বাঙালি তো বিশ্বের খুব সাহসী আর প্রতিবাদী জাতি। আর এই সাহসের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্তের নমুনা দেখা গেল বিশ্বজিৎকে কতিপয় ছাত্রলীগ এর দ্বারা প্রথমত আক্রমণ, যার যা কিছু আছে তা নিয়ে প্রহার, পরিশেষে হত্যার মধ্য দিয়ে। আর এই ঘটনার কয়েক হাত সামনেই ছিল কয়েক শ নিরীহ মানুষ, অসংখ্য পুলিশ, সাংবাদিক, টিভি ক্যামেরাম্যান, ফটোগ্রাফার। সবাই এই রোমহর্ষক দৃশ্য প্রত্যক্ষভাবে অবলোকন করল। কারোই কিছুই করার ছিল না (!!) এটা তো আর বাংলা সিনেমা না যে কেউ একজন হুংকার করে লাফ দিয়ে এসে নিজের জীবন দিয়ে প্রতিরোধ করবে, বেচারা বিশ্বজিৎকে বাঁচাবে। আফসোস বাংলা সিনেমার নায়কদের কাছ থেকে আমরা কিছুই শিখিনি, শুধু মজা নিয়েছি। বিশ্বজিৎ আমাদের কে হয়, সে কি আমার ভাই, ছেলে, সহকর্মী??? আপনি/আমি কেন তাকে নিজের জীবন বাজি রেখে বাঁচাতে যাব!!!
বিশ্বজিৎকে দিনে বেলায় প্রকাশ্যে সবার সামনে এভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হল, বেচারা বাঁচার জন্যে দৌড়ে পালিয়ে বাঁচতে চাইল, কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। সে তো বুঝতেই পেরেছিল, আপনার-আমার কাছে বাঁচার জন্যে প্রাণভিক্ষা চাইলে আমরা কিছুই করতে পারতাম না। এরপর... আমার, আপনার পালা... তাই না। এইভাবে মৃত্যু হওয়া তো অনেক গর্বের। এভাবে মার খেয়ে মৃত্যু হলে বিএনপি বলবে, এ আমাদেরই স্বজন-কর্মী ছিল, আওয়ামী বলবে এ আমাদের একজন সক্রিয় ছাত্রকর্মী ছিল। বাহ...
সারা দেশজুড়ে আলোচনা-টক শোর ঝড় বয়ে যাবে, শুরু হবে আবার নতুন ইস্যু, চলতেই থাকবে, এভাবেই চলতেই থাকবে!!! আমরা বোকা পাবলিক রাজনীতির এই বলি খেলা দেখবো, এরপর কোন একদিন এভাবেই বলি খেলার শিকার হব। আর কত....????
হত্যাকারীদের যদি শাস্তি না হয় তাহলে এই পাপের দায়্ভার সব আমাদের ঘাড়ের উপর দিয়েই যাবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





