মেঘের ওড়াউড়ির মধ্যেই ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি। তাই দলের বেশিরভাগই হোটেলে বসে জমিয়ে আড্ডা দেয়ার পক্ষে। গান আর হল্লায় জমেও গেলো মুহূর্তে! এর মাঝেও মনের ভেতর কিসের যেন টান! কাঞ্চনজঙ্ঘার কি?
হঠাৎ দলছুট হয়ে আবারও চলে গেলাম প্রিয় সেই ম্যালে।
গিয়েই এই আবিষ্কার! বৃষ্টির ভেতর আর সবাই ছাউনির আশ্রয় নিলেও এই দেবশিশু যেন ফড়িং হয়ে উড়ছিল! ওর ছবি তোলার অনুমতি চাইতেই
তরুণ বাবা-মা সোৎসাহে রাজি। অতপর ঝটপট ক্লিক! ক্লিক!
'না, বৃষ্টিতে ভিজতে হবে না, ঠাণ্ডা লাগবে!' না টিপিকাল বাবা-মায়ের মত এমন কোন কড়া ডায়লগ মেয়েটিকে শুনতে হয়নি, বরং ওর বাবা-মা ওকে যেন পাখীর স্বাধীনতায় ছেড়ে দিয়েছ! মনে মনে ওর এমন জনক-জননীকে স্যাল্যুট জানালাম। আর মুহূর্তে স্বপ্ন খেলে গেলো, কোনকালে কি আমারও এমন টুকটুকে একটা মেয়ে.....
দার্জিলিং-এর বুনোফুল নয়, পাহাড়-জঙ্গল আর মেঘেদের সাথে খেলতে খেলতে ক্লান্ত, পঁচা সভ্যতার ভণ্ড প্রতিভূ যেন এক, ভীষণ লোভে, আঘ্রাণ করছে আদিম অরণ্য!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




