আপনার কাছে যদি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরটির নাম জানতে চাওয়া হয়, তবে আপনি কি উত্তর দিবেন? নিশ্চয় বলবেন, লন্ডন। দু:খিত, আপনার উত্তরটি ভুল। এবার নিশ্চই বলবেন, নিউ ইয়র্ক। নাহ্ এবারও ভুল উত্তর দিলেন! পর্যায়ক্রমে জেনেভা, টোকিও অর্থ্যাৎ ইউরোপ, আমেরিকা এবং এশিয়ার সব বড় বড় শহরই এই শীর্ষস্থানটির দখলে নেই। বাকি রইলো আফ্রিকা৷ হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন নগরীটি আফ্রিকার অ্যাঙ্গোলার রাজধানী, লুয়ান্ডা৷
লুয়ানাডা বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল নগরী। আর্থিক বিষয় সংক্রান্ত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মারসার এক জরিপ চালিয়ে পেয়েছে চাঞ্চ্যল্যকর এই তথ্য৷ মারসারের এই জরিপের মূল দায়িত্ব যিনি পালন করেছেন, সেই নাথালি কনস্ট্যানটিন মেটরাল বলেন, অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে আফ্রিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে৷ অনেক নামীদামী কোম্পানিই এখন সেখানে বিনিয়োগের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছে৷
প্রথম স্থান অধিকারী লুয়ান্ডা ছাড়াও বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ১০ নগরীর তালিকায় রয়েছে আফ্রিকার তিনটি শহরের নাম। তৃতীয় স্থানটিও আফ্রিকার আরেক দেশ চাদের রাজধানী এনজামেনা, শীর্ষ দশে সপ্তম স্থান নিয়ে আফ্রিকার তৃতীয় দেশটি হচ্ছে গাবনের লিব্রেভেলে৷
তালিকায় এই অবস্থান অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ বলে এক সময় পরিচিত আফ্রিকার সাম্প্রতিক উন্নয়নের চিত্রই তুলে ধরে বলে মনে করা হচ্ছে৷
শীর্ষ দশে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে এশিয়ার তিনটি শহর৷ এর মধ্য জাপানেরই দুটি৷ টোকিও রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে এছাড়া অন্য শহরটি হলো ওসাকা৷ এর স্থান ষষ্ঠ৷ অষ্টম স্থানে রয়েছে হংকং৷ অল্পের জন্য শীর্ষ দশে স্থান করে নিতে পারেনি সিঙ্গাপুর৷ তার স্থান একাদশ৷ ২১৪টি শহরের ওপর জরিপ চালিয়ে মঙ্গলবার তার ফলাফল প্রকাশ করে মারসার৷ বাড়ি ভাড়া, গাড়ি ভাড়া, বিনোদন ব্যয়, খাদ্য ও পোশাকের দামসহ অন্তত ২০০টি বিষয়ে খরচের তুলনা করে চূড়ান্ত করা হয় এই তালিকা৷
ইউরোপের সবচেয়ে ব্যয়বহুল নগরী হলো মস্কো, এর স্থান চতুর্থ৷ এর পরের স্থানটি জেনেভার৷ হংকংয়ের সঙ্গে যৌথভাবে অষ্টম স্থানে আছে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ এবং দশম স্থানে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন৷ লন্ডন আর প্যারিস যৌথভাবে আছে সপ্তদশ স্থানে৷
তালিকায় থাকা ভারতের দিল্লি, মুম্বাই ও ব্যাঙ্গালোরের স্থান যথাক্রমে ৮৫তম, ৮৯তম এবং ১৯০তম৷ চীনের বেইজিং আছে ষষ্টদশ স্থানে, সাংহাই ২৫তম স্থানে৷ নাথালি বলেন, মন্দা কাটিয়ে এই বছরের শুরুতে অর্থনীতি একটু সুস্থির হওয়া শুরু করায় এশিয়ার দেশগুলোতে বাড়ি ভাড়া বেশ বেড়ে গেছে৷
মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ব্যয়বহুল নগরী তেল আবিব৷ এর স্থান ১৯তম৷ আবুধাবি ও দুবাইয়ের স্থান যথাক্রমে ৫০তম এবং ৫৫তম৷ মধ্যপ্রাচ্যে জীবনযাত্রার জন্য সবচেয়ে সস্তা নগরী হলো লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি৷ গোটা আমেরিকার মধ্যে ব্রাজিলের সাও পাওলো সবচেয়ে ব্যয়বহুল নগরী৷ তার স্থান ২১তম৷ এর চেয়ে ছয় ধাপ পরে আছে নিউ ইয়র্ক৷ আর লস এঞ্জেলেস আছে ৫৫তম স্থানে দুবাইয়ের সঙ্গে৷ নাথালি বলেন, অনেকের ধারণা উন্নয়নশীল বিশ্বে ব্যয় তুলনামূলক কম৷ তবে যারা এসব স্থানে কাজ করেন, তাঁরা বেশ ভিন্ন অভিজ্ঞতারই সম্মুখীন হয়েছেন৷
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।