somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সর্দারজির জোকস্ ১

০৫ ই এপ্রিল, ২০১২ সকাল ৯:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

#
সর্দারজির স্ত্রী: ওগো, শুনছ? তোমার না আজ চোখের ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা, গিয়েছিলে?
সর্দারজি: গিয়েছিলাম তো।
সর্দারজির স্ত্রী: ডাক্তার কী বলল?
সর্দারজি: দূর দূর! ডাক্তারের নিজের চোখ আমার চেয়ে খারাপ!
সর্দারজির স্ত্রী: কেন?
সর্দারজি: দিনের বেলায়ও ব্যাটা টর্চ জ্বালিয়ে আমার চোখ দেখছিল!

#
সর্দারজি গেছেন আয়না কিনতে।
সর্দারজি: এই আয়নার বিশেষত্ব কী?
বিক্রয়কর্মী: এই আয়না ১০০ তলা বাড়ির ওপর থেকে ফেলে দিলে একতলায় পৌঁছানো পর্যন্তও ভাঙবে না।
সর্দারজি: বাহ্ ! চমৎকার ! আমাকে এটাই দিন !

#
সর্দারজি গেছেন আর্ট গ্যালারিতে চিত্র প্রদর্শনী দেখতে। দেয়ালে একটি ছবির দিকে তাকিয়ে সর্দারজি আঁতকে উঠে বললেন, ‘এই ভয়ংকর ছবিগুলোকে আপনারা আধুনিক ছবি বলছেন!’
চিত্রশিল্পী অবাক হয়ে বললেন, ‘ভাই আপনি যেটা ছবি বলছেন, সেটা আসলে একটা আয়না। আর আয়নায় আপনার নিজের ভয়ঙ্কর ছবিটাই হচ্ছেন আপনি।’
#
সর্দারজি হাসতে হাসতে তাঁর বন্ধু বান্তা সিংকে বললেন, ‘জানিস, আজকে একটা মজার কাণ্ড ঘটেছে। এক চোর আমার মোবাইল ফোনসেটটা চুরি করে নিয়ে গেছে।’ বান্তা সিং বললেন, ‘বলিস কী? এটা মজার কাণ্ড হয় কী করে!’ সর্দারজি আবারও হাসতে হাসতে বললেন, ‘আরে তুইও তো দেখি ওই চোরের মতোই বেকুব। আমি তো ওই বেকুব চোরকে পালাতে দেখছিলাম আর হাসছিলাম। ওই ব্যাটা চোর তো আর জানে না, আমি মোবাইল ফোনের চার্জার সব সময় লুকিয়েই রাখি।’
#
একদিন সর্দারজি ট্রেনে চেপে কোথাও যাচ্ছিলেন। সেদিন ছিল প্রচণ্ড গরম। তাই সর্দারজিসহ প্রায় সবাই ফেরিওয়ালার কাছ থেকে হাতপাখা কিনে বাতাস করতে লাগল। তাই এক স্টেশন থেকে অন্য স্টেশনে যেতে না যেতেই সবার হাতপাখা খুলে নষ্ট হয়ে গেল। কিন্তু সর্দারজির হাতপাখাটা একদম নতুনের মতোই আছে। এটা দেখে অবাক হয়ে একজন জিজ্ঞেস করলেন, ‘সর্দারজি, আপনার হাতপাখাটি এখনো নতুনের মতো আছে কী করে?’ সর্দারজি বললেন, ‘আরে মশাই, আমি আপনাদের মতো বোকা নাকি? টাকা দিয়ে হাতপাখা কিনেছি কি নষ্ট করার জন্য? আমি তো হাতপাখা মুখের কাছে ধরে শুধু মাথাটা
#
জেলখানায় সর্দারজি ও পুলিশের মধ্যে কথোপকথন—
পুলিশ: ফাঁসির আগে তোমার কি কোনো শেষ ইচ্ছা আছে? আজকে তোমার শেষ ইচ্ছাটা পূরণ করা হবে।
সর্দারজি: হুম, একটা ইচ্ছা আছে।
পুলিশ: কী সেই ইচ্ছা?
সর্দারজি: আমার পা ওপরে আর মাথা নিচে রেখে যেন ফাঁসিটা দেওয়া হয়!
#
একদিন এক পাঞ্জাবওয়ালা সর্দারজি মালিবু সৈকতে সানবাথ করছিলেন। তো এক তরুনী এসে বললো, “আর ইউ রিলাকসিং”। সর্দারজি তরুনীর এহেন মুর্খতা দেখে বিরক্ত হয়ে বললেন, “নো নো নো, আই অ্যাম সান্তা সিং”। তরুনী আগা-মাথা না বুঝতে পেরে ঘাড় শ্রাগ করে চলে গেল। কিছুক্ষণ পর আর এক যুবক সর্দারজির কাছ দিয়ে যাবার সময় ভদ্রতার খাতিরে জিজ্ঞেস করলো, “আর ইউ রিলাকসিং”। সর্দারজি এবার খানিকটা বিস্মিত, মুখে বললেন, “নো নো নো, আই