somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ কবিতা পড়ার প্রহর

১১ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




সারাদিন ক্লাশ করে বিকেলের দিকে প্রচন্ড খিদে পায় । চারটার পর ভাত জাতীয় কিছু পাওয়া যায় না কোন হোটেলে তাই আলুর চপ আর বেগুনী দিয়েই খিদা মিটিয়ে নিলাম । পকেটে অবশ্য কড়কড়ে দশ হাজার আছে । গতকাল টিউশানির টাকা পেলাম । চাইলেই কোন রেস্টুরেন্টে ঢু মারতে পারতাম কিন্তু তাতে মাস চলবে না । নিজেকে চোখ রাঙ্গীয়ে আলুর চপ আর বেগুনীতে পেট কে সন্তুষ্ট করলাম ।

লালটু মিয়ার চা এবং আলুর চপ বেশ বিখ্যাত, দূর দূর থেকে অনেকেই এই চা -আলুর চপ খেতে আসে। লোকে বলে লাল্টু মিয়া চায়ে নাকি আফিম মেশায়। খানিক টা সেই কৌতহল থেকেই এই চা খাই অবশ্য তেমন নেশ টেশা হয় না তবে চায়ে সে এমন কিছু মেলায় যে বারবার খেতে ইচ্ছে করে । চায়ের কাপে জাস্ট চুমুক টা দিলাম এমন সময় ছোট্ট ফোন টা কিরমির করে উঠলো । মোবাইলের স্ক্রিনে ভেসে ওঠা নম্বর দেখে মন টা ভাল হয়ে গেলো । সেই মাটি কান্ডের পর বিশ দিন হয়ে গেছে । আমিও তাকে কল দেই নাই ভদ্রমহিলার তো প্রশ্নই আসে না।
হ্যালো, কে বলছেন ?
আপনার লজ্জা -শরম -হায়া বলে কিছুই কি নাই ?
আচমকা এমন কিছু শুনবো ভাবি নাই, তাই খানিক থতমত খেয়ে গেলাম। মুখের হাসিও মিলিয়ে গেলো । বুঝলাম না , হঠাত আমার এতো গুলা গুনের খোঁজ আপনি কেন নিচ্ছেন ?
নিচ্ছি কারন আপনার এই গুলার বড্ড অভাব , তাই ।
আচ্ছা, তো কি দেখে আপনার মনে হলো আমার এই গুলার অভাব ।
প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যার পরে যে আপনি আমার বাড়ির সামনে হা করে উল্লুকের মতন দাঁড়িয়ে থাকেন তা এই এলাকার ইট পাথরেও জেনে গেছে ।
ও, তাইলে তো আপনি ও জেনে গেছেন । খানিকটা নিরব হয়ে রইলো অপর প্রান্ত । শুধু কাপড়ের খসখস ছাড়া কিছু শোনা যাচ্ছিলো না । আমার জানার কোন ইচ্ছা নাই । নুরী এসে বললো আপনার কথা ।
নুরী কে?
আমার বাড়ির কাজের মেয়ে, ও এসে যা বিবরন দিলো তাতেই বুঝে গেছি সেই অপদার্থ আপনি ছাড়া কেউই না ।
তো সেই অপদার্থ যে এই অপদার্থ তা কি একটূ উঁকি মেরে দেখে নিশ্চিত হওয়া যেতো না ?
কেনো সেই লোক আপনি না ? গলা টা খানিক ভারি শোনালো , যেন আশাহত হলো ।
হলে খুশি হন ?
অসম্ভব, আমার তো ভেবেই গা রি রি করছে, একটা অজানা অচেনা লোক বাড়ির সামনে পাগলের মতো হা করে দাঁড়িয়ে থাকে ।
আচ্ছা আর দাড়াবো না , এর পর বাড়ির দারোয়ানের কাছ থেকে জেনে নিয়ে বসায় গিয়ে পেট ভরে ডাল ভাত খেয়ে আসবো । জানেন তো ব্যাচেলর মানুষ খাওয়া দাওয়ায় বড্ড সমস্যা ।
আপনাকে আমি গলা টিপে মারবো ।
তাহলে তো আসতেই হয় , অমন নরম হাতে খুন হবার জন্য আমি প্রস্তুত ।
দেখছেন, আমি আগেই বলছি আপনার আত্মসম্মান নাই । আত্মসম্মানহীন লোক আমার একদম পছন্দ না । শুনুন আপনি আর আসবেন না । অমন হা করে তাকিয়ে থাকেন দেখতে খুব বাজে লাগে । আর এসেই বা কি লাভ ?
আপনাকে দেখতে যে ইচ্ছা হয় । মুখ ফসকে বেড়িয়ে গেলো অব্যার্থ গুলী ।
লাইন টা কুট করে কেটে গেলো । এখন এমন অভ্যাস হয়ে গেছে । ফোন টা যে কোন মুহুর্তে কেটে যাবে এটাই নিয়মে হয়ে গেছে ।

