সাধনার বাড়ি
কল্পে কল্পে তোমাদের সঙ্গমে মেলাই
নীল ওড়না উড়িয়ে সোহাগ গিলেছ তুমি
ভিন পুরুষের; আমারি আকাশে এক জোড়া
উড়ে যাও হাঁস!
বাজিয়োনা আর বাঁশি
তুমি বন্য বিড়ালিনী
স্বকণ্ঠে মিঁয়াউ করে ধরে নিয়েছ ইঁদুর
ছায়া সমাদরে উরুমাংস, স্তন ছড়িয়ে দিয়েছ
বিরাগ সন্ধ্যায়!
দেখেছি প্রার্থিত সড়কের হাত ধরে
দূরে, সাধনার বাড়ি যেতে-
বকুল বাগানে সাধনারা থাকে
আমি তার প্রতিবেশী থাকি
কখনোবা তারাদের হাত ধরে বিজনে হারাই!
ভাবি, পাতানো সংসারে বেশ
মেজে-ধুয়ে খুলেমেলে থাক
অগত্যা জমিয়ে ক্রোধ ভাগ করে খাও
চিৎকারে শীৎকারে- ' আহারে, পাহাড়ে হাত
জলাশয়ে উদোম সাঁতার!'
আমি তার অতীত জাগাই
বাগিচায় হাত দিয়ে
ফুল তুলে রুমালে লাগাই
আমি তার মর্মে জেগে থাকি
যে আছে তাহার বুকে
রাই সরিষার বনে
সকালে বিকালে ও সন্ধ্যায়...
গন্দম গন্দম
ঘুম থেকে জেগে তোমাকে পেয়েছি
মন থেকে নেমেই পেয়েছি বনের হদিস!
স্হূল কান্না নিয়ে বনের ভূগোলে
আমি যে কালেই উড়িয়েছি ঘুড়ির কঙ্কাল
নাটাই সে ছুটে গেছে; মাঞ্জাসূতা চিক চিক
লেগে গেছে গাছের ডানায়
মেঘের চাঙর থেকে ঝরা টুপটুপ রসে
আমিই রসালো হতেছি, সে মেঘ, মেঘেরাও
ছিল জলীয়প্রভাবহীন-
ঘুম থেকে জেগেই তোমাকে খুঁজেছিনু
মন মেলে দেখেছিনু শুধু গন্দম গন্দম

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





