somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইমন যুবায়ের এর স্মৃতি স্মরণ সভা কোথায় , কিভাবে সফল হবে মুক্ত মতামত চাই

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
একজন হারিয়ে যাওয়া ইমন যুবায়ের কে খুজে ফিরছি বিনম্র শ্রদ্ধায় ,


আসুন না প্রিয় ব্লগার ভাইয়েরা একদিন একত্রে কোথাও বসি
তার স্মৃতি স্মরণে ,
যিনি ছিল সকলের প্রিয় সবার জাগরিত হৃদয় আসনে ।
তার সাথে আমার শেষ মন্তব্য শেষ কমেন্ট
স্মৃতির পাতায় ঝিলমিল ভাসে

দেখুন আরশিতে যাচাই করে

অন্ত্যজ বাঙালী, আতরাফ মুসলমান ...

বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্‌উক, হে ভগবান।রবীন্দ্রনাথ
হাছন রাজার গান: মিস্টিক বাঙালির মরমি ইশতেহার
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:১০ |


‘উড়িয়া যাইব শুয়া পাখি/পড়িয়া রইব ছায়া ...’

আজ হাছন রাজার (১৮৫৪-১৯২২ খ্রিস্টাব্দ) জন্মদিন। যিনি তাঁর গানে একটি অনিবার্য প্রশ্ন রেখেছিলেন: ‘কী ঘর বানাইমু আমি/ শূন্যেরও মাঝার।’ বোঝা যায়, এক অমোঘ শূন্যতা বোধে আক্রান্ত হয়েছিলেন বাংলার ওই মরমি গীতিকার। ঘরসংসার -এমন কী- খোদ অস্তিত্বই যেখানে অর্থহীন, অসার - তাহলে জীবন কেন? কেন ক্ষণিকের এই শূন্য জীবনে এত আনন্দের উপকরণ? সুনামগঞ্জের মরমি গীতিকার এই তিক্ত ভাবনায় বিস্মিত ও ক্ষতবিক্ষত হয়েছিলেন সন্দেহ নেই।
অবশ্য পরিনত বয়সে পৌঁছনোর আগে হাছনের মনে গভীরতরো মরমি ভাবনার উদয় হয়নি। পরিবেশও অবশ্য অনুকূলে ছিল না। বিত্তশালী পরিবারের সন্তান ছিলেন হাছন। যৌবন ছিল ইয়ার-দোস্তদের সঙ্গে মৌজ-ফুর্তিতে ভরপুর। বিলাসবহুল সৌখিন জীবনে অভ্যস্ত হাছন আসক্ত ছিলেন নারীসঙ্গে।বামাচারী তন্ত্রের চর্চা, অর্থাৎ বেসামাল যৌনাকাঙ্খার নিবৃত্তিই ছিল যে জীবনের একমাত্র লক্ষ।
সেকালের ওপরতলার পুরুষদের এহেন প্রবৃত্তি করবার সর্বজনসম্মত সামাজিক প্রথারও চল ছিল বৈ কী। হাছনের জন্ম সুনামগঞ্জের হাওর অঞ্চলে। বর্ষার মরশুমে হাওর অঞ্চলের সম্পদশালী পরিবারের পুরুষরা ঘেটু গানের দলবল নিয়ে আমোদের বিলাসী নৌকা ভাসাত হাওরের জলে। (হুমায়ুন আহমেদ- এর ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ ছবিতে এরকম দৃশ্য আমরা দেখেছি বৈকী।) যৌবনে হাছন রাজা অনুরূপ জীবনই কাটিয়েছেন। তবে হাছন রসের হাওরে ভেসেও তাঁর হৃদয় নামক ‘পিঞ্জিরা’র মধ্যে ‘প্রাণ’ নামক মন-মনিয়া পাখির ছটফটানি টের পেয়েছিলেন ঠিকই। কাজেই হাছনের পুর্নজ্জাগরণ ঘটতে সময়ও লাগেনি। তিনি সংকীর্ণতার উর্ধ্বে উঠতে পেরেছিলেন । একদা যিনি ছিলেন ভোগী, তিনি হয়ে উঠলেন ত্যাগী।পূর্বজীবনের পাঁক-পঙ্কিলতা স্মরণ করে অনেকটা আক্ষেপ করেই হাছন লিখলেন