অ্যাম সান্তা সিং”। একটু পরে এক বৃদ্ধা তার পাশ দিয়ে যাবার সময় একই প্রশ্ন করায় তিনি ভীষণ উত্তেজিত হয়ে পড়লেন। চিৎকার করে বললেন, “নোওওও, আই অ্যাম সান্তা সিং”। এবার সর্দারজি মহা খাপ্পা হয়ে স্থান ত্যাগ করে হাঁটছিলেন। কিছুদূর যেতেই আরেক সর্দারজিকে দেখতে পেলেন, খুব আয়েশে শুয়ে আছেন। তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, “আর ইউ রিলাকসিং”? ওই সর্দারজি অবলিলায় বললেন, “ইয়া, আই অ্যাম”। আমাদের সর্দারজির অবস্থা তখন জ্বলন্ত কয়লার ভেতর তাঁতানো শিক, বাম গালে কষে এক থাপ্পড় বসিয়ে দিলেন, “সালে, সব তেরে কো ওয়াহাহ ঢুন্ড রাহে হ্যায় অর তু ইয়াহাঁ আরাম কার রাহা হ্যায়” (শালা, সবাই তোকে ওইখানে খুঁজছে, আর তুই এখানে আরাম করছিস)?
#
সর্দারজি অটোরিকশা থেকে নেমে ড্রাইভারকে ভাড়া পরিশোধ করছেন—
সর্দারজি: অ্যাই, আপনার ভাড়া কত হলো?
ড্রাইভার: স্যার, মিটারে তো ১০০ টাকা হয়েছে।
সর্দারজি: এই নাও ৫০ টাকা।
ড্রাইভার: স্যার, এটা তো অন্যায় হলো। ১০০ টাকা ভাড়া হয়েছে আর আপনি ৫০ টাকা দিচ্ছেন কেন?
সর্দারজি: তুমিও তো অটোরিকশায় বসে বসে এসেছ। তোমার বসে আসার টাকা আমি আমার পকেট থেকে দেব নাকি!
#
সর্দারজি আর বান্তা সিং দুটি ঘোড়া কিনে এনেছেন। কিন্তু তাঁরা কিছুতেই কার ঘোড়া কোনটা, তা ঠাহর করতে পারছেন না। তাই সর্দারজি তাঁর ঘোড়াটির ডান কান কেটে দিয়ে বান্তা সিংকে বললেন, কানওয়ালা ঘোড়াটি তোর আর কান ছাড়া ঘোড়াটি আমার। কিন্তু এদিকে সর্দারজির এক শত্রু এ কথা শুনে কোনো ফাঁকে বান্তা সিংয়ের ঘোড়ারও ডান কান কেটে দিল। পরের দিন সর্দারজি ও বান্তা সিং তো অবাক। কী করা যায়এ নিয়ে ভাবতে ভাবতে আবার সর্দারজি তাঁর ঘোড়ার লেজটি কেটে দিলেন। ওই শত্রু আবারও এটা দেখে চুপ করে অন্য ঘোড়ার লেজটিও কেটে দিল। ঘোড়ার এ অবস্থা দেখে সর্দারজি এবার ভীষণ অবাক। এরপর তাঁরা একটি ঘোড়ার পা ভেঙে দিল। কিন্তু পরের দিন একই অবস্থাদুটি ঘোড়াই ল্যাংড়া হয়ে আছে। এবার তাঁরা দুজন মহা ভাবনায় পড়লেন। অনেক ভেবেচিন্তে সর্দার বললেন, ঠিক আছে, এখন থেকে সাদা ঘোড়াটি তোর আর কালো ঘোড়াটি আমার।

#
জীববিজ্ঞান ব্যবহারিক পরীক্ষায় সর্দারজির ছেলে—
পরীক্ষক: আচ্ছা, এই পা দুটো দেখে বলো তো এটা কোন পাখি?
সর্দারজির ছেলে: আমি বলতে পারব না, স্যার।
পরীক্ষক: তুমি তো ফেল করে যাবে। এই ছেলে, তোমার নাম কী বলো?
সর্দারজির ছেলে: এটা বলার আবার কী আছে? আমার পায়ের দিকে তাকিয়ে নামটা জেনে নিলেই হয়।

#
মিউজিয়ামে গিয়ে বান্টা সর্দার অসর্তকাতায় একটা মূর্তি ভেন্গে ফেলল। কেয়ারটেকার দৌড়ে এসে বলল , কি করলেন এইটা ৫০০ বছরের পুরান মূর্তি।
বান্টা হাফ ছাড়ল, থাংকস গড। আমি ভাবছিলাম নতুন মুর্তি।
#
এক সর্দারজী এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলছে। সে যখন পাসওয়ার্ড দিচ্ছে তখন তার বন্ধু পিছন থেকে উকি দিয়ে বলল , "হা .. হা .. হা ..তোমার পাসওয়ার্ড তো দেখে ফেলেছি ... চারটা স্টার **** !"
সর্দারজী অট্র হাসি দিল " হা...হাহা..পারনি.. পারনি.. আমার পাসওয়ার্ড ১২৫৪!!"

