somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বসন্তের বর্ষন বেলা-শেষ পর্ব

১৮ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার ধারণা ঠিক ছিলো!মেইলটা পড়ার পর আপুর মুখে প্রচন্ড আনন্দ ফুঁটে উঠেছিলো!একটা সময় সেল ফোনটাও হাতে নিয়েছিলো কিন্তু খানিক পরেই আবার তা রেখে দিয়েছে!

আমি পুরোপুরি না হলেও এতটুকু বুঝতে পারছি,প্রচন্ড এক ঝড় বয়ে যাচ্ছে মুপ্পুর ভেতরে!যেখানে আছে,ভালোবাসা-অভিমান,পাওয়া-না পাওয়া,আবেগ-বাস্তবতার কালো মেঘ! আজ হয়তো ও ফিরে যাবে,কিন্তু কোন নিশ্চয়তা নেই,কাল আবারো একই ঝড় শুরু হবে না!যে অপূর্ণতার বিষ বৃক্ষ ওদের মাঝে জন্মেছে তা থেকে ভালোবাসা-সম্পর্ককে বাঁচিয়ে রাখা খুব সহজ না। আর তাই আপু না পারছে ফিরে যাবার সিদ্ধান্ত নিতে আবার না পারছে সব ভুলে থাকতে!

মুপ্পু আসার পর এত গুলো দিন গেছে,আমি কোনদিন ওকে রাতে একা একা বসে কাঁদতে দেখিনি,কিন্তু আজ মাঝরাতে টের পেলাম ও ব্যালকনিতে বসে কাঁদছে! আজ অনেক বছর আমি ওর এমন ফুঁপিয়ে কান্না দেখলাম।

বাবা চলে যাবার পর,আমাদের ঘরে যে ঝড় বয়ে গিয়েছিলো,সে সময় এই মুপ্পুই মা আর আমাকে প্রচন্ড শক্ত ভাবে আঁকড়ে ধরে রেখেছিলো,আত্নীয় স্বজনরা চেয়েছিলো মুপ্পুকে বিয়ে দিয়ে মা কে ও অন্য কোথাও বিয়ে করিয়ে দিতে!আর আমাদের বাড়ীটা ভাড়া দিয়ে দিতে। সব শুনে মুপ্পু কারো তোয়াক্কা না করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো,এই সংসারের হাল ধরার।

ও ধরতে পেরেছিলো বটে! কষ্ট সহ্য করার চরম ট্রেনিং বুঝি ও সেই অল্প বয়সেই পেয়েছিলো!সে সময় আমি মাঝে মাঝে টের পেতাম,ও রাতে বালিশ ভিঁজিয়ে কাঁদে!কখনো ঘুমের মাঝে অস্ফুট স্বরে,'বাবা,বাবা'বলে ডেকে উঠতো!

আজো আবার ও কাঁদছে,মুহিন ভাইয়ের জন্য!কে জানে?সাত সমুদ্র তের নদীর ওপারে বসে মুহিন ভাইও হয়তো ওর কথা মনে করে প্রচন্ড কষ্ট পাচ্ছে,দিন শেষে বাড়ি ফিরে ওর মুখটা খুঁজে বেড়াচ্ছে,একা বাসায় ওর সাথে একটু কথা বলার জন্য হয়তো হাঁপিয়ে উঠছে!

গত দু'দিন যাবত খুব চুপচাপ হয়ে আছে মুপ্পু!স্বাভাবিক থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করছে ঠিকই কিন্তু ভেতরে ভেতরে দুর্বল হয়ে পড়ছে! আমার নিজেরও খুব কষ্ট হচ্ছে,কিছুই করতে পারছি না বোনটার জন্য!বার বার মনে হচ্ছে,কিছু একটা যদি করতে পারতাম!...

একমাত্র আল্লাহই এখন ভরসা,তার ইশারা থাকলে কিভাবে সব কিছু পাল্টে যেতে পারে তা চিন্তাও করা যায় না!