‘ও যৌবন ঘুমেরই স্বপন/
সাধন বিনে নারীর সনে হারাইলাম মূলধন।’

মিস্টিক বাঙালির আরেক ইশতেহার রচয়িতা লালন যেমন বলেছেন:

যে ধনে উৎপত্তি প্রাণধন
সে ধনের হল না যতন
অকালের ফল পাকায় লালন
দেখেশুনে জ্ঞান হল না।

বাংলার মরমি সাধকদের এই আত্মসমালোচনা আমাদের জন্য ইঙ্গিপূর্ণ। সে যাই হোক। হাসন রাজা জেগে উঠলেন।পরিবর্তিত মানুষটি জমিদারের ঝলমলে পোশাক ছুড়ে ফেলে সংসার ত্যাগী মুছাফির-এর আলখাল্লা পড়লেন । তারপর তুরস্কের কোনিয়ায় মাওলানা রুমির মাজারের ঘূর্নায়মান দরবেশদের মতন দু’হাত তুলে ঘুরে- ঘুরে গাইতে লাগলেন:

আমি যাইমু রে যাইমু আল্লারও সঙ্গে
হাছন রাজা আল্লা বিনা কিছু নাহি মাঙ্গে ...

সত্তার এই আমূল পরিবর্তনে হাছন নিজেও অভিভূত । তার প্রমাণ তিনি রেখে গিয়েছেন। কেননা, তাঁর প্রাণমন থেকে স্ফূরিত হয়েছিল একটি গান:

বাউলা কে বানাইলো রে/
হাছন রাজারে বাউলা কে বানাই লো ...

হাছনের জীবনের এ পর্যায়ে আমরা তাঁর পরিশুদ্ধ হৃদয়ে পবিত্র প্রেমময় বোধের উদ্বোধনও দেখতে পাই:

নেশা লাগিল রে /
বাঁকা দুই নয়নে নেশা লাগিল রে/
হাছন রাজা পিয়ারীর প্রেমে মজিল রে/

এই মানবীয় প্রেমই আবার হাছনের অমলিন অন্তরলোকের রসরসায়নে সঞ্জীবিত হয়ে ঐশী চেতানায় উত্তীর্ণ হয়ে যায়:

সোনা বন্ধে আমারে পাগল করিল/
না জানি কোন মন্ত্র পড়ি যাদু করিল ...

এই প্রেম এখন আর অসংযত নয়, বহুগামী নয়। কেননা, প্রেমসাধনার কেন্দ্রে এখন রয়েছেন মহামহিম ঈশ্বর -যিনি এক। ঈশ্বর স্বয়ং বিশ্বব্রহ্মান্ডেরও মূল এক অনির্বচনীয় চিরন্তন সত্য। যিনি ব্যক্তি হাছনের কাছে ‘দয়াময়’। যে হাছনের উপলব্দিতে ঐশ্বরিক সত্তায় আচ্ছন্ন অনাদি অনন্তলোক যেমন সত্য ও বাস্তব, অনন্তকালের তুলনায় ক্ষুদ্র, তুচ্ছ এই সংসারও সত্য ও বাস্তব। সে কন্ঠক আকীর্ণ ঘাত-প্রতিঘাতময় সংসারে রয়েছে দুঃখের অবিরাম আবর্তন এবং মানবসত্তার বন্দিদশা। দুঃখার্ত এই সংসারের প্রতীক হাছনের কাছে খাঁচা। খাঁচায় বন্দি হাছন গাইলেন:

মায়ে বাপে করলা বন্দি খুশির মাঝারে/
লালে ধলায় হইলাম বন্দি পিঞ্জিরার ভিতরে রে/
কান্দে হাছন রাজার মনমনিয়ায় রে ...