#
প্রথম সর্দারজি: তুমি কখনো সুয়েজ খালের কথা শুনেছ?
দ্বিতীয় সর্দারজি: শুনব না আবার! এটা তো ছোট্ট বাচ্চাও জানে।
প্রথম সর্দারজি: হুম�এই খাল পুরোটাই আমার বাবা খনন করেছিলেন।
দ্বিতীয় সর্দারজি: চাপাবাজি ছাড়ো, এটা কখনো হতেই পারে না। কিন্তু তুমি কি ডেড সির কথা জানো?
প্রথম সর্দারজি: কেন, কী হয়েছে তাতে?
দ্বিতীয় সর্দারজি: আরে বুদ্ধু, এত কিছু জানো, আর এটাই জানো না। আমার বাবাই তো ওটাকে মেরে ফেলেছিলেন।
-------------------------------------------------------------------
একবার এক রেস্তোরাঁয় সর্দারজি আর তাঁর এক বন্ধু কফি খেতে ঢুকেছেন। তাঁরা গল্প করতে করতে কফি খাচ্ছেন। হুট করে মূল্যতালিকার দিকে চোখ পড়তেই সর্দারজি তাঁর বন্ধুকে বললেন, �আরে ভাই, কথা না বাড়িয়ে তাড়াতাড়ি কফি শেষ করো; নইলে এই এক কাপ কফির জন্য আবার দ্বিগুণ দাম গুনতে হবে।
� বন্ধুটি বলে বসলেন, �মগের মুল্লুক নাকি, এক কাপ কফি খেয়ে দুই কাপের দাম দেব!
� সর্দারজি বললেন, �আরে বোকা, বেশি বকবক না করে মূল্যতালিকার দিকে তাকাও।
এক কাপ হট কফির দাম ১০ টাকা, আর কোল্ড কফির দাম ২০ টাকা। কফি ঠান্ডা হয়ে গেলে তো মহা ঝামেলায় পড়ব।�
---------------------------------------------------------------------
পঞ্চান্ন প্যাঁচাল
সর্দারজী শিক্ষকের কাছে অঙ্ক শিখতে গেছে।
সর্দারজীঃ স্যার, আমি পঞ্চান্ন কিভাবে লিখব?
শিক্ষকঃ দুইটা পাঁচ পাশাপাশি লিখলেই পঞ্চান্ন হয়।
খানিক পর শিক্ষক দেখলেন, সর্দারজী একটা পাঁচ লিখে বসে মাথা চুলকাচ্ছে।
শিক্ষকঃ কী হলো, সর্দারজী?
সর্দারজীঃ মস্ত বিপদে পড়েছি। আরেকটা পাঁচ কোন পাশে বসাবো বুঝতে পারছি না।
------------------------------------------------------------
একবার এক ট্র্যাফিক পুলিশ দেখে কী একটা অদ্ভুত জন্তুর পিঠে এক সর্দারজী বইসা মনের সুখে হেইলা দুইলা আইতেছে । পুলিশের কাছে আইসা সর্দারজী কয়, ওস্তাদ, এই জানোয়ারের জাত কী মামা?
এইটারে কয় জলহস্তী, তুমি এইটার পিঠে চড়লা ক্যামনে?
জলহস্তী? আমি ভাবছি এইটা বোধহয় স্থল-মহিষ । বাচপান কালে কতো চড়াইসি বাপের বাথানে! আমি হের নাম দিসি কাল্লু !
তুমি শিগগির এইটারে চিড়িয়াখানায় রাইখা আসো । নাইলে খবর আছে!
ঠিক হ্যায়, ওস্তাদ । অ্যাই কাল্লু! হ্যাট ! হ্যাট হ্যাট! চল্, চিড়িয়াখানায় যাই!
পরের দিন সেই পুলিশ দেখে ঠিক সেই সর্দারজী, ঠিক সেই কাল্লু থুক্কু জলহস্তীর পিঠে মহা আয়েশ কইরা আসতেছে ।
সর্দারের পো! তোমারে না গতকাল কইছি জানোয়ারটারে নিয়া চিড়িয়াখানায় যাইতে?
গেছিলাম তো ! কাল্লুর খুব পছন্দ হইছিল । আইজ যাইতেছি ওয়াটার কিংডমে ! অ্যাই কাল্লু! হ্যাট! হ্যাট! হ্যাট!
------------------------------------------------------------------------
চার সর্দারজী সিদ্ধান্ত নিল একসঙ্গে ব্যবসা করবে। কী ব্যবসা করা যায়? অনেক ভেবে তারা একটি মোটর গ্যারেজ দিল। কিন্তু এক মাস চলে গেল, কোনো কাজ নেই। কেন বলুন তো?
কেন?
কারণ তারা গ্যারেজটা দিয়েছে ছয় তলায়। মানুষ কি গাড়ি নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে উঠবে?
এরপর তারা এ ব্যবসা বাদ দিয়ে নতুন ব্যবসার কথা চিন্তা করল। তারা একটি ট্যাক্সিক্যাব কিনে রাস্তায় নামাল। দিন যায় কিন্তু কোনো যাত্রী ওঠে না। কেন বলুন তো?
কেন?
কারণ, তারা চারজনই গাড়িতে উঠে বসে থাকে। যাত্রী বসবে কোথায়?
চারজনই মহা উত্তেজিত। তারা ঠিক করল, এই গাড়ি সমুদ্রে ফেলে দেবে। গাড়ি নিয়ে যাওয়া হলো সমুদ্রপারে। গাড়ি ঠেলছে কিন্তু কিছুতেই ফেলতে পারছে না। কেন বলুন তো?
কেন?
কারণ, দুজন ঠেলছে পেছন থেকে, দুজন সামনে থেকে।
-----------------------------------------------------------------------
বান্তা সিং একবার লটারির টিকিট কিনে জিতেছে। নির্দিষ্ট দিনে পুরস্কারের টাকা নিতে লটারি অফিসে গেল সে। লটারি অফিসের স্মার্ট কর্মকর্তাটি খুব বিনীতভাবে বান্তা সিংকে বুঝিয়ে বললেন, �আপনি এক কোটি টাকার পুরস্কার জিতেছেন। তো এবার আমাদের নিয়মানুযায়ী সরকারের ট্যাক্স পরিশোধ করে আপনাকে পুরো টাকাটা নিতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা আপনাকে ৫০ লাখ টাকা দিচ্ছি। এ টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা ট্যাক্স পরিশোধ করে ছাড়পত্র এনে দেখালেই আমরা বাকি টাকা আপনাকে দিয়ে দেব।
বান্তা : না, আমি লটারি জিতেছি। কাজেই টাকাটা এখন আমার। আমি আমার সব টাকা এখনই চাই। লটারি অফিসের অফিসারটি এবার আরও বিনীতভাবে বান্তা সিংকে পুরো ব্যাপারটি বুঝিয়ে বললেন।
কিন্তু বান্তা সিং এটা মানতেই নারাজ। এরপর অফিসারটি আবার বোঝানোর চেষ্টা করতেই বান্তা সিং রেগে চিৎকার করে বলল, �দ্যাখো আমাকে আর বেশি বোঝানোর প্রয়োজন নেই। আমার পুরো এক কোটি টাকা আমি এখনই চাই। আর তা যদি না দাও তাহলে এ নাও তোমাদের টিকিট। আমাকে টিকিটের দশ টাকা ফেরত দাও।
-----------------------------------------------------------------------
