একটা রাতের এবাদতের কামাই আমার এখন ও হয়নি । কে সে । তিনি আল্লাহর দুস্ত মোহাম্মদ সা । সাথে সাথে ঈশা আ আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানালেন
ওগো মাবুদ তুমি আমাকে নবী না বানিয়ে যদি আখেরি যামানার
নবীর উম্মত বানাইতা বড় খুশি হইতাম ।

আল্লাহ পাক ঈশা আ এর দোয়া কবুল করেছিলেন , এবং জিন্দা
তাকে আসমানে রেখে দিলেন এবং কিয়ামতের পূর্বে তার
উম্মত হয়ে দুনিয়ায় আসবে ।

আল্লাহর আরেক প্রতিনিধি ইমাম মেহেদি আ আসবেন আখেরি যামানায় ,দাজ্জালের জন্ম হবে , দুনিয়া অন্ধকার ও পাপাচারে ডুবে
যাবে । দাজ্জাল ফেত্না ফাসাদ করে দুনিয়া দখল
করবে এবং মানুষ আল্লাহ্‌কে ভুলে যাবে , দুনিয়ার মোহে মজে ঈমান কে হারাবে , ইমাম মেহেদি আ এর আদেশে ঈশা আ দাজ্জাল কে ধ্বংস করবে । এবং তিনি সংসার ধর্ম পালন শেষে আবার মৃত্যু বরন
করবে এবং নবীজীর রওজার পাশেই দাফন কাফন হবে ।
মেশকাত ও বায়হকি , হাদিস সংকলন থেকে ।

এবার আর কোন কথা থাকতে পারেনা । আল্লাহ আমাদের দয়াল
নবীর উম্মত হিসাবে হেদায়েত ও রহমত দিন আমিন ।



.
ইসলাম মানবতার মহান ধর্ম দয়াল নবীজী তার অনুপম দৃষ্টান্ত ।


এক বুড়ী নবীজীর গমন পথে কাঁটা পুঁতে রাখত আর নবীজী একটা একটা করে কাটা তুলে আবার গন্তব্য যেতেন । একদিন
পথিমধ্য খাঁটা দেখতে না পেয়ে তিনি খুজে খুজে বুড়ীর বাড়ি
উপস্থিত হলেন , দেখলেন বুড়ি অসুস্থ হয়ে বিছানায় , তৎক্ষণাৎ
বুড়িকে সেবা দিলেন , বুড়ি অবাক হয়ে নবীজীর প্রতি শ্রদ্ধায়
নত হলেন এবং ইসলাম গ্রহন করলেন ।

মক্কা বিজয়ের পর বিখ্যাত মুনাফিক সরদার আবু সুফিয়ান কে হাতের মু টুয় পেয়েও ক্ষমা করে দিলেন এবং ঘোষণা করলেন যারা
মক্কার কাবায় এবং আবু সুফিয়ানের ঘরে অবস্থান নেবে তারা অধিক নিরাপদ । অথচ এই আবু সুফিয়ান ইসলামের প্রাথমিক
প্রচারে প্রধান বাধা ছিল ।

আবু জাহেলের পুত্র ইক্রামা নবীজীর প্রতি দুর্বল ছিল , জানতে
পেরে তাকে বহু নির্যাতন করা হয় । চোখ বেধে পাহাড়ের উপর
থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় । এমনকি পাথরের সাথে বেধে সাগরে
নিক্ষেপ করা হয় তবুও ঈমান থেকে তিনি বিচ্ছুতি হয়নি ।
আল্লাহর রহমতে তার কিছুই হয়নি

ভাবতে অবাক লাগে বহু মুসলমানকে
বিধর্মীরা মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বর নির্যাতন ও হত্তা যজ্ঞে অমানুষিকতার পরিচয় বহন করছে ।

জালিমেরা মানুষ হত্তা করেই ক্লান্ত নয় তারা উপসনালয় ধর্ম গ্রস্থ
কোরআন শরিফ প্রভৃতির উপরেও আঘাত হানছে , এহেন পরিস্থিতি ভবিষ্যৎ মুসলিম দুনিয়ার জন্য ভায়াবহ পরিনতি ডেকে আনবে । তাই বিশ্ব বিবেকের নিকট আমার প্রশ্ন এ অন্যায়
আচরন এর বিরুদ্ধে সরাসরি প্রতিরোধ চাই ।



দয়াল নবী পাক সা এর মুজেজা ঈমানের শক্ত আকিদা ।



আবু খুহার নামক এক বেদীন মদিনায় নিকট বর্তি সুহাফ নামক
স্থানে বাস করতেন । লোকটি তার বিবির নিকট একটা বড় মাছ

