somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমেরিকা সারা দুনিয়ায় গণতন্ত্রের গান গাইলেও সৌদিতে গায় না কেন?

০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সলে আপনার যতই টাকা থাকুক আপনি তা দিয়ে তেল কিনতে পারবেন না। আপনার ডলার থাকা লাগবে। ডলার হলো আমেরিকার টাকা। ঐটা ছাড়া তেল কেনা যায় না। সৌদি আরব সর্বপ্রথম আমেরিকাকে এই সতীত্ব উপহার দেয়। আমেরিকা তাকে নিজের মতো ভোগ করে। বিনিময়ে কেবল আল সৌদ পরিবারকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। এজন্য আমেরিকা সারা দুনিয়ায় গণতন্ত্রের গান গাইলেও সৌদিতে গায় না।


সাদ্দাম হোসেন ইউরোতে তেল বিক্রি করতে চাইছিলো। আর গাদ্দাফি স্বর্ণের বিনিময়ে তেল বেচতে চাইছিলো। দুজনের অবস্থান এখন মাটির নিচে। দেশদুটিও তাই।

অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেন যে আমেরিকা কিভাবে সারা বিশ্ব শাসন করে। এরে ওরে কন্ট্রোল করে। এমনকি এই ছোট্ট বাংলাদেশে কি হবে তা নিয়েও তার অনেক কিছু বলার আছে। শুধু আমরা কেন। রাশিয়ার মতো দেশকে সে বিপদে ফেলে। সে যেভাবে বলবে সেভাবেই সবাইকে চলতে হবে। এর এতো শক্তি কোত্থেকে এসেছে!

মূলত আমেরিকান ডলারই এর মূলে। আমেরিকা কাগজকে টাকায় রুপান্তর করতে পারে। বলেনতো আমার যদি একটা টাকা ছাপানোর মেশিন থাকতো তাহলে আমি সব কিনে ফেলতে পারতাম না? বিশ্বব্যাপী যত বানিজ্য হয় তার শতকরা নব্বইভাগ হয় ডলারে। কেন ডলারে হয়?

ধরুন আমার কাছ থেকে আপনি কম্পিউটার একসেসোরিজ কিনবেন। আমি ডলার ছাড়া বেচবো না। সুতরাং আপনি বাধ্য ডলার নিয়ে আসতে। এরপর ধরুন আপনি হাসপাতালের জরুরি জিনিসপত্র কিনবেন। আমি ডলার ছাড়া বেচবো না। আপনি স্যাটেলাইট সুবিধা নেবেন। অস্ত্র কিনবেন। কিছুই আমি ডলার ছাড়া বেচবো না। তখন আপনি কি করবেন? আপনারতো এগুলো লাগবেই আবার নিজেও বানাতে পারছেন না। আমেরিকা এমনি এমনি এরকম রাজা হয়নাই। রাজা হওয়ার মতো অনেক কাজ করেছে আর কিছু করেছে বিটলামি।

তবে দুখজনক হলো তার এই ডলারের যে এতো শক্তি তার পেছনে আমাদের সোনার আল সৌদের ভূমিকা কম না। যখন ডলার বিপদে পড়েছিলো তখন একমাত্র ক্ষমতার লোভে আল সৌদ ডলারের পতন ঠেকিয়ে দেয়। এই কয়দিন আগেও সৌদি আরবের জিগরি দোস্ত ছিলো সারা দুনিয়ায় মুসলিম নিধন করা আমেরিকা। এখনো আছে তবে সংসার না ভাংগলেও আগের মতো সুখ নাই। সৌদি তাই এখন পরকিয়া করতে চায় চিন বা রাশিয়ার সাথে। তুরস্কেরও মোটামুটি এই অবস্থা। সেও কিন্তু আমেরিকার দোস্ত ছিলো। এখন চিন রাশিয়ার গা ঘেঁষে দাড়াতে চাচ্ছে। বড়লোকদের সাথে কে না দোস্তি করতে চায়।

আমার অবজারভেশনে পৃথিবীর সমস্ত অশান্তির মূলে তার লোভী শাসকেরা। এরাই নিজেদের ক্ষমতা আর শক্তির জন্য সাধারণ মানুষকে কষ্ট দেয়। অন্যের উপর অন্যায় আচরণ না করলে এদের শান্তি হয় না। এরা আসলে মূলত শয়তানের অনুসারী। নতুবা কেন নিজেদের ভালো থাকার জন্য, নিজেদের ক্ষমতা আর লোভের জন্য এতো এতো মানুষকে হত্যা করবে, যুলুম করবে, কষ্ট দেবে। এটা নিশ্চিত শয়তানের এজেন্ডা। সাধারণ মানুষ এমন হতে পারে না।