সন্ধ্যায় একটা টিউশানি আছে কাঁঠালবাগানে । যেতে হবে। টিউশানির টাকার বড় একটা অংশ এখান থেকেই আসে । ফাঁকি দেয়া যাবে না । সন্ধ্যার দিকে লালটু মিয়ার দোকানে ভিড় বেড়ে যায় । বসা তো দূরে থাক দাড়ানোর জায়গাও পাওয়া যায় না। সেখানে আস্ত একটা বেঞ্চ দখল করে আছি । লালটু মিয়া কিছুক্ষন পর পরেই খুক খুক করে কাশি দিয়ে সিগনাল দিচ্ছে, উঠে যেতে হবে । মোবাইলের লাইনটা কেটে যাওয়ায় মন টা হালকা ভাঁড়ি হয়ে আছে । মোবাইলটার দিকে কিছুক্ষন চেয়ে ভাবলাম জিজ্ঞাসা করি কথার মাঝখানে কেনো কল কেটে দিলো । নিজেকে নিজে সান্তনা দিলাম । আজকাল নিজেকে সান্তনা অনেক বেশি মাত্রায় নিজেকেই দিতে হচ্ছে, কোনদিন দেখা যাবে পথে পথে সান্তনা ফেরি করে বেড়াচ্ছে , লাগবে সান্তনা, ছোট বড় মাঝারি বেটে ফর্সা কালো শ্যামলা সান্তনা আছে, লাগবে…… ! বাস স্ট্যান্ডের ক্যাম্পাস থেকে বেশ দূরে । টাকা বাঁচানো জরুরী । বাস টাস পাওয়া গেলে ভালো হয় । সান্তনা বেচে মনে হয় না ভালো কিছু পাওয়া যাবে।

টানা দুই ঘন্টা পড়িয়ে নিজেও ক্লান্ত হয়ে যাই । ছাত্রের তো মহামারি অবস্থা হয় । ব্যাপার টা এমন যেন জম আর কবিরাজের টানাটানি । অবশ্য এটা পুশিয়ে নেয়া যায় শেষের নাস্তা দিয়ে । ছাত্রের বাড়ির নাস্তা বরাবরি অদ্ভুত হয় । আমার ক্ষেত্রেও সেই নিয়ম বলবত । এক কোর্স ডিনারের মতো সেই নাস্তা । কোথাও দেখি নাই বড় এক জাম বাটি ভর্তি ন্যুডুলস কেউ নাস্তা হিসাবে দেয় । সম্ভাবত এরা লবন খায় না , লবন হীন এক বাটি ন্যুডুলস আর সাথে এক মগ চা । মাঝে মাঝে ভাবি দু কেজি লবন কিনে উপহার দেই, দেয়া হয় না। সেই লবনহীন জাম বাটি ভর্তি ন্যুডুলস আর চা দিয়েই আমার রাতের খাওয়ার পাট চুকাই। কারন অতোখানি ন্যুডুলস খাবার পর পেটের কোন গলি আর ফাঁকা রাখতে পারি না ।

ফুরফুরা মনে রাস্তায় হেটে বেড়ালাম কিছুক্ষন । একবার যাবো নাকি সেই বাড়ির সামনে । এইতো হেটে গেলে বিশ মিনিট লাগবে । যাই একবার ঘুরে আসি । রাত বাজে এখন নয় টা অন্ধকারে এক রাউন্ড দিলে কেউ বুঝবে না । ভাগ্য ভালো হলে তাকে ব্যালকুনিতে দেখেও ফেলতে পারি । যা শালা , যা থাকে কপালে। কথায় আছে না , আমি যাই বঙ্গে কপালা যায় সঙ্গে । বাড়িটার দিকে পা বাড়াতেই বুকের ভেতর টা কেমন শিনশিন করে উঠলো , এটাই কি প্রেম ? নাকি আকর্ষন ? বুঝতে পারছি না । মানুষ প্রেম পরলে কি সারাক্ষন বুক শিনশিন করে সেই সাথে মাথাও খানিক ঝিমঝিম করে নেশার মতো। কে জানে? অভিজ্ঞ কারো মতামত নিতে হবে ।