প্রায় এক সপ্তাহ ধরে আমি খেয়াল করে দেখছি,মুপ্পু কেমন যেনো অসূস্থ হয়ে পড়ছে!চোখের নীচে কালি পড়ে যাচ্ছে,খাওয়া দাওয়া আগের চাইতে অনেক কমে গেছে!মা এর চোখেও ব্যাপারটা ধরা পড়েছে,জিজ্ঞেস করলে বলেছে,শরীর খুব দুর্বল লাগে!আর ক্ষিধে লাগে না!প্রচন্ড পরিশ্রম আর মানুষিক চাপের কারণেই হয়তো...

মা কয়েকবার ডাক্তার দেখানোর কথা বলেছে,কিন্তু ছুটির দিনের অপেক্ষায় আর যাওয়া হয়নি এখনো! আজ ছুটির দিন বিধায় সকালে আমি নিজেই ফোন করে ডাক্তারের চেম্বারে সিরিয়াল দিলাম,বিকেলে মা এর সাথে ও চলে গেলে,আমিও সোমার বাসায় যাওয়ার জন্য বের হলাম।

সন্ধ্যার আগে আগে বাসায় ঢুকে সিঁড়ি বেয়ে ফ্ল্যাটের কাছে এসেই দেখলাম,নবনী আর তার চাচা এসেছেন,ফ্ল্যাটে তালা দেখে সম্ভবত ফিরে যাচ্ছেন! আমাকে দেখে নবনী বলে উঠলো,

-ঐ তো সিন্ড্রার বোন এসেছে!

আমি হেসে বললাম,

-কেমন আছো তুমি?আজ তো সিন্ড্রা বাসায় নেই!

নবনীর চাচা জিজ্ঞেস করলেন,

-বাসায় নেই?কখন ফিরবেন?

আমি ব্যাগ থেকে চাবি বের করতে করতে বললাম,

-আসলে আপু,ক'দিন থেকে কিছুটা অসূস্থ্য তাই বিকেলে ডাক্তারের কাছে গেছে,ফিরবে কখন ঠিক বলতে পারছি না!বসুন আপনারা?

উনি একবার নবনীর দিকে তাকিয়ে বললেন,

-নাহ,আজ বরং আমরা যাই,যেহেতু আজ ম্যাম বাসায় নেই,আবার আরেকদিন আসবো ঠিক আছে?

নবনীও মাথা নেড়ে সায় দিলো। ওরা সিঁড়ি দিয়ে নামতে যেয়েও আবার থকমে দাঁড়ালো!নবনীর চাচা আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,

-আপনি সেদিন গেলেন না কেন?আমরা ভেবেছিলাম আপনি যাবেন!ভাবি আগে কিছু বলেনি দেখেই কি যাননি?

আমি দ্রুত কন্ঠে বললাম,

-না না,তেমন কোন কারণ নেই!আমি আসলে একটু ঘরকুনো!কোথাও খুব একটা যেতে ইচ্ছে করে না!আপু বলেছিলো খুব,বাট ইচ্ছে করলো না,তাই...

-ও,আচ্ছা,ঠিক আছে পরে কখনো সুযোগ পেলে যাবেন আশা করি!আসি তাহলে...

আমি কিছুক্ষন ওদের যাওয়ার পথে তাকিয়ে থাকলাম,একটা সময় আনমনেই ঠোঁটে হাসি ফুঁটে উঠলো!

দুই আর দুই এ চার এর অংক করতে সবাই ই পারে,কিন্তু শূণ্যের সাথে এক যোগ করে সংখ্যার ফল বের করতে সবাই জানে না!তাই সত্যি-মিথ্যার বিচারটা এখানে মূখ্য না।

বাসায় মনে হচ্ছে বোমা ফেটেছে! স্পেশালি মুপ্পু আর মা এর মুখে!ডাক্তারের চেম্বার থেকে আসার পর একটা কথাও ভালো মতো কেউ বলেনি!এমন থমথমে মুখ দেখে আমিও আর বেশি কিছু জিজ্ঞেস করার সাহস পেলাম না!বাট মনের ভেতর কৌতুহলের পাশাপাশি,দুঃশ্চিন্তাও ঘুরতে লাগল,কোন খারাপ কিছু হয়নি তো!কি এমন হয়েছে যে দু'জনেই চুপ হয়ে আছে!!