‘হৃদয়’ নামক ‘পিঞ্জিরা’র মধ্যে ‘প্রাণ’ নামক ‘মন-মনিয়া’ পক্ষির ছটফটানি টের পেয়ে বিষন্ন হাছন। এই বিষন্নতার নামই বিবেকবোধ; যা মানুষে-মানুষে সমভাবে প্রজ্জ্বলিত নয়। এ রাতভর জ্বলে থাকা দেবালয়ের মিটিমিটি প্রদীপ, কখনও যা নেভে না।
এই বিষন্ন যন্ত্রণাকাতর প্রেমিক হাছন-এর সুফিপ্রাণকে বাঙালি তার হৃদয়ে গ্রহন করেছে বহুবছর আগেই। আশ্চর্য এই যে- হাছন রাজা ১৯২২ সনে পরলোক গমন করলেও তাঁর গান আমাদের সমকালীন বলেই মনে হয়। একটা সময় ছিল যখন হাছন রাজার গান মিডিয়ায় ‘লোকগান’ বলে প্রচারিত হত। কুড়ি শতক ধরে বাঙালির চেতনা সূক্ষ্ম হয়েছে, শানিত হয়েছে, পরিনত হয়েছে। যার ফলে আজ হাছন রাজার গান কেবলই নিছক ‘লোকগান’ নয়, তার চেয়েও অধিক কিছু, এ গান আজ মিস্টিক বাঙালির মরমি ইশতেহার। হাছন রাজার গান অনিবার্যভাবেই বাঙালি হৃদয়ের প্রতিনিধিত্ব করে। যে কারণে হাছন রাজার গানের দিনদিন বাঙালির আগ্রহ বাড়ছে; বিশেষ করে অসাম্প্রদায়িক বোধে অনুপ্রাণিত তরুণ প্রজন্মে। এটি আশ্চর্যের কিছু না। আর এটিও বিস্ময়কর নয় যে, হাসনের গানে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সমৃদ্ধ। হাছন রাজা মূলত সুফি ঘরনার সাধক ছিলেন। আমরা জানি সিলেট অঞ্চলটি মধ্যযুগ থেকেই সুফিবাদী ঐতিহ্যের পাশাপাশি ঐতিহাসিকভাবেই বৈষ্ণব-ভাবতত্ত্বেরও অনুশীলন হয়েছে। শিল্পী হিসেবে হাছন নিজস্ব মাটির বিভিন্ন ধারা ভাব ও সুর সমৃদ্ধ চেতনায় ধারণ করবেন লালন করবেন (আমাদেরও উদ্বুদ্ধ করবেন তেমনটি করতে) এটাই তো স্বাভাবিক। হাছন যে কারণে অনায়াসে লিখেছেন:

আমি মরিয়া পাই যদি শ্যামের রাঙ্গা চরণ
তবে সে রঙ্গিনী রাধার সাফল্য জীবন।

তবে সুফি বলেই হাছনের আত্মদর্শনের মূল ঝোঁকটি যেন বৈরাগ্যের, এবং একই সঙ্গে দয়াময় ঈশ্বরের সঙ্গে অভিন্নতার। যে কারণে তাঁরই এক গানে এই বিশেষ সুফি দৃষ্টিভঙ্গির এক সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষ্য আমরা পাই -

হাছন রাজায় কয়/ আমি কিছু নয় রে আমি কিছু নয়
ভিতরে-বাহিরে দেখি শুধু দয়াময়...

এই নিগূঢ় উপলব্দি এক বৃহৎবোধের ইঙ্গিত দেয়। পরিশুদ্ধ মানব চেতনার এ এক মহত্তম দিক। তাহলে জগতে অন্যের সুখই আমারই সুখ, অন্যের দুঃখই আমারই একান্ত দুঃখ? এই পৃথিবীর একটি পাখির কি একটি পাতার একান্ত দুঃখ ... উপকূলের নিরন্ন জেলেপাড়ায় কিংবা সিলেটের চা-বাগানে শীতার্ত পল্লীর যন্ত্রণা আসলে আমারই একান্ত যন্ত্রণা ...
তাহলে কখন আমরা উপদ্রুত মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারব?
যখন আমরা শূন্যতায় দাঁড়িয়ে বলতে পারব:

‘কী ঘর বানাইমু আমি/ শূন্যেরও মাঝার।’

এই গানই তো মিস্টিক বাঙালির মরমি ইশতেহার ...
[ হুবুহু তার পোস্ট থেকে নেওয়া ] শত শত কমেন্ট শুধু কয়েকটি
তুলে দিলাম বুঝার অভিপ্রায়ে ।


১. ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৫৩
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: এই মরমি গিতিকার তার আত্তচেতনার মধ্য দিয়ে হৃদয়ের যে আত্ত সুদ্ধিতার অমর গিতি রচনা করে গেছেন , যুগ যুগ ধরে তা বাঙ্গালী
সংস্কৃতির শ্রীবৃদ্ধি করবে এবং আত্তাধিক চেতনার বিপ্লব ঘটাবে
সব সময়ে সব হৃদয়ে ।
পোষ্টটি লেখার জন্য ধন্যবাদ

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৫৭
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।

২. ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:১৬
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: হাছন রাজা ও লালন এর মত মনের কেন্দ্রে এত গভীরভাবে স্পর্শ করতে পারে, এমন কিছুই আমি আমার জীবনে আর শুনি নাই... ভালো লাগা দিলাম ও প্রিয়তে নিলাম, অনেক ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টির জন্যে!

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৪৫
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।





৮. ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:১৩
সৈয়দ নাসির আহমেদ বলেছেন: বাউলা কে বানাইলো রে/
হাছন রাজারে বাউলা কে বানাই লো ..

ভালো লিখেছেন, পড়ে খুব ভালো লাগলো ।
ভালো থাকুন

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৪
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।



১০. ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩১
হোসেন মনসুর বলেছেন: হাছন রাজা ও লালন এর মত মনের কেন্দ্রে এত গভীরভাবে স্পর্শ করতে পারে, এমন কিছুই আমি আমার জীবনে আর শুনি নাই... ভালো লাগা দিলাম ও প্রিয়তে নিলাম, অনেক ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টির জন্যে! সহমত।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৮:২৫
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।





২০. ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:০০
জুবেরী বলেছেন: [img|http://ciu.somewherein.net/ciu/image/75349/small/?token_id=a80c67a958c3929fb80a90e742f22b5f

নিশা লাগিল রে, নিশা লাগিল রে,
বাঁকা দুই নয়নে নিশা লাগিল রে।
হাসন রাজার পিয়ারীর প্রেমে মজিল রে।।
ছটফট করে হাসন রাজা দেখিয়া চাঁন মুখ
হাসন জানের মুখ দেখিয়া জন্মের গেল দুখ।।
হাসন জানের রূপটা দেখি ফালদি ফালদি উঠে
চিড়া বাড়া হাসন রাজার বুকের মাঝে টুটে।।


না বন্ধে আমারে দেওয়ানা বানাইলো
সোনা বন্ধে আমারে পাগল করিল।
আরে না জানি কি মন্ত্র করি জাদু করিল।।
রূপের ঝলক দেখিয়া তার আমি হইলাম কানা
সেই অবধি লাগল আমার শ্যাম পিরিতির টানা।।
হাসন রাজা হইল পাগল লোকের হইল জানা
নাচে নাচে পালায় পালায় আর গায়ে জানা।।
মুখ চাহিয়া হাসে আমার যত আদি পরী
দেখিয়াছি বন্ধের দুখ ভুলিতে না পারি।।


এগো মইলা, তোমার লাগিয়ে হাছন রাজা বাউলা।
ভাবতে ভাবতে হাছন রাজা হইল এমন আউলা।।
দিনে রাইতে উঠে মনে, প্রেমানলের শওলা।
আর কত সহিব প্রাণে, তুই বন্ধের জ্বালা।।
সোনার রং অঙ্গ আমার, হইয়াছে রে কালা।
অন্তরে বাহিরে আমার জ্বলিয়ে রহিল কয়লা।।
লোকে বলে হাছন রাজা হইল রে আজুলা।
হাতে তলি দিয়া গিল্লা, করেরে কট মুল্লা।।
আজুলা হইয়া হাছন রাজায় বলে আল্লা।
বারে বারে বলে, লাইলাহা ইল্লাল্লা।
নাচে নাচে হাছন রাজা হইয়া ফানা ফিল্লা।।