প্রশ্ন : কোন সরদারকে কিভাবে ভড়কে দেয়া যায়?
উত্তর : তাকে বৃত্তের কোণ (angle) খুঁজে বের করতে বলে।
প্রশ্ন : সে কিভাবে আমাদের ভড়কে দিতে পারে?
উত্তর : ওই বৃত্তের কোণ বের করে।
-----------------------------------------------------------------------
চার সর্দারজি সিদ্ধান্ত নিল একসঙ্গে ব্যবসা করবে। কিন্তু কী ব্যবসা করা যায়?
অনেক চিন্তা করে একটি মোটর গ্যারেজ দিল। এক মাস-দুমাস করে বছর কাটল, একটা কাজও পেল না।
কেন?
কারণ তারা গ্যারেজটা দিয়েছে ছয় তলা বাড়ির ছাদে।
এ ব্যবসা বাদ দিয়ে নতুন ব্যবসার কথা ভাবল তারা। একটি ট্যাঙ্কি্যাব কিনে নামাল রাস্তায়। এক দিন-দুদিন করে মাসখানেক কেটে গেল। কিন্তু কোনো যাত্রী পেল না।
কেন?
কারণ, তারা চারজনই গাড়িতে উঠে বসে থাকে। আর যাত্রীর আশায় রাস্তায় রাস্তায় ঘোরে।
চারজনই মহা উত্তেজিত। শেষে ঠিক করল, এই গাড়িটা সাগরে ফেলে দেবে। গাড়ি নিয়ে সাগরপাড়ে গেল। গাড়ি ঠেলছে, কিন্তু কিছুতেই সাগরে ফেলতে পারছে না।
কেন?
কারণ, দুজন ঠেলছে পেছন থেকে, দুজন সামনে থেকে।
--------------------------------------------------------------------------------
নতুন বছর উদ্যাপন করতে যুক্তরাষ্ট্র বেড়িয়ে ফিরেছেন সরদারজি। ফিরেই তিনি ছুটে গেলেন তাঁর স্ত্রীর কাছে।
সরদারজি: ও গো, শুনছ, আমাকে কি বিদেশিদের মতো দেখায়?
স্ত্রী: কই, না তো!
সরদারজি: আমিও তো তা-ই বলি। আজব কারবার, যুক্তরাষ্ট্রে সবাই আমাকে দেখে বলে, আপনি কি বিদেশি?
--------------------------------------------------------------------------------
সর্দারজির স্ত্রী: ওগো, শুনছ? তোমার না আজ চোখের ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা, গিয়েছিলে?
সর্দারজি: গিয়েছিলাম তো।
সর্দারজির স্ত্রী: ডাক্তার কী বলল?
সর্দারজি: দূর দূর! ডাক্তারের নিজের চোখ আমার চেয়ে খারাপ!
সর্দারজির স্ত্রী: কেন?
সর্দারজি: দিনের বেলায়ও ব্যাটা টর্চ জ্বালিয়ে আমার চোখ দেখছিল!
--------------------------------------------------------------------------------
এক সর্দার ATM থেকে টাকা তুলছিল, লাইনের পেছনের সর্দার বলল, হা হা , তোমার পাসওয়ার্ড দেখে ফেলছি, চারটা এসটেরিক্স (****)।
প্রথম সর্দার বলল, হা হা, হা, না পার নাই, ভুল হইছে, ঐটা ২৩৭৮।
--------------------------------------------------------------------------------
সর্দারজী শিক্ষকের কাছে অঙ্ক শিখতে গেছে।
সর্দারজীঃ স্যার, আমি পঞ্চান্ন কিভাবে লিখব?
শিক্ষকঃ দুইটা পাঁচ পাশাপাশি লিখলেই পঞ্চান্ন হয়।
খানিক পর শিক্ষক দেখলেন, সর্দারজী একটা পাঁচ লিখে বসে মাথা চুলকাচ্ছে।
শিক্ষকঃ কী হলো, সর্দারজী?
সর্দারজীঃ মস্ত বিপদে পড়েছি। আরেকটা পাঁচ কোন পাশে বসাবো বুঝতে পারছি না।
--------------------------------------------------------------------------------
বাড়িওয়ালা সর্দারজীকে ফোন করে বলছেন- তাঁর বাসার কলিংবেলটা নষ্ট, সর্দারজী যেন জরুরি ভিত্তিতে এসে সেটা ঠিক করে দেন। একদিন যায়, দুদিন যায়। পুরো চারদিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও সর্দারজীর কোনো নামগন্ধ না পেয়ে বাড়িওয়ালা এবার রেগেমেগে সর্দারজীকে আবার ফোন করলেন।
বাড়িওয়ালাঃ আপনাকে না চারদিন আগে বলেছি, বাসার কলিংবেলটা নষ্ট। আপনার তো দেখাই পাচ্ছি না।
সর্দারজীঃ কী যে বলেন। আমি গিয়েছিলাম ঠিকই। কিন্তু অনেকক্ষণ বাসার বেল চেপে কারও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে শেষে ফিরে এসেছি।
--------------------------------------------------------------------------------
ছেলেঃ আচ্ছা বাবা, বেকুব কাকে বলে?
সর্দারজীঃ বেকুব হচ্ছে সেই ব্যাক্তি, যার কাছে কেউ কিছু বুঝতে চাইলে সে এত সুকঠিন এবং দীর্ঘভাবে জিনিসটা বোঝাতে যায়, যাতে যে বুঝতে এসেছে সে কিছুই বুঝতে পারে না। বুঝতে পেরেছ বিষয়টি?
ছেলেঃ না।
--------------------------------------------------------------------------------
কটা বাচ্চা কোলে নিয়ে হাঁসফাঁস করতে করতে বাসে উঠছিলেন এক মহিলা। এরই মধ্যে তার কানে এল বাসের হেলপার বলছে, বাচ্চাটা আস্ত একটা বাঁদর�। শিশুসন্তানকে নিয়ে এমন মন্তব্য শুনে মহিলা মারাত্মক ক্ষেপে গেলেন। রাগে গজগজ করতে করতে মহিলা পেছনের দিকের এক আসনে গিয়ে বসলেন। তার পাশের আসনে বসে ছিলেন সর্দারজী। মহেলা সর্দারজীকে ঘটনাটি বোঝাচ্ছিলের। সর্দারজী তাকে সমবেদনা জানানোর জন্য বললেন-
কী যে বলেন, ঐ ব্যাটার এত্ত বড় আস্পর্ধা! আপনি এক্ষুনি গিয়ে ওর গালে একটা চড় মেরে আসুন। ততক্ষণ আপনার বাঁদরটা আমার কাছেই থাকুক�।
--------------------------------------------------------------------------------
শিক্ষকঃ বলো তো, ব্রাজিল থেকে আমরা কোন জিনিসটা পাই?
সর্দারজীর ছেলেঃ জানি না স্যার।
শিক্ষকঃ অবশ্যই জানো। তুমি কি জানো, তোমরা বাসায় যে চিনি খাও, সেটা কোথা থেকে আসে?
সর্দারজীর ছেলেঃ এগুলো তো আমরা আমাদের পাশের বাসা থেকে ধার আনি।