এনে তারাতারি রান্নার তাগদা দিলেন । বিবি মাছ কুটতে বসলে
লোকটি গোসলের উদ্দেশ্য নদীতে রওয়ানা হলেন ,বিবি ডাক দিয়ে
বললেন শুনছ গো আচানক খবর মোহাম্মদ নাকি সাত আসমান
পাড়ি দিয়ে আল্লাহর সাথে দেখা কইরা আইল ।
বেঈমান লোকটি কটাক্ষ করে বললেন মোহাম্মদের কথা আর
বলনা এসব মিথ্যা ধুকাবাজি ।
মনে মনে স্ত্রী লোকটি নবীজীর প্রতি বিশ্বাসী ছিল /স্বামীর এহেন
কথায় বড় মর্মাহত হলেন কিন্তু বদ স্বভাবের জন্য কোণ উচ্ছবাক্য
করলেন না । গোসলের জন্য নদীতে ডুব দিতে যাবে লোকটি /
আল্লাহর ক্ষুত্রতে ডুব দিয়ে ভাসলে তৎক্ষণাৎ সে সুন্দরি রমণীতে
পরিণত হয়ে গেল ।
মিসরের সওদাগর আজিম বখত এদিক দিয়ে যাচ্ছিলেন , রমনিকে
দেখে জাহাজে তুলে নিয়ে গেলেন এবং সাদি করে বাড়ি নিয়ে গেলেন ।
ক্রমে সাত সন্তান হল তাদের ঔরসে । বহুদিন পর নদীতে গোসল করার জন্য সদাগরের স্ত্রী গভীরে ডুব দেয় , ডুব থেকে ভাসলে আল্লাহর ক্ষুত্রতে আবার সে পুরুষে রূপান্তরিত হয়ে যায় ।

ঘাটে এসে দেখে তার সাবান তুয়ালে সব টিক জায়গায় আছে ।
বাড়ি এসে আরও অবাক হয় দেখে তার বউ এখনও মাছ কুটাতে
ব্যস্ত ।
লোকটি ধমক লাগাল গিন্নি মাছ কাটতে কি বার বছর সময় লাগে ,
কেন , তুমি তো মাত্র ডুব দেয়ার জন্য গেলা এর মধ্য বার বছর
হল কই ।
লোকটি তার বউয়ের নিকট সবিস্তার বর্ণনা করল । ইমানদার পরহেজগার মহিলা জবাব দিল / অহে ভণ্ড নবীজীর মেরাজের ঘটনা তোমার নিকট মিথ্যা হয়েছিল / সহজে বিশ্বাস করনাই
কিন্তু এখন কেমন হল ।
লোকটি সাথে সাথে নবীজীর নিকট গিয়ে কলমা পড়ে মুসলমান
হয়ে গেল । এবং উক্ত মাজেজা প্রকাশ হলে ঐ গোত্রের ৩/৪ শত
বেদীন ইসলাম গ্রহন করেছিল ।
এজন্য সদা সর্বদা আল্লাহ এবং তার রাছুলের উপর আমাদের
ঈমানকে মজবুত রাখা দুনিয়া ও আখিরাতের মুক্তি ।
আল হাদিস থেকে সংকলিত ।


ধর্ম ও জীবন



আদম আ ও হাওয়া আ মানবের আদি পিতা মাতা
তাদের ধর্ম কলমা কালাম কি ছিল ।
নিঃসন্দেহে ইসলাম ,
আল্লাহ্‌ সকল কিছু সৃষ্টি করার আগে কোরআন কে লাওহে মাহফুজে সংরক্ষিত রাখেন । গভীর সত্য

কোরআন সৃষ্টির আগেই মাবুদ তার নিজ নুর হইতে মোহাম্মদী
নুর বা নুরে মোহাম্মদ পয়দা করেন ।

মোহাম্মাদ মস্তুফা নুরুন আলা নুর
হাবিবে কিব্রিয়া নুরুল আলা নুর

মোহাম্মাদ মস্তুফা আল্লাহর নুরে পয়দা এবং তার নুরে যাবতীয়
সৃষ্টি সমুদয় পয়দা ।

এখন যিনি আবিস্কারক তিনি প্রথমে ধারনা আঁকবেন আমাকে
এই ভাবে কাজ করতে হবে এবং সটীক লক্ষ্য পৌঁছান তার
সাফল্যর স্বীকৃতি ।
তেমনি আল্লাহ পাকের গুড় রহস্য বিদ্যমান রয়েছে পবিত্র কোরআনে ।

কি ভাবে সৃষ্টি করবেন কিভাবে তাদের চালাবেন ,কিভাল কি মন্দ,
আদেশ উপদেশ তাকে চেনা তার কাছে চাওয়া প্রভৃতির বিস্তারিত
বিবরন কোরআনে পাওয়া যায় ।