বাড়ির সামনে রাস্তার ওপারে ফুটপাতে হালকা আধারের মতো একটা জায়গা আছে । ওখানে দাঁড়িয়ে পুর্ন দৃষ্টি দিয়ে বাড়ির দিকে তাকালাম । ঠিক কোন তালায় সে থাকতে পারে ? চার তলা না কি ছয় তলায় ? সাত তালার একটা বিশাল এপার্টমেন্ট । দারোয়ান কে জিজ্ঞাসা করা যায় । কিন্তু কি কারন জিজ্ঞাসা করলে কি বলবো? একটা কিছু বানিয়ে বলা যাবে । তার আগে সাহস বৃদ্ধির টনিকটায় একটা ফু মারা জরুরী । সিগারেট টা ধরিয়ে বেশ কিছু ধোঁয়া বুকে টেনে নিলাম । ধোঁয়াটা ছাড়বো বলে মুখ টা কেবল হা করেছি , পিঠের উপর আচানক এক টোকায় ধোঁয়া গুল মুখ দিয়ে না বেড়িয়ে গলা দিয়ে নিচে নেমে গেলো, খক খক করে কাশতে শুর করলাম, খানিকটা যক্ষা রুগীর কাশির মতো ।

রংচঙে শার্ট আর জিন্স পরা একজন দাঁড়িয়ে । হাতে একটা কমলা লেবু উপরে নিচে নাচাচ্ছে । রাত্রীর বেলায় কেউ চোখে সানগ্লাস ঝুলিয়ে রাখে ধারনা ছিলো না । কি, এখানে কি কাম ? মাথা নাড়িয়ে হুমকি দিলো । কোন কাজ নাই, এমনি দাঁড়িয়ে আছি । স্বাভাবিক গলায় বললাম । আমারে দেখে কি মদন জাতীয় কিছু মনে হয় ? বেশ কিছুদিন ধইরা দেখেছি এখানে দাঁড়িয়ে ওই বিল্ডিঙের দিকে হা কইরা চাইয়া থাকেন , ঘটনা কি ? হাতের কমলা নাড়ানো থামছে না । জেনো থামালেই পৃথীবির ঘুর্নন থেমে যাবে , দায়ীত্ব নিয়ে উনি কমলার নৃত্য জারি রেখেছেন । ভাই কি কমলা খুব পছন্দ করেন, কথা ঘোড়াবার চেষ্টা করলাম । চটাস করে একটা থাপ্পর এসে কানের উপর পরলো । ওই ব্যাটা আমারে কোন দিক দিয়া তোর ভাই মনে হয় । কি মতলবে এই খানে আইসা আ’ক কইরা থাকস ওইডা কইয়া ফালা, তুই ডিবি না কি মাল বেচুইন্না পার্টি ? ঠিক কইরা কইয়া ফালা নাটকির পো । বুকের উপরের শার্টে ধরে সামনের দিকে হ্যাচকা টান দিলো ।

ভাই ভাই ছাড়েন, আমি ডিবি ও না মাল ও বেচি না । ভাই বলায় যেন আরো খেপে গেলো , খামচে ধরা শার্ট আরো শক্ত করে চেপে ধরলো, ওই ব্যাটা ভাই কি? বল, আব্বা, আমি তোর আব্বা। আগে ক, এইখানে কি কাম? জ্বী না কোন কাজ নাই, বিব্রত হয়ে বললাম। তাইলে এইখানে কি করস , ছেলে ধরা না মেয়ে ধরা কোন পাট্টি । নারে ভাই আমি কোণ পাট্টি না , এই দিকে আমার মামার বাসা অনেক দিন আগে একবার আসছিলাম এখন ভুলে গেছি কোণ বাসা তাই কয়দিন ধরে খুজচ্ছি নির্জলা মিথ্যা কথা বলে দিলাম । আমার সাথে মামদোবাজি, মামার বাসা- চেনো না , এইবার গালের উপর চড়াত করে আর একটা থাপ্পর এসে পরলো । চোখে মোটামুটি শর্ষে ফুল দেখা শুরু করছি । এমন সময় তীক্ষ্ণ কিন্তু মিষ্টি একটা কন্ঠ ভেশে এলো জেনো বহুদূর হতে ঈগলের গতীতে । এই, এই কে আপনি , ওকে এমন করে মারছেন কেনো ? কলার ধরা হাতটা খানিক শিথিল হলো । আপা এই ব্যাটায় কয়েকদিন ধরে এই এলাকায় ফিল্ডিং মারতাছে । আইজ ব্যাটারে ধরছি । ছাড়েন, ছাড়েন ওঁকে, তীক্ষ্ণ কন্ঠটা আবার প্রতিবাদী হয়ে উঠলো । আমার পরিচিত ও । লোক টা মনে হয় আশাহত হলো । কলার ছেড়ে দিয়ে রাগী চোখে তাকিয়ে থাকলো । মাথা টা ঝাকিয়ে শর্ষে খেদানর চেষ্টা করলাম । এই যে, আপনি ওখানে দাঁড়িয়ে আছেন কেন? আসুন এইদিকে আসুন। কিড়মিড় কন্ঠ ভেশে এলো এখন আর মিষ্টি মনে হচ্ছে না । বাধ্য ছেলের মতো কন্ঠের দিকে ঘুরে হাটা দিলাম । আড় চোখে চেয়ে দেখলাম লোক টা এখনো কমলা নাচাচ্ছে ।