রাতে একবার মুপ্পুর সাথে কথা বলার জন্য ওর রুমে গেলাম,কিন্তু দেখি ও লাইট অফ করে শুয়ে আছে! মা কে জিজ্ঞেস করলাম,খুব বেশি কিছু বললো না,শুধু বলল,ডাক্তার টেস্ট দিয়েছে কিছু,করার পর বলা যাবে।

এর পরের সপ্তাহ ক্লাস টেস্ট-এস্যাইনমেন্টের ঝামেলায় মুপ্পুর সাথে আর বসা হয়নি,বাট দেখলাম কি কি যেনো টেস্ট করানোর জন্য গিয়েছিলো,আবার রিপোর্ট নিয়েও ডাক্তারের কাছে গেলো,কিন্তু কি যে হচ্ছে তা আর জানার সময় পাচ্ছিনা!

আজ শুক্রবার,সকাল থেকেই আকাশ কেমন মেঘলা হয়ে আছে,কাল রাতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিও এসেছিলো,বসন্তের শুরুতে এই আবহাওয়ার মানে কি বুঝিনা! প্রচন্ড ঠান্ডা বাতাসও বইছে দেখে,জানালা লাগিয়ে রাখলাম।

নাশতা শেষ করে,মগে চা ঢালতে ঢালতে ভাবলাম,এখন যেয়ে আপুর সাথে বসবো। কি হয়েছে জিজ্ঞেস করবো। কিন্তু কলিংবেল বেজে উঠলো হঠাত!কে এলো এই সময় আবার? চা রেখে দরজা খুলতে দৌড়ে গেলাম,কিন্তু দরজা খুলে সম্পূর্ণ নির্বাক আর অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম!!!

আগন্তুক আমাকে দেখে ভ্রু নাঁচিয়ে হাসল!স্টাইলটা একদম আগের মতো,একটুও বদলায়নি!আমাকে ইশারায় প্রথমে চুপ করতে বললেন,তারপর দরজা থেকে সরে যেতে বললেন। আমি যন্ত্রচালিত রোবটের ন্যায় সরে দাঁড়ালাম। উনি ভেতরে ঢুকলেন। পুরো ব্যাপারটাই আমার কাছে স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে!

ঘন্টা খানেকের মধ্যেই আমার মনে হলো,আমাদের বাসাটাতে আজকে ঈদ হচ্ছে! এতো খুশী মনে হয় না লাস্ট অনেক গুলো বছরে এসেছিলো! আমি একদফা খুশীতে কেঁদেছি,এখন মনে হচ্ছে আরেকদফা কাঁদতে হবে!

ওদিকে মুপ্পু কতক্ষন হাসছে,তো একটু পর চেঁচামেঁচি করছে!ওর রাগী রাগী সে মুখটা দেখার মতো মনে হচ্ছে!আর মা?

তার মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে,আজ তার খুশী সপ্তম আকাশে ছুঁয়েছে!একবার একে-ওকে ফোন করে,আবার ফ্রিজ থেকে মশলা-মাংস নামায়,আজ নাকি অনেক কিছু রান্না করবেন তিনি! আমি এই ফাঁকে যেয়ে চমচম আর রসমালাই নিয়ে এসেছি,মেয়ের জামাইকে নাকি মিষ্টি দিয়ে প্রথমে আপ্যায়ন করতে হয়!!