আবার আদম থেকে সব নবী রাছুল গনের পূর্ব ইতিহাস তথায়
সন্নিবেশিত । আমার দিব্যজ্ঞান অবলোকন করে দেখলাম
এক জীবনে কোন মানুষের দ্বারা কোরআনকে সম্পুর্ন আয়ত্ত
করা তার জন্য মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই না ।

আমরা কোরআন পড়ব / বুঝতে শিখব যথাযত
তবেই ধর্ম ও মোদের জীবনের খাঁটি দিক নির্দেশনা মিলবে ।

.
আসলে ঈমান রুহে কোরআন মগজেদিন
হাস্তে হুব্বে রাহ মাতুল্লিল আলামিন
অর্থ ঈমানের মুল কোরআনের রোহ বা নুর এবং দিনের মগজ মানে ইসলামের মগজ তিনি যিনি সমস্ত জগতের রহমত নুর নবী
হযরত মোহাম্মদ সা । কবি আল্লামা মাওলানা রুমি রা এর জগত বিখ্যাত কিতাব মসনবি শরিফ থেকে যা কোরআন এর সার বস্তু
আবার শাহ জালাল ইয়েমেনি রা এর বয়ান
খোদা ভি হায় রেজা জুয়ে মোহাম্মাদ
খোদা মিলতা হায় দরবারে মোহাম্মদ
আল্লাহ হইতে মোহাম্মদ দূরে নয়
আল্লাহ কে লাভ করতে মোহাম্মদের দরবারে আস ।
কোরআনের আয়াত , কুল ইন কুন্তুম তুহিব্বুন আল্লাজি ফাত্তাবিউনি ইবিবকুমুল্লা এয়াগ .।.।.।.।.।.।.।।
অর্থ যদি তোমরা আমি আল্লাহকে পাইতে চাও সর্ব প্রথম আমার
হাবিব /মোহাম্মদের অনুসরণ কর । তবেই আমি তোমাদের
ক্ষমা করে দেব ।
কুন তু কাঞ্জাম মাগফিয়ান হাদিসে কুদসি
আল্লাহ বলেন আমি একটা গোপন ধন ভাণ্ডারে নিহিত ছিলাম ।
ব্যখ্যা , যখন আল্লাই আল্লাহ আর কেহ ছিলনা তখন ইচ্ছা পোষণ করলেন আমার নাম কে ডাকবে / আল্লাহর জাতী নুর হইতে সৃষ্টি করলেন মোহাম্মদ যার অর্থ প্রশংশিত যিনি শুধু প্রশংশারই যোগ্য । মোহাম্মদ সৃষ্টি হইয়া মাবুদের নাম দিলেন
আল্লাহ । কারন আল্লাহ তার নাম নিজে ডাকবে কেমন করে ।
বাংলা শের
আল্লাহর নুরে হইল সৃজন নুর নবীজীর নুর বধন
নবীজীর নুরে হইল সৃজন কুল মাখলুখাত ত্রিভুবন ।
আওয়াল আখের যাহের বাতেন এক আল্লাহ ছাড়া তার সমান আর কেহ নাই / নিজে খোদা প্রেমিক সাজে কলমাতে তা দেখতে পাই ।
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহামমাদুররাছুলুল্লাহ ।
এত এব প্রমানিত তিনিই ঈমান ও ইসলামের মগজ । আল্লাহ ও তার রাছুল সা কে আমরা জানি ,ভয় করি , এবাদতের মাধ্যমে
অবশ্যই আল্লাহ তার বান্ধার প্রতি ক্ষমাশীল ।




নবীজীর ইসলাম ও কেয়ামত পূর্ব ভবিষ্যৎ বানী




আশ্চর্য এমন কিছু দৈব ঘটবে মানুষ শংকিত হবে ।
পাপাচার বৃদ্ধি পাবে , পৃথিবীর বক্ষ থেকে ধন সম্পদ রত্নাদি বেরিয়ে
আসবে এবং লোভ চাঙ্গা হবে তা নিয়ে মারামারি কাটাকাটি শুরু করবে । বস্তুত দুনিয়াবি মোহে ঈমানকে বিকিয়ে পরস্পর ধ্বংসের
দিকে লিপ্ত হবে ।
মেশকাত ও বায়হকি