#
সর্দারজি প্রতিদিন সকালে তাঁর কুকুর নিয়ে হাঁটতে বের হন। এটা দেখে একদিন তাঁর বন্ধু দূর থেকে—
বন্ধু: আরে, এত সকালে গাধাকে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছ কোথায়, শুনি?
সর্দারজি: অন্ধের মতো কথা বলো কেন? দেখছ না, এটা আমার কুকুর। আর তুমি বলছ গাধা?
বন্ধু: আরে, আমি তো তোমাকে বলিনি। আমি প্রশ্ন করেছি তোমার কুকুরকে।

#
ক্লাসে ঢুকেই শিক্ষক বললেন, ‘আচ্ছা, বলো তো বিদ্যুত্ কোথা থেকে আসে?’ প্রশ্ন শুনে সবাই চুপ। কিছুক্ষণ ভেবে সর্দারজির ছেলের জবাব, ‘স্যার, বিদ্যুত্ আসে আমার মামার বাসা থেকে।’ শিক্ষক অবাক হয়ে বললেন, ‘তোমার মামার বাসা থেকে! তা কীভাবে আসে বলো তো শুনি?’ সর্দারজির ছেলের জবাব—‘স্যার, যখন বিদ্যুত্ চলে যায়, তখন বাবা রাগ হয়ে বলেন, “ ধুর, শালা আবারও বিদ্যুত্ বন্ধ করে দিল!” আমার বাবার শালা তো আমার মামাই হয়, স্যার।’

