আগের পর্বসমূহঃ
পর্ব ১ঃ Click This Link
পর্ব ২ঃ Click This Link
ইয়াহুদি-নাসারা-নাস্তিক-কাফেরদের প্রচারণায় আমরা যে কয়েকটি হালাল এবং কল্যাণকর বিষয়কে মন্দ মনে করে ঈমান ধ্বংসের মত অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হই, তাদের মধ্যে একটি হচ্ছে পুরুষের বহুবিবাহ। অথচ, একটু খোলামনে, যুক্তিসহকারে ভাবলেই তাদের এই প্রচারণা কতটা হাস্যকর তা বোঝা যায়।
আল্লাহপাক পৃথিবীতে প্রায় সমানসংখ্যক মুসলিম নারী ও মুসলিম পুরুষ তৈরী করেছেন। কিন্তু পুরুষদের দিয়েছেন এক কঠিন দায়িত্ব। ঈমান-আক্বিদা ও দ্বীন রক্ষার্থে যে কোন সময় মুসলিম ভাইদের জিহাদে অংশগ্রহণ করার প্রয়োজন হতে পারে। মুসলিম সেনাবাহিনীতে পর্যাপ্ত সংখ্যক যোদ্ধা পাওয়ার জন্য পুরুষদের কিছুটা দেরীতে, অর্থাৎ, কুড়ি বছর বয়সের পরে বিবাহ করা উচিৎ, যাতে যুদ্ধে যাবার জন্য কোন পিছুটান না থাকে। আবার পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্বও এককভাবে মুসলিম ভাইদের ওপর বর্তায়। এই দায়িত্ব অর্জনের মত সক্ষমতা অর্জনের জন্যও একজন মুসলিম যুবকের কিছুটা সময়ের প্রয়োজন। তাই বলা যায়, যুদ্ধ বা শান্তি, যে কোন পরিস্থিতিতেই একজন মুসলিম যুবকের বিবাহযোগ্য হয়ে উঠতে উঠতে একুশ/বাইশ বছর বয়স লেগে যায়।
অপরপক্ষে, একজন মুসলিম যুবতীর জন্য জিহাদে অংশগ্রহণের বাধ্যবাধকতা নাই। পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্বও তার ওপর বর্তায় না। তাই বিয়ে করার জন্য তার ক্ষেত্রে কোন ন্যুনতম বয়স নির্ধারণের যৌক্তিকতা নেই। আট-নয় বছর বয়সে যৌবনে পদার্পণের আগেই, নিজ সম্ভ্রম রক্ষার্থেই মুসলিম যুবতীদের বিবাহ দেয়া অভিভাবকদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
এবার আসুন কিছু সহজ গাণিতিক হিসাব করি। ৯৭% মুসলমানের এই দেশে প্রায় ১৬ কোটি মুসলিম জনসংখ্যার অর্ধেক অর্থাৎ ৮ কোটি জন হচ্ছেন পুরুষ। এদের মধ্যে অন্তত অর্ধেক অর্তাৎ ৪ কোটি জন এখনো কুড়ি বৎসর অতিক্রম করেননি। তাহলে, বিবাহের জন্য উপযুক্ত লোক থাকল আর মাত্র ৪ কোটি। এই চার কোটি জনের মধ্যে অন্তত ১ কোটি যুবক ইয়াহুদি-নাসারা-নাস্তিক-কাফেরদের প্ররোচনায় অনৈসলামিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত, যাদের সাথে মোমিন নারীদের বিবাহ দেয়াটা অকল্যাণকর হবে। আর বাকি তিন কোটির মধ্যে প্রায় ২০/২৫ লাখ পুরুষ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী নয়। অর্থাৎ, বাকি থাকলো পৌনে তিন কোটি পুরুষ। অন্যদিকে আট কোটি নারীর মধ্যে আট বছরের নিচে রয়েছেন প্রায় দুই কোটি নারী। বাকি ছয় কোটি নারীর জন্য একজন সঙ্গী অপরিহার্য।
গানিতিকভাবে হিসাব করলে পৌনে তিন কোটি পুরুষকে যদি ছয় কোটি নারীর জন্য বন্টন করা হয়, তবে নারীঃপুরুষ এর অনুপাত হয় ২.১৮১৮১৮(পৌনপুনিক)ঃ ১। অর্থাৎ, একজন পুরুষকে গড়ে দুই দশমিক এক আট জন নারীর দায়িত্ব নিতে হবে।
সুতরাং বলা যায় যে, বহুবিবাহ ছাড়া সমাজে নারীদের জন্য যথেষ্ট সংখ্যক পুরুষ সঙ্গীর যোগান দেয়া সম্ভব নয়। আর পুরুষ সঙ্গীর অভাবে নারী প্রেম-মোহাব্বত ও যৌন অধিকার হতে বঞ্চিত হয়। তাই আসুন, আমরা ইয়াহুদি-নাসারা-নাস্তিক-কাফেরদের প্ররোচনায় বিভ্রান্ত না হয়ে সামর্থ্যবান পুরুষদের একাধিক বিবাহ করতে উৎসাহিত করি।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৯:৫৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