রঙ্গিয়া রঙ্গে আমি মজিয়াছি রে।
মজিয়াছি রে, আমি ডুবিয়াছি রে।।
আরশি পড়শী যাই চল, যাইমু বন্ধের সনে রে।
কিবা ক্ষণে গিয়াছিলাম সুরমা নদীর গাঙ্গে।
বন্ধে মোরে ভুলাইলো, রঙ্গে আর ঢঙ্গে রে।।
হাটিয়া যাইতে খসিয়া যায় বন্ধে অঙ্গে, অঙ্গে।
ধনকড়ি তোর কিছু চায় না, যৌবন কেবল মাঙ্গে রে।
হাছন রাজায় নাচন করে প্রেমেরি তরঙ্গে।
পাইলে কখন ছাড়িবে না, এই মনে পাঙ্গে রে।।

২১. ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:০২
লক্ষ্মীপেঁচা বলেছেন: অসম্ভব ভালো লাগলো । লিখেছেনও খুব গুছিয়ে। প্লাস প্লাস প্লাস।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:১৭
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।

২২. ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৪৫
হাছন রাধা করিম বলেছেন: ইমন ভাই সামুর উচিত আপনার পোষ্টগুলোয় একের অধিক প্লাস দেওয়ার ব্যবস্হা রাখা।

আমি একজন সিলেটি হয়েও হাছন রাজাকে নিয়ে এরকম পোষ্ট দিতে পারবোনা। যতোই আপনার লেখা পড়ি ততোই আমি বিমোহিত হই আপনার পড়াশোনার পরিধি দেখে। অসম্ভব ভালো লেখা হয়েছে।

তবে একটা ব্যপার আমাকে সবসময় পীড়া দেয় আর তা হলো হাছন রাজা অথবা শাহ আব্দুল করিম অথবা রাধা রমনের গান গুলোর সিলেটি শব্দ পাল্টে বাংলা শব্দে বদলে ফেলা হয় যা অনেক সময় গান গুলোর মধুরতা নষ্ট করে দেয়। এই ব্যাপারটা নিয়ে আপনি একটু সময় করে লিখবেন দয়াকরে।

২৩. ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৫৮
হাছন রাধা করিম বলেছেন: @রাজর্ষি রায়: ভাই/বোন আপনি যে গানটা উল্লেখ করেছেন ওটা এরকম: জাইবায়নিরে হাছন রাজা রাজাগন্জ দিয়া, আরে করবায়নিরে হাছন রাজা দেশে দেশে বিয়ারে হাছন রাজা....এখদিন তর অ্ইবোরে মরন।

@সিরাজ সাই: আপনি পুরো গানকে জগাখিচুড়ি বানিয়ে দিয়েছেন। ওটা এরকম: হাছন রাজা গাইছে গান আতো তালি দিয়া, সাক্কাতে খাড়াইয়া হুনে হাছন রাজার বিয়া ।

ইমন যুবায়ের কে সার্থক ব্লগার মরণোত্তর শ্রেষ্ঠ সাহিত্য পুরস্কারে
ভূষিত করলেও তার যোগ্য প্রাপ্য সম্মান কমতি হবে বলে আমি
মনে করি ।
ধন্যবাদ সবাইকে ব্লগে তার সাহিত্যর অবদান স্বরূপ ১৫০০ এর
মত পোস্ট রক্ষিত আছে যা তার জীবনের রেখে যাওয়া শ্রেষ্ঠ
মুল্যবান দলিল হয়ে ইতিহাসে জায়গা করে নেবে , আমরা তার
গভীর আত্মায় জানাই অসীম শ্রদ্ধা ও লাল ছালাম ।


সেই যে সবাইকে শেষ ধন্যবাদ দিয়ে গেল , এখনও কমেন্টে তাকিয়ে থাকি তার একটি ছোট্ট শ্নেহাশিসের আশায় ।
আর কানে বাজে হাছন রাজার মরমি গান
মাটিরও পিঞ্জিরার মাঝে বন্ধি হইয়ারে
কান্দে হাছন রাজার মন ময়নারে
উইরা যাইব শুয়া পাখি পইরা থাকব কায়া
কিসের ঘরও কিসের বাড়ি কিসের দয়া মায়ারে কান্দে

৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×