আপনাকে যে আমি অপদার্থ বলি তা যে ভুল বলি না এটা বোঝেন? লেক পারের চারিদিকে খোলা এক ছনের ছাউনি দেয়া বেঞ্চির উপরে বসে আঙ্গুল নাড়িয়ে নাড়িয়ে এক নাগারে বকে যাচ্ছে সে । আজ আমি না এলে কি হতো জানেন? আপনাকে মেরে লাশ এই লেকের পানিতে ফেলে দিয়ে যেতো। ভ্যাগাবন্ড লোক এক টা আপনি । মাথা নিচু করে আছেন কেনো কথা বলেন না কেনো । কথা বলার মতো অবস্থায় আসলে আমি নাই । লেকের লাইট পোস্টের মৃদু আলো এসে ওর মুখে জেনো অনন্তকালের জন্য একটা মায়া ছড়িয়ে দিয়েছে । আমি সেই মায়া দেখছি । তার চোখ নাচছে । ঠোঁট কাঁপছে । ভুরু আকর্ষনীয় ভঙ্গিমায় ঢেউ তুলছে । আর আমার বুকের ভেতর সামরিক বাহিনীর লাস্ট প্যারেড চলছে। ওর নাকের ডগায় মৃদু স্বচ্ছ ঘাম জেনো সাহস করে ফুটে উঠেছে । ইচ্ছে করছে আঙ্গুল দিয়ে ঘাম টুকু নিয়ে মুখে মাখি । আপনি সুন্দর, আহাম্মকের মতো বলে ফেললাম । তিব্র কথার ফুলজুরির মধ্য জেনো আগুনে পানি পরলো। কথার বন্যা থেমে গেলো । কালো ঘনো বাগান বিলাস ফুলের মতো সাজানো চোখের পাতার ভেতর থেকে বাদামী বড় বড় চোখে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো ।

আপনি জানেন, আপনি আমাকে ভয় পাইয়ে দিয়েছিলেন , বেশ শান্ত গলায় বললো । না, জানি না, মাথা নাড়লাম । আমি কিচ্ছু জানতে চাই না মনে মনে বললাম । আমি শুধু দেখতে চাই আপনাকে । বিরক্ত হয়ে উঠে দাড়ালো । আপনি এইভাবে আর আসবেন না , বুঝেছেন । তাহলে কিভাবে আপনাকে দেখবো ? আচমকা প্রশ্ন করে বসলাম । ফোস করে একটা নিঃশ্বাস ছাড়লো , মাথার ওমন দিঘল চুল গুলো কলার মোচার ভেতরের কচি কলার মতন আঙ্গুল দিয়ে কিছুক্ষন টানলো । ওমন করে চুল টানবেন না , চুল ছিড়ে যাবে। মুগ্ধতায় ডুবতে ডুবতে বলে উঠলাম । তাতে আপনার কি, যেন বাঘীনি হুংকার দিলো । শুনুন, আমার সাথে দেখা করতে মন চাইলে আমাকে ফোন দেবেন আমি এখানে এসে দেখা করে যাবো কিন্তু খবরদার আমার বাড়ির ত্রিসিমানায় আপনার ছায়াও যেন না পরে । মাথা নাড়িয়ে রাজি হয়ে গেলাম, আর আমাকে এতো দেখার কি আছে , আমি কি চিড়িয়াখানার কোন জন্তু নাকি? আপনি দোলন চাঁপার মতো বুন- স্বচ্ছ – সুন্দর । মুখ ফসকে বলে ফেললাম । তার শুভ্র মুখশ্রীতে এক ঝলক রক্তজবা ফুটে উঠলো, দেখে মনে হলো সারা মুখে কে যেন আলতা মেখে দিয়ে গেছে, ভর সন্ধ্যায় তা আলো ছায়ায় মুগ্ধতার সিমানা ছাড়িয়ে গেলো । বাদামী চোখ জোড়া আমার দিকে জ্বল জ্বল করে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে ঠোঁট নাক ভুরূ এক জায়গায় এনে তিব্র স্বরে বললো, এখানে চুপ করে বসে থাকবেন , আমি যাবার কিছুক্ষন পরে আপনি ও বাসায় চলে যাবেন । আমার পিছু কিন্তু নেবেন না । যদি নেন তাইলে ওই লোক কে ধরিয়ে দেব ।