#
সর্দারজি আর তাঁর এক বন্ধু গ্লাস কিনতে দোকানে গেছেন। দোকানে একটি উল্টো করে রাখা গ্লাস দেখে—
সর্দারজি: (তাঁর বন্ধুকে) দেখ, এই গ্লাস তো নষ্ট!
বন্ধু: কেন, তুই কী দেখে নষ্ট বললি?
সর্দারজি: (খেপে গিয়ে) ‘আরে বোকা, দেখতে পাস না, গ্লাসটার ওপরের দিকটা বন্ধ। পানি ভরবি কীভাবে, শুনি?’ এ কথা শুনে এবার সর্দারজির বন্ধু গ্লাসটি উল্টো করে দেখে বললেন, ‘আরে তাই তো! শুধু ওপরটাই বন্ধ নয়, দেখ, গ্লাসটার নিচের দিকটাও কেমন ভাঙা।’

#
একদিন সর্দারজি ট্রেনে চেপে কোথাও যাচ্ছিলেন। সেদিন ছিল প্রচণ্ড গরম। তাই সর্দারজিসহ প্রায় সবাই ফেরিওয়ালার কাছ থেকে হাতপাখা কিনে বাতাস করতে লাগল। তাই এক স্টেশন থেকে অন্য স্টেশনে যেতে না যেতেই সবার হাতপাখা খুলে নষ্ট হয়ে গেল। কিন্তু সর্দারজির হাতপাখাটা একদম নতুনের মতোই আছে। এটা দেখে অবাক হয়ে একজন জিজ্ঞেস করলেন, ‘সর্দারজি, আপনার হাতপাখাটি এখনো নতুনের মতো আছে কী করে?’ সর্দারজি বললেন, ‘আরে মশাই, আমি আপনাদের মতো বোকা নাকি? টাকা দিয়ে হাতপাখা কিনেছি কি নষ্ট করার জন্য? আমি তো হাতপাখা মুখের কাছে ধরে শুধু মাথাটা নড়াচড়া করেছি।’

#
দুই সর্দারজি তাঁদের বাবাদের কাজকর্ম নিয়ে তর্কবিতর্ক করছেন—
প্রথম সর্দারজি: তুমি কখনো সুয়েজ খালের কথা শুনেছ?
দ্বিতীয় সর্দারজি: শুনব না আবার! এটা তো ছোট্ট বাচ্চাও জানে।
প্রথম সর্দারজি: হুম…এই খাল পুরোটাই আমার বাবা খনন করেছিলেন।
দ্বিতীয় সর্দারজি: চাপাবাজি ছাড়ো, এটা কখনো হতেই পারে না। কিন্তু তুমি কি ডেড সির কথা জানো?
প্রথম সর্দারজি: কেন, কী হয়েছে তাতে?
দ্বিতীয় সর্দারজি: আরে বুদ্ধু, এত কিছু জানো, আর এটাই জানো না। আমার বাবাই তো ওটাকে মেরে ফেলেছিলেন।

