somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জন্মদিনের কড়চা

২২ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জন্মদিনে ঘটা করে কিছু করবার বয়স সম্ভবত পার হয়ে এসেছি। এখন ইচ্ছেও হয় না তেমন একটা কিছু করতে। এটা কিন্তু মিথ্যে বলছি; এখনো ইচ্ছে হয় কেকে মোমবাতি সাজিয়ে এক নিঃশ্বাষে সবগুলো মোমবাতি নিভিয়ে দিতে, ফানুস দিয়ে ঘর সাজাতে - রঙ বেরঙের কাগজ দিয়ে ঘর সাজাতে। কিন্তু করা আর হয়ে উঠে না। এখন যা কিছু করি তার সবটুকুই একান্তই নিজের মাঝে।

গত বছর জন্মদিনের দিনটি কেটেছিলো অফিসের ডেস্কে সামনে বসে ভুঁরু কুঁচকিয়ে বিরক্তিকর এক সিস্টেমের এনালাইসিস করে , আর সন্ধ্যায় বউকে নিয়ে রেস্টুরেন্টের আলো আঁধারিতে পেটপুঁজো। এবারে যে তেমনটি হবে না সেটা আগেই জানা ছিলো। বউ- ছেলে দেশে বেরাতে যাওয়াতে এবারের জন্মদিনটি একাকীই কেটেছে। আগে থেকেই ডে অফ নেয়া থাকাতে বেশ বেলা করে ঘুম থেকে উঠে দেশে ফোন করেছি। মাঝ রাত থেকেই অবশ্য অনেকগুলো মুঠোফোনের সংক্ষিপ্ত বার্তাও পেয়েছি বন্ধু - ভাই- বোন - আত্মীয়দের কাছ থেকে, জন্মদিনের শুভেচ্ছা। ভালোই লাগে শুভেচ্ছা পেতে। তারপরো কেনো জানি ছোট বেলা - কৈশোর বেলার জন্মদিন গুলোর কথা মনে পরে। সে সময় কার্ড দেয়ার চল ছিলো, এখনতো অনেকেই ই-মেইলে ই-কার্ড পাঠিয়েই দায় সেরে ফেলেন। কাগুজে কার্ডগুলোতে যে মায়ার স্পর্শ লেগে থাকতো তা আর পাওয়া হয় না। বড্ড মিস করি সেই ভালোবাসার স্পর্শটুকু।

বিকেলে টুকটাক শপিং করে ফুডকোর্টে ফ্রায়েড চিকেনকে যখন সাইজ করতে ব্যস্ত তখন পাশেই এক দঙল ছেলে-মেয়ের হইচই জন্মদিনের পার্টি নিজের সেই বয়সের সময়গুলোর কথা মনে পরে যাচ্ছিলো। মডেল স্কুলের হোস্টেলে থাকতে এমনি এক জন্মদিনে নজরুল হাউসের পেছনের দেয়াল টপকিয়ে জেনেভা ক্যাম্পের পারাটা- টিকিয়া -চাপ খেয়েছিলাম সবাই এদের মতোই হইচই করে। কি সুন্দরই না ছিলো সেই সব দিনগুলো ! আহ, আবার যদি ফেরত যাওয়া যেতো সে বয়সে , সে দিন গুলোতে !!

গত বছর ডিনারে ছিলো পশ মরোক্কান রেস্টুরেন্টে , আজ রাতে ডিম ভাজি ও গত রাতে রান্না করা মোটা চালের ভাত। ম্যারিড ব্যাচেলর হলে যায় হয় আর কি। রাতে বাসায় ফীরে নেটে গুতোগুঁতি করেই সময় কাটালাম। বাসার সবার সাথে ভিডিও কনফারেন্সিং করে মনটা একটু ভালোও হয়েছে। এভাবেই কাটলো আমার ৩২ তম জন্মদিন।

হেপ্পি বাড্ডে মাইট।
২০টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মায়ের শূন্যতা

লিখেছেন শাওন আহমাদ, ১৪ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৯



যেদিন ভোরবেলা আব্বা মারা গেলেন, মা আমাদের চার ভাইকে মুরগির ছানার মতো বুকে জড়িয়ে হাউমাউ করে কাঁদছিলেন। তার কান্নায় কেবল অসহায়ত্ব নয়, মিশে ছিল এক বুক গভীর শূন্যতা। বারবার বলছিলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের নিরাপত্তার আয়োজন কতটুকু?

লিখেছেন খাঁজা বাবা, ১৪ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৭



ভারত পাকিস্তান ও ইরান ইজরাইল সংঘাত যুদ্ধক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার সামনে নিয়ে এসেছে। প্রথাগত সমরাস্ত্র আজ নতুন প্রযুক্তির কাছে খেলনায় পরিনত হয়েছে। বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান ও ঐতিহাসিক ভাবে প্রাপ্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।।এক রাতেই বদলে গেল হাসিনার ইতিহাসের গতি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০১



সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত সংবাদ সম্মেলন নিয়ে সারাদিন ধরে অপেক্ষায় ছিল গোটা দেশ। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজের আশা ছিল, আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে হয়তো কোনো ইতিবাচক বার্তা আসবে। কিন্তু রাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবার তোরা মানুষ হ

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৪ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৬


আবু সাইদের আত্মত্যাগ কি শুধু বৈষম্যহীন এক সমাজের স্বপ্ন দেখিয়েছিল, নাকি তা এখন নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টির এক ঢাল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে? জুলাই অভ্যুত্থানের সেই রক্তক্ষয়ী দিনগুলোর এক বছর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপির মুখে কেন জামাতবিরোধি শ্লোগান?

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১৪ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ৯:১১







নয়া পল্টন থেকে শাহবাগ অভিমুখে ছাত্রদল আজকে জামাত শিবির বিরোধী শ্লোগান দিতে দিতে মিছিল করছে!! কিন্তু যেই দলের নেতাকর্মীরা এই স্লোগান দিচ্ছে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×