৪০ জন আলেম মিলে আর ৪০ জন আলেম কে পারস্পারিক তর্কে হারাবে , নারিরা সমাজে প্রাধান্য পাবে সব ক্ষেত্রে । যিনা ব্যাভিচার
বৃদ্ধি পাবে , মুলত আল্লাহুকে ভুলে গোমরাহির দিকে ছুটবে ।
জানিও সেই সময় টুকু অতিত জাহেল বা অন্ধকার যুগের চাইতেও
নিকৃষ্ট , ঐ সময় ইমানদারের সংখ্যা হবে খুব কম ।

তিরমিজি
হজরত আলী মা জি রা হইতে বর্ণিত ।

এহুদি নাছারাদের বক্ষ হইতে দাজ্জালের জন্ম হইবে ।
এবং আচানক ক্ষমতার অধিকারি হইবে । পৃথিবীর বহুলাংশ মানুষ তার অনুসারি হইবে । বস্তুত এক হাতে চন্ত্র আর অন্য হাতে সূর্য উদিত হইবে এবং তার আকৃতি হইবে এক চক্ষু বিশিষ্ট
মুলত তার দিকে যারা অগ্রসর হইবে তারাই জাহান্নামি ।
তার অত্যাচার যুলুমে তামাম দুনিয়ায় বিশ্রিংখলা ও হত্তা কাণ্ড ঘটবে । এত লাছ পচবে বাতাস বিষাক্ত হয়ে পশু পাখি নিশ্চিহ্ন হতে থাকবে । আল্লাহর নির্দেশিত মহা মানব ইমাম মেহেদির
আগমন হবে , তিনি এদন পাহাড়ে অবস্থান নিবে ঐ সময় তার
সংবাদ শুনে পাহাড় বা বরফের চাইয়ের উপর হামাগুড়ি দিয়েও যদি যেতে হয় তার হাত ধরবে । নিশ্চয় তিনি আল্লাহর প্রতিনিধি
তার ছুরত হবে গৌড় বর্ণ ইউছুফ আ এর মত সুন্দর , সাথে থাকবে মুসা আ,এর লাটি , ইশা আ, এর কেশ আদম আ,এর নমুনা এবং হজরত মোহাম্মদ সা এর আদর্শ । পাহাড়ে উদয় হয়ে
এমন এক তাজাল্লা চাওয়া দিবে সাথে সাথে দুনিয়াবি বিজ্ঞানিকের মারনাস্র সব ধংশ হয়ে যাবে । মক্কার কানায়ে কাবার
পশ্চাদ দেশ হতে ইশা আ, চতুর্থ আকাশ থেকে নেমে আসবে
এবং বহুসংখ্যক মুসলিম নিয়ে দাজ্জালের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হবে ।
ইমাম মেহেদির আদেশে ইশা আ দাজ্জাল কে ধরে এক আছাড়ে
পাথরের মধ্য ফেলে ধংশ করে দেবে । তামাম দুনিয়ার যারা থাকবে সবাই ইমাম মেহেদি ও ইশা আ এর নিকট তওবা করে নিবে । ইশা আ ৪০ বছর রাজত্ত করবে এবং স্বাভাবিক মৃত্যু বরন
করবে । নবীজীর রওজা মোবারকের পার্শে তাকে দাফন করা হবে । ইমাম মেহেদি আ এর কি হবে তা হাদিস শরিফে স্পষ্ট উল্লেখ নাই


। আমাকে প্রকৃত তাৎপর্য জানতে শিহা সিত্তাহ বা ছয়টি বিশিষ্ট হাদিস সংকলন ও কোরআন শরিফের তরজমা এবং বিশিষ্ট অলিদের কিতাব ঘাঁটতে হল । লেখক


এস তবে সবে সত্য ন্যায়ে
কোরআনের দিক চিনি অকুতভয়ে
মেনে চলি নুর নবীজীর সত্য বানী
দুনিয়া ও আখেরাতে রহমতের সউদা কিনি ।
শয়তানের ধুকা থেকে
আল্লাহ মোদের দিল কর ছাফ
হেদায়েতের বারিতে ঘুচে যাক অহংকার
আর গোনাহ হোক মাফ ।
কুফরের অন্ধকার নাশে
হৃদয়ে জ্বালি ঈমানের বাতি
পুন্যময় জীবন হোক
সব সময়ে মোদের সাথি ।

আমিন আমিন আমিন আমিন
ছুম্মা আমিন
আচ্ছালামু আলায়েকা ইয়া রাছুলুল্লাহ দুজাহান রহমতে ছুলতান
তাজদারে মদিনা । তার পবিত্র রওজা মোবারকে কোটি কোটি
দরুদ ও ছালাম ।
আল্লাহ তার উছিলায় আমাদের হেদায়েত এবং শাফায়াতের
প্রজ্জলিত ঈমানি নুর কে আরও মজবুত রহমতে কবুল করুন

আমিন ।



৬টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×