#
একবার ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্ন দেখে সর্দারজির চোখ তো ছানাবড়া। তিনি রচনা পড়ে গিয়েছেন ‘মাই ফ্রেন্ড’ আর প্রশ্নে এসেছে ‘মাই ফাদার’। প্রশ্ন নিয়ে কিছুক্ষণ উসখুস করে ভাবতে লাগলেন, কী করা যায়? হুম্, পেয়েছি। বিষয়টা পানির মতোই সহজ মনে হচ্ছে। শুধু ফ্রেন্ডের জায়গায় ফাদার বসিয়ে দিলেই তো খেল খতম! তো এই ভেবেই সর্দারজি ইংরেজিতে ‘মাই ফাদার’ রচনা লেখা শুরু করলেন এভাবে, ‘আমার অনেক বাবা আছে, কিন্তু দারা সিং আমার খুব প্রিয় একজন বাবা। তিনি প্রায়ই আমাদের বাসায় আসেন। তাঁর সঙ্গে আমি অনেক খেলা করি। আমার মাও তাঁকে খুব পছন্দ করেন।’
রচনার একদম শেষে লিখে দিলেন, ‘অসময়ের বাবাই প্রকৃত বাবা।’

#
একবার তিন সর্দারজি সিঙ্গাপুরে বেড়াতে গেছেন। সেখানে একটি ১০০ তলা হোটেলের ঠিক ১০০ তলায়ই কক্ষ ভাড়া পেলেন।
এক গভীর রাতে বাইরে থেকে ফিরে লিফট বন্ধ থাকায় প্রতি ৩৩ তলায় একজন একটা করে গল্প বলে বলে সিঁড়ি ভেঙেই ওপরে উঠতে থাকলেন তিন সর্দার। উঠছেন আর গল্প করছেন। প্রথম সর্দারজি ৩৩ তলায় উঠে গল্প বলা শেষ করার পর তৃতীয় সর্দারজি জানালেন, ‘আমার কাছে আরও একটা করুণ গল্প আছে, কিন্তু সেটা আমি একদম ওপরে উঠে বলব।’ সবার গল্প শেষ হলে তাঁরা ১০০ তলায় পৌঁছালেন।
এরপর প্রথম সর্দারজি তৃতীয় সর্দারজিকে: তো বাপু, তোমার করুণ গল্পটা কী, বলো তো দেখি।
তৃতীয় সর্দারজি: আমি ম্যানেজারের কক্ষ থেকে আমাদের কক্ষের চাবিটাই আনতে ভুলে গেছি।
কী আর করা, আবারও সিঁড়ি ভেঙে নিচতলার দিকে নামতে লাগলেন তাঁরা। এমন সময় দ্বিতীয় সর্দারজি বলে উঠলেন, ‘আরে, আমার কাছেও তো আরেকটা করুণ গল্প আছে, কিন্তু আমি তা নিচে নেমেই বলব!’
নিচে নামার পর তাঁকে বলা হলো, ‘ঠিক আছে, এবার শোনাও তোমার সেই করুণ কাহিনী।’
দ্বিতীয় সর্দারজি: আমাদের কক্ষের চাবিটা আমার পকেটেই রয়ে গেছে।
রাগে-ক্ষোভে বাধ্য হয়েই তাঁরা আবার নিচ থেকে ওপরের দিকে যাচ্ছেন। কিছুদূর গিয়েই তৃতীয় সর্দারজি বললেন, ‘ওহে, আমার কাছেও তো একটা করুণ গল্প ছিল। কিন্তু এখন তো আমার ক্লান্ত লাগছে, তাই একদম ওপরে উঠেই তোমাদের গল্পটা শোনাব।’
এভাবে হেঁটে ১০০ তলায় ওঠার পর তৃতীয় সর্দারজিকে তাঁর গল্পের কথা বলা হলো।
তৃতীয় সর্দারজি: আসলে এটা তো আমাদের হোটেল নয়। এটার ঠিক বিপরীতে ১০০ তলা যে হোটেলটি দেখা যাচ্ছে, সেটিই হচ্ছে আসলে আমাদের হোটেল।

