সময়টা ছিলো ১৯৭৮ সাল। নির্বাচনী প্রচারে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান গিয়েছিলেন গোপালগঞ্জে। কিন্তু গোপালগঞ্জ তাঁকে স্বাগত জানায়নি। মঞ্চে ওঠার আগেই স্থানীয় জনগণের তীব্র প্রতিক্রিয়া ও প্রতিরোধের মুখোমুখি হন তিনি। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, তাঁকে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে তাৎক্ষণিকভাবে খুলনায় সরিয়ে নেওয়া হয়। এই ঘটনা তখন সামরিক বাহিনীর মধ্যেও চাঞ্চল্যের জন্ম দেয়।
স্বৈরশাসক এইচএম এরশাদ চেয়েছিলেন গোপালগঞ্জে ঢুকতে। পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র এবং সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণে থাকা সত্ত্বেও তিনি গোপালগঞ্জে ঢোকার সাহস পাননি। চেষ্টা করেও সফল হননি। গাড়ি ঘুড়িয়ে দেওয়া হয় নিরাপত্তা বেস্টনি করে। গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগ ছাড়া সবার জন্য ছিলো এক অদৃশ্য দেওয়াল।
সেই জায়গায় এনসিপির তরুণরা ইতিহাস সৃষ্টি করে গোপালগঞ্জে গিয়ে "মুজিববাদ মুর্দাবাদ" স্লোগান দিয়ে এসেছেন!
অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলছেন যে এনসিপির পুরো নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং নিজেদের দলীয় সক্ষমতা বিচার না করে গোপালগঞ্জে যাওয়া ঠিক হয় নাই।
আমার দৃষ্টিতে তাদের এই কর্মসূচী সম্পূর্ণ ঠিক আছে। তারা সাহসিকতার সাথেই সেখানে বক্তব্য রেখেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা অবৈধ অস্ত্র নিয়ে এসেছিল যেটা মোকাবিলায় তারাও কোন অবৈধ অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে যায় নি। শক্তির পার্থক্যটা এখানেই!


আজকের এই হামলার ঘটনার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ যে সত্যিকারের একটা সন্ত্রাসী দল, সেটা আরেকবার প্রমাণ হয়ে গেল। এটাই এনসিপি’র এই কর্মসূচীর সার্থকতা!
সরকারের দায়িত্ব হল, এই সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে গোপালগঞ্জ পরিস্কার করা এবং দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে এদের বিচার করে শাস্তি দেয়া। আর এজন্য সর্ব প্রথম প্রয়োজন আমাদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অপসারন করে যোগ্য কাউকে নিয়োগ দেয়া। এনজিও সরকারের কারণে জুলাইয়ের অর্জন এখন অনেকটাই হুমকির মুখে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১২:৩১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