আমি ভাবি যে মানুষের সার্জারী করে জেন্ডার পরিবর্তন করার ফায়দা কি? সেইম সেক্সের ফায়দাটা কি? এর কোন উত্তর নাই। এটা স্রেফ শয়তানের এজেন্ডা। ঠিক এমনই মানুষকে অন্যায়ভাবে কষ্ট দেওয়া শয়তানের এজেন্ডা। হয়তো শয়তান তাকে এমনভাবে গ্রাস করেছে যে নিজেও বুঝতে পারে না যে সে শয়তানের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।

পৃথিবীর মূল বিষয়ই আসলে এটা। দুইটা পক্ষ। দুইটা দল। আল্লাহর পক্ষ আর শয়তানের পক্ষ। যত কিছু সংঘাত আপনারা দেখেন তা এই দুই পক্ষের শত্রুতার কারনে। শয়তান চায় ক্ষমতা, অশান্তি, খুন, মিথ্যা, প্রতারণা, অশ্লীলতা, ভোগ। কিন্তু সবাইকে সে নিজের অনুসারী করতে পারে না বলে লেগে থাকে সংঘাত সংঘর্ষ। যেদিন সে সবাইকে নিজের অনুসারী করে ফেলবে সেদিন পৃথিবী ধ্বংস হবে।

শয়তানের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারীদের চেনার একটা ভালো উপায় বলে দিই। যখন তাদের অপকর্ম সম্পর্কে অভিযোগ করা হয় তখন তারা উল্টো নিজেদেরই শান্তি আনয়নকারী বলে দাবী করে। যত অশান্তি তারা করে সব শান্তি আর প্রগতির নামেই করে। মহান আল্লাহ তাদের কথাই কুরআনে উল্লেখ করেছেন,

“আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘তোমরা যমীনে ফাসাদ করো না’, তারা বলে, ‘আমরা তো কেবল সংশোধনকারী’" [সুরা বাকারা]।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৩
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পদযাত্রা যখন 'মার্চ টু গোপালগঞ্জ': ভাষা, অহংকার এবং রাজনৈতিক নির্বুদ্ধিতার ককটেল

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ২:০০


রাজনীতিতে সব জায়গা সমান নয়, কিছু জায়গা প্রতীকী - আর প্রতীক কখনোই নিরপেক্ষ থাকে না। গোপালগঞ্জ হলো তেমন একটি স্থান, যা শুধুমাত্র ভৌগোলিক নয়, বরং আওয়ামী লীগের ইতিহাস, আবেগ... ...বাকিটুকু পড়ুন

গোপালগঞ্জের ঘটনায় জাতি আরেকদফা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ৮:২০

জুলাই গনঅভ্যূত্থানের বর্ষপুর্তিতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া রাজনৈ্তিক দল এনসিপি জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসাবে গতকাল গোপালগঞ্জ যায়। গতকাল গোপালগঞ্জে দিনব্যপী সংঘর্ষের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ধরনের বক্তব্য দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

গোপালগঞ্জে এটা দরকার ছিল!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ৮:৫৪


দফায় দফায় হামলা-সংঘর্ষ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অ্যাকশনে উত্তপ্ত গোপালগঞ্জ। হামলা-সংঘর্ষের সময় অন্তত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও অনেকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রথমে জেলা শহরে ১৪৪ ধারা ও পরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

NCP'র গাড়ি বহর নিয়ে গোপালগঞ্জ পদ যাত্রা....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:০৪

NCP'র গাড়ি বহর নিয়ে গোপালগঞ্জ পদ যাত্রা....

সার্বিক অর্থে NCP তাদের পূর্ব ঘোষিত জেলায় জেলায় পদযাত্রা সফর হিসেবে (NCP নেতা সার্জিসের ভাষায় রোড মার্চ টু গোপালগঞ্জ) গোপালগঞ্জে সফল হতে পারেনি স্থানীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

জঙ্গির ভুক

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:৪৮


এই বার বুঝও রঙিন পাখির দল
জঙ্গি কারা- জঙ্গি কারা, বাঁচবে না
ঘর হারা- চিনেছে এই জলপাই
কিংবা আম কাঁঠাল পাঁকার গন্ধ-
শুনেছি ধুয়া তুলসীপাতার কথা;
তুলসী ভাষা এখন জঙ্গির আস্তানা
চলবে না আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

×