আমি ঘোরে পাওয়া বা বোবায় ধরা মানুষের মতো বসে রইলাম । শুধু চেয়ে চেয়ে দেখলাম একটা শুভ্র বক তার দির্ঘ নিখুত ডানা মেলে উড়ে গেলো সুবাসিত এক রাশ বুন মুগ্ধতা ছড়িয়ে । উড়তে উড়তে ডানা ছড়িয়ে অনন্তের মাঝে হারিয়ে গেলো । একবারের জন্যেও ফিরে চাইলো না তার অমন নিখুত বাদামি চোখ জোড়া তুলে। আশেপাশে অসম্ভব এক নিঃশব্দতা আমাকে গ্রাস করলো । কানের কাছে কেবলি বেজে যাচ্ছে , তার অসংখ্য কথার সুর লহরী । চোখের সামনে ভেসে বেড়াচ্ছে সুরে ঝঙ্কার । আর আমি সেই ঝঙ্কারের মাঝে তলিয়ে যাচ্ছি অসীম গভিরতায় । এটাই কি তবে সেই ক্ষন । যে ক্ষনের প্রতিক্ষায় কবি সাহিত্যিকরা জীবনের শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করে । তবে কি আমি তাহাকে পাইলাম ?
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৫১
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

Between Mars and the Moon

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ১২:৩৮



মডেল: ভিভিয়ান লি, সিঙ্গাপুর

I dwell in the rust-red silence of Mars,
Where winds whisper through canyon scars.
The sun sets low in a sky so wide,
But without your... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজা চার্লস এবং প্রফেসর ইউনূস দীর্ঘজীবি হোন

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ১৩ ই জুন, ২০২৫ ভোর ৫:০৫



গ্রেট ব্রিটেনে কি হবে তা নিয়ে বুকের মাঝে যে চাপ ছিলো, তা এক ঝটকায় চলে গেলো। প্রধান উপদেষ্টার এই সফর নিয়ে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ একটি রাজনৈতিক দলের সব ধরনের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বৈচিত্র্যময় ভাষা: ইতিহাসের অক্ষররেখায় হারানো সভ্যতার গল্প

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৩৮

বৈচিত্র্যময় ভাষা: ইতিহাসের অক্ষররেখায় হারানো সভ্যতার গল্প

ছবি এআই এর সহায়তায় তৈরি।

ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে, ভাষার বৈচিত্র্য আল্লাহর নিদর্শন। পবিত্র কুরআনে ভাষার বৈচিত্র্যকে সৃষ্টির একটি আয়াত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সূরা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান জুড়ে ইসরায়েলর ব্যাপক বিমান হামলা, নিহত সেনা প্রধান

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৩ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৯



গতরাতে ইরানের উপর নজিরবিহীন বিমান হামলা চলিয়ে ইসরায়েল, এই হামলায় ইজরাইলের অন্তত ২০০ টি যুদ্ধবিমান অংশগ্রহণ করে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে- উক্ত হামলায় ইরানের সেনা প্রধান মেজর... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামহোয়াইর ইন ব্লগ ভিজিট করুন যে কোনো মোবাইল অপারেটর ডাটা ব্যবহার করে (সামু ব্লগারদের জন্য ক্ষুদ্র ঈদ উপহার)।

লিখেছেন গেঁয়ো ভূত, ১৩ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:২৭





ঈদ মোবারাক! ঈদ মোবারাক!! ঈদ মোবারাক!!!

প্রিয় সহব্লগারস পবিত্র ঈদ উল আজহার শুভেচ্ছা নিন। আমাদের মধ্যে অনেকেই জিপি কিংবা অন্য কোনো অপারেটর থেকে সামু ব্লগ ভিজিট করতে সমস্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×