আমরা অনেক রকম ভুতের কথা শুনেছি। এদের মধ্যে কিছু কিছু ভূত তো
আবার বিখ্যাত। যেমন, সিন্দাবাদের ভূত, বিক্রম ও বেতাল, নিশি ভূত, যক্ষের ধন পাহারা দেয় যে ভূত ইত্যাদি ইত্যাদি। আজও মানুষের মুখে মুখে চলে আসছে এদের গল্প। মানুষের উপর ভূত ভর করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কখনো কি শুনেছেন, ভুত আমাদের ব্যবহার্য কোনো জিনিষের উপর ভর করেছে? শুনেননি তাই তো? আজ আমি আপনাদের এমনই একটি ভৌতিক গাড়ির কথা বলবো।
গাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছিল অস্ট্রিয়ার যুবরাজ আক উয়ুক ফাদিনান্দের জন্য। আর এরপর থেকেই এত আজব আজব কান্ড ঘটতে থাকে যে, এটাকে এককথায় ভূতুরে কান্ড না বলে আর উপায় নেই। ১৯১৫ সালে গাড়িটি প্রদান করা হয় ফাইভ-বি সেনাদলের ক্যাপ্টেনকে। তার ভাগ্যে এটি ব্যবহার করার সুযোগ মেলে মাএ ৯ দিন। দুজন যাত্রীসহ মৃত্যু হয় তার।
এরপর ১৯১৮ সালে যুগোস্লাভের গভনর অস্ট্রিয়া সফরে আসেন এবং গাড়িটি কিনে নেন। ১৯১৯ সালে ব্রেক ফেল করে মারা যান তিনি।
এরপর সারকিন্স নামের একজন সরকারি ডাক্তার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি কিনে নেন। রোগী দেখতে যাবার সময় রাস্তার পাশের খালে পড়ে তিনি মারা যান।
ডাক্তারের মৃত্যুর পর গাড়িটি বহুবার হতবদল হযেছে আর প্রতিবারই মালিকের মৃত্যু হয়েছে। এত দুর্নাম থাকা সত্বেও অবশেষে গাড়িটি কিনে নেন এক সংগ্রাহক। একবার মোটর র্যালিতে অংশ নিতে গিয়ে তিনি মারা যান।
এরপর গাড়িটি আসে এক মোটর ম্যাকানিকের কাছে। তিনি গাড়িটিকে নতুন করে তোলেন এবং একধনী কৃষকের কাছে বেচে দেন। সারায়েভো শহরে যেদিন তিনি গাড়িটি নিয়ে প্রথম প্রবেশ করলেন সে দিনই শুরু হল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। সবাই ধরে নিল অভিশাপ্ত ভৌতিক ঐ গাড়িটির জন্যই শুরু হল আরেকটি যুদ্ধ। শহরের সবার প্রতিবাদের মুখে জেলা প্রশাসক আদেশ করলেন, হয় শহর ত্যাগ করতে হবে, নয়তো গাড়ির মায়া ত্যাগ করতে হবে। প্রথম শর্তকে বেছে নিয়ে শহর ত্যাগ করে অন্য শহরে রওনা দিলেন। কিছুদূর এগুতেই গাড়িটি বিগরে গেল। অগত্যা কোন উপায় না দেখে দুটি বলদ গাড়ির সাথে জুড়ে দিলেন আর তিনি বসলেন বনেটের উপর। কিছুদূর এগুতেই গাড়িটি হঠাৎ স্টার্ট হয় এবং মুহূর্তেই বলদ দুটোকে ধাক্কা দিয়ে বনেটের উপর বসে থাকা মানুষটিকে পিষে ফেলে।
১৯৩৯ সালের ডিসেম্বরে ওই গাড়িটি কিনে নেন হস ফিল্ট নামের একজন মোটর ম্যাকানিকস। মেরামত করে নিজের ব্যবহারের জন্য রেখে দেন গাড়িটি। বন্ধুর জন্ম দিনে যাওযার পথে একজন মানুষ কে বাঁচাতে গিয়ে তিনিসহ নিহত হন ছয় বন্ধু ।
এরপর অস্ট্রিয়া গাড়িটি কিনে মিউজিয়ামে রাখার ব্যবস্থা করে। বিশ্বযুদ্ধ চলাকালিন ১৯৪৫ সালের ২২জুলাই মিউজিয়ামের উপর বোমা পড়লে গাড়িসহ পুরো মিউজিয়ামটিই পুড়ে যায়।
আলোচিত ব্লগ
আমরা কেন এমন হলাম না!
জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন
অভিমানের দেয়াল
অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি
২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১
তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes
শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন