ঘড়ির কাঁটা বেড়ে চলেছে নিজস্ব গতিতে,
গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে চন্দ্রহীন রাত।
বাঁশ ঝোপের পাশে মিটি মিটি আলো জ্বালিয়ে
সামনের পথ দ্যাখায় একগুচ্ছ জোনাকি,
ভোরের আভা বেরুতে শুরু করেছে,
পূর্বকোণ জুড়ে রক্তিম ছিটে ফোঁটা জানান দিচ্ছে প্রভাতের!
তাই, কিচির মিচির কলরবে পাখির দল মুখরিত রেখেছে চারপাশ।
পাখিগুলোর মুক্ত রবের বহিঃপ্রকাশে
কর্মব্যস্ততা আর চাঞ্চলতা ফিরে পাচ্ছে মানুষজন।
শ্বেত পায়রার ঝাঁকও ডানা মেলে
পাড়ি জমিয়েছে নীলাভ খোলা আকাশে।
পাখিদের স্বাধীনতা, মুক্ত কলধ্বনি
স্বতঃস্ফূর্ত জীবন নির্বাহের প্রতীক
হিশেবে জোনাকির ঐ আলোর মতন
পথ দেখায় শত-সহস্র প্রতিকূল অন্ধকারেও।
আর আমরা মানুষ; বিষাক্ত এ পরিবেশে
আমাদের সত্য-স্পষ্ট কথা মুক্তভাবে
আলোচনা করতেও প্রয়োজন পড়ে চরম সাহসের!
প্রত্যেক মানুষ তাঁর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে
মুখে লাগাম লাগিয়ে হাতে-পায়ে শিকল বেঁধে বন্দী,
কেননা, এ পশ্চাদ্মুখী অবস্থায় প্রাসঙ্গিক কোন বচন
প্রকাশ করতেও দরকার অসীম সাহস ও ক্ষমতার জোর।
যে ক্ষমতালিপ্সু ক্ষমতায় আসে,
তার মুখে মিথ্যার ফেনা উঠে
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গণতন্ত্রকে সুসমৃদ্ধ করবার!
কিন্তু, এখানকার বনে-জলে-জঙ্গলে কিংবা মাটির চতুর্দিকে
বুলি আওড়ানো গণতন্ত্র একনায়কতন্ত্রের প্রকারন্তে
মানসিক ও দৈহিক গণধর্ষণতন্ত্রের পাতানো
ফাঁদের জালের মতো ব্যাপককারে আবৃত-বিস্তৃত।