ফাইনালি আমাদের সবার বিশেষ করে মুপ্পুর ডাক আল্লাহ শুনেছেন,আর তাই খুব শীঘ্রই আমি খালামণি হবো!আর এই খবর শোনার পর মুহিন ভাই দু'দিনও জাপানে থাকতে পারননি,কোন রকমে একটা ল্যাগেজ নিয়ে চলে এসেছেন,তবে হ্যাঁ,আসার সময় মনে করে আপুর জন্য একটি ফিংগার রিং আনতে ভুলেননি!তাও আবার লাভ শেপের!

কিন্তু মুপ্পু ক্ষেপেছে,কেন ফুল আনা হয়নি!অন্তত একটা গোলাপ তো আনতে পারতো নাকি?একটু পর পর ই সে চেঁচিয়ে উঠছে,

-শাহাবাগ হয়ে আসলা,আর একটা ফুল আনতে পারলে না?এমনে সময় দেখি ফুল ছাড়া বাসায় আসো না,আর আজকে?ক'দিন আমি ছিলাম না,আর ওমনি সব ভুলে বসে আছ না?

দুলাভাই এই নিয়ে কত্তবার সরি বললো আল্লাহই ভালো জানে!বেচারা পারলে এখনই দৌড়ে যায় ফুল আনতে,কিন্তু এতোদিন পর বউকে রেখে কোথাও নাকি তার যেতে ইচ্ছে করছে না!! অগ্যাত,আমিই ছাদ থেকে গোলাপ ছিঁড়ে আনলাম!

আর মা করছে আরেক টেনশন!,তার নাতি-নাতনি টা কি এই দেশে হবে,নাকি টোকিও তে!ওখানে হলে মুপ্পুর দেখাশুনা করবে কে?ইত্যাদি ইত্যাদি!

খেতে বসে মুহিন ভাইকে এক দফা খোঁচা দিলাম,

-কি?এখন নিজেকে খুব বাপ বাপ মনে হচ্ছে না?আর যাচ্ছিলেন তো আরেকটা বিয়ে করতে!!একটু সবুরও করা যায়নি না?এই মুপ্পু,একে মাফ এতো সহজে করবি না বলে দিচ্ছি!

মুপ্পু হাসতে হাসতে বলে,

-আসলেই তো!শাস্তি তো দেয়া হয়নি তোমাকে!

দুলাভাই নাক কুঁচকে রুমের দরজায় দাঁড়ানো আমার দিকে তাকিয়ে বলল,

-কূটনামি কম করো!আমি কিন্তু এখন মুরুব্বিও হচ্ছি বুঝলা?

-ইহহ,কি মুরুব্বি!!ধরে আপনাকে আবার আপুর সাথে বিয়ে দিয়ে দিবো দাঁড়ান!

দুলাভাই একটা রসমালাই মুখে দিয়ে বলল,

-আরেকবার কেন,তুমি বরং আরো তিনবার বিয়ে করিয়ে দাও,একবারে ঝামেলা শেষ!হাহাহা!ও হ্যাঁ,সেই সাথে আমার ভায়রা ভাই এর ব্যবস্থাটাও করে ফেলা যায়!এক ঢিলে অনেক পাখী মারা হবে,কি বলো মিতু?ঠিক বলেছি না মা?

মা হাসলেন,আর মুপ্পু খুব উৎসাহ নিয়ে বলল,

-আরে তুমি বিয়ের আয়োজন করো,তোমার জন্য ভায়রা খোঁজার কাজ হয়ে গেছে বলা যায়!!

আমি আর দুলাভাই একসাথে বলে উঠলাম,

-কি????!!!!

আপু হাসতে হাসতে মা এর দিকে তাকিয়ে বললেন,

-আমার এক ছাত্রী আছে বুঝলে,নবনী নাম,ওর এক চাচা আছেন,যারা মাথার চুল নাকি কিছুটা লালচে!তো সেই লাল চুলের লোকটা,আমাদের নিতুর জন্য অনেকদিন ধরে পথচেয়ে বসে আছে!সেদিন তো নবনীর মা আর দাদী,আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রস্তাবও দিয়েছেন,এখন শুধু আমাদের 'হ্যাঁ'বলা বাকী!

