হাতের তালুর মতো, চেনা এই শহর –
উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব , পশ্চিম, সকল দিকের -
ইতিহাস পুংখানুপুংখ জানা , কিন্তু আশ্চার্য এক কারনে
তোমাকে খুঁজে পাই না, এই শহরের কোন দিশাতেই ।
একি দূষিত বাতাস আমাদের শ্বাস যন্ত্রে
অক্সিজেন ফুঁকে চালিয়ে রেখেছে শ্বাস তন্ত্রী,
বাঁচিয়ে রাখে যুগে থেকে যুগান্তরে
কিন্তু তোমার শরীরের যে সুগন্ধী সুবাস ছড়ায়
তা ছোঁয় না আমায়, সময়ের গর্ভে হারিয়ে যায়
অদৃশ্য কোন ঘুর্ণি ঝড়ের আঘাতে ।
জানি তুমি আছো –অন্য কারো
মনের জানালায় রঙ্গীন পর্দা হয়ে ।
সেই রঙে হয় তো আকাশ তার সাত রঙের বাসর সাজায়
অমন বাসরে নিমন্ত্রিত নই । এখনো হয়তো –
ঠোঁটের রঙ মুছে যাবার ভয়ে ঠোঁট ফিরিয়ে নাও না,
তীক্ষ্ণ নখরে দাগ কাঁটো কারো গলায় ।
সাজানো বিছানা আগছলো হবার ভয়ে হয় না আর।
এরপর, এর-পর
ফিরে গেলাম, অনন্ত তারকারাজির প্রাচীর পেরিয়ে।
সহস্র নক্ষত্র মন্ডলী কে পিছু ফেলে যখন ফিরে চাইলাম
তোমার কপালের সাজানো চন্দ্রবিন্দু আমায় বিদায় জানালো।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:১৬