আমি দাঁতে দাঁত চেপে কপট রাগ দেখিয়ে বললাম,

-ওহ,আচ্ছা?এই কাহিনী না?তাই তো বলি,ঐ ব্যাটা আমার ভার্সিটির সামনে ঘুরে কেন?! ধুর...আর তোমরাও!কথাই বলবো না আর যাও!

বলতে বলতে আমি রুমের দরজা লাগিয়ে বসলাম।মা খুব উচ্ছ্বাসিত কন্ঠে বললেন,

-একেই বলে আল্লাহর রহমত,আজ কতোদিন পর মনে হলো,আল্লাহ আমার মেয়ে দু'টোর উপর অনেক রহম করেছেন!না হলে,এমন দিন দেখতে হবে তার আশা তো ছেড়েই দিয়েছিলাম,আসলে বিশ্বাস রেখে চাওয়ার মতো চাইলে আল্লাহ যে অবশ্যই দেন,তা আরেকবার বুঝতে পারলাম। এখন যেনো সব কিছু আল্লাহ সুন্দর ভাবে সম্পন্ন করেন সেই দোয়াই করি।

আমি মনে মনে বললাম 'আমীন'। আমার আজ অনেকদিন পর খুব ইচ্ছে করছে বাবা কে দেখতে!খুব ইচ্ছে করছে...

ডায়নিং রুম থেকে কানে আমার ঠিকই আসছিলো,আপু আর দুলাভাইয়ের হাসির আওয়াজ,মাঝে মাঝে মায়ের উচ্ছ্বাসিত কন্ঠের কথাও শুনছিলাম,আর এপাশে আমি বোধহয় সুখের কান্নাই কাঁদছিলাম।

সেই সাথে অদ্ভুদ বাঁধনহারা আনন্দে মনটা ভরে উঠলো। বাইরের আকাশের দিকে তাকালাম... মেঘটা আরো গভীর হচ্ছে,সেই সাথে ঠান্ডা বাতাস,তার বৃষ্টি আসছে! এখন মনে হচ্ছে,বসন্তের এই অদ্ভুদ আবহাওয়ার মানে বুঝতে পারছি!

প্রকৃতির এমন হঠাত বদলে যাওয়া রূপের ছোঁয়াতেই বদলে যায় অনেক কিছু। সব বর্ষণ বেলাই কোন কোন না গল্পের সূচনা অথবা সমাপ্তি টানে। এই বসন্তের বর্ষণটাও অনেক দীর্ঘ কোন গল্পের সমাপ্তি ঘটয়ে নতুন আরেক গল্পের সূচনা করলো...

[সমাপ্ত]

[এই গল্পটা আমি যখন লেখা শুরু করেছিলাম,তখন আমার চারপাশে অনেক গুলো সম্পর্ক ভাঙ্গার গল্প চলছিলো!আমার চোখ দেখতো,সেই ভেঙ্গে যাওয়া গল্পের মানুষ গুলোর লুকানো কান্না,কিংবা অনুভব করতাম অনেক চাপা কষ্টের দীর্ঘশ্বাস গুলো! এই গল্পের বাস্তব প্রেক্ষাপটে সাধারনত শেষ পর্যন্ত মুহিন আর মিতুদের পথটা আলাদা ই হয়ে যায়,আর মাঝখান থেকে নিতুরা আরেকটাবার খানিকটা সুখের বিনিময়ে কষ্টের কঠিন ধাক্কা খেতে শিখে,সেই শেখাটা কে হয়তো আমরা কটাক্ষ করে বলি,'নেগেটিভ চিন্তাধারা'। তবে জীবনটা পুরোপুরি গল্পের মতো হলেও,গল্পগুলো পুরো জীবন হতে পারে না,আর তাই,এই গল্পের সমাপ্তিটা এমন হতে পেরেছে... :) ]
১ম পর্ব- Click This Link
২য় পর্ব- Click This Link
৩য় পর্ব- Click This Link
৪র্থ পর্ব- Click This Link
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×