#
একদিন সর্দারজি ট্রেনে চেপে কোথাও যাচ্ছিলেন। সর্দারজির খুব ঘুম পাচ্ছিল তখন। তিনি তাঁর সামনে বসা এক ব্যক্তিকে ২০ রুপি দিয়ে বললেন, ‘দাদা, ট্রেন স্টেশনে পৌঁছালে দয়া করে আমাকে ডেকে দেবেন।’ লোকটি ছিলেন একজন সামান্য ক্ষৌরকার। বেচারা ২০ রুপি পেয়ে বেজায় খুশি। সে ভাবল, ২০ রুপি যখন দিলই, তখন শুধু জাগিয়ে দেওয়াই কেন, আরেকটু খেদমত করা যাক সর্দারজিকে। তাই সর্দারজি ঘুমিয়ে যাওয়ার পর ঝোলা থেকে ক্ষুর বের করে খুব যত্নের সঙ্গে তাঁর সব দাড়ি-গোঁফ কামিয়ে দিলেন। নির্দিষ্ট গন্তব্যে এসে নরসুন্দরের ডাকে সর্দারজির ঘুম ভেঙে গেল। হেলেদুলে বাসায় ফিরলেন সর্দারজি। হাতমুখ ধুতে গিয়ে হঠাত্ আয়নায় তাকালেন একবার। তাকিয়েই ভীষণ অবাক তিনি, আরে, ব্যাপার কী, আপনি কে? তিনি নিজেই নিজের প্রশ্নের উত্তর দিলেন, ‘আরে সব্বনাশ হয়েছে, আমার ২০ রুপি খেয়ে ওই গর্দভ আমার সঙ্গে চালবাজি করেছে। আমাকে না জাগিয়ে, জাগিয়ে দিয়েছে অন্য আরেকজনকে!

#
প্রশ্নকর্তা: আপনার জন্মদিন কবে?
সর্দারজি: ১৩ অক্টোবর।
প্রশ্নকর্তা: কোন সালে?
সর্দারজি: আরে মশাই, বোকার মতো কথা বলছেন কেন! প্রতিবছরই তো আমার জন্মদিন।
প্রশ্নকর্তা: আচ্ছা, ইংরেজিতে একটি শব্দ বানান করে লিখতে পারবেন, যাতে ১০০টি লেটার থাকে?
সর্দারজি: কেন! P…O…S…T…B…O…X.
প্রশ্নকর্তা: হুম্, এবার কল্পনা করুন তো, আপনার ঘরে আগুন লেগেছে। কী করে ঘর থেকে বেরোবেন?
সর্দারজি: কেন! আমি কল্পনা করাই বন্ধ করে দেব।

#
খোলা মাঠে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে সর্দারজির অনেকক্ষণ ধরে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা দেখে তাঁর এক বন্ধু জিজ্ঞেস করল, ‘কি রে, রোদে মানুষের অবস্থা কাহিল, আর তুই কিনা সূর্যের নিচে দাঁড়িয়ে আছিস! ব্যাপারটা কী!’
সর্দারজি বললেন, ‘আরে বোকা! অনেকক্ষণ বাইরে থেকে এসেছি, ঘেমে গেছি। তাই এখন সূর্যের নিচে দাঁড়িয়ে শরীরের ঘামটাকে শুকিয়ে নিচ্ছি।’ সর্দারজির জবাব।

#
সর্দারজি তাঁর মারুতি গাড়িটি নিয়ে একটি শপিং মলে গেছেন। গাড়ি থেকে নেমে কিছুক্ষণ এদিক-সেদিক তাকিয়ে সর্দারজি লেগে গেলেন গাড়ির চাকা খোলার কাজে।
কৌতূহলী হয়ে এক পথচারী ভদ্রলোক এগিয়ে এলেন, ‘আরে মশাই, আপনি এখানে গাড়িটির চাকা খুলছেন কেন?’
সর্দারজি: ‘কেন, আপনি কী সামনের নোটিশ বোর্ডের লেখাটা পড়তে পারছেন না নাকি? দেখছেন না নোটিশে লেখা ‘এখানে শুধু দুই চাকার গাড়িই পার্ক করা যাবে। আমারটা তো চার চাকার গাড়ি।’

#
সর্দারজি আর তাঁর বন্ধু বান্তার মধ্যে কথা হচ্ছে—
বান্তা: কি রে, মন খারাপ করে বসে আছিস কেন?
সর্দারজি: জানিস, আমার স্ত্রী গতকাল মারা গেছে।
বান্তা: বলিস কী রে!
সর্দারজি: এ জন্য অনেক কান্নাকাটি করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু কিছুতেই চোখে জল আসে না। কী করি বল তো?
বান্তা: আরে, এটা কোনো ব্যাপার হলো! তুই মনে মনে কল্পনা কর যে সে আবারও ফিরে এসেছে, তাহলেই তো হয়।

#
সর্দারজির সঙ্গে একজনের নতুন বন্ধুত্ব হয়েছে। তো সেই নতুন বন্ধুর সঙ্গে সর্দারজির কথা হচ্ছে—
বন্ধু: আচ্ছা সর্দারজি, তোমার বিয়ে হয়েছে?
সর্দারজি: হুম, হয়েছে তো একটি মেয়ের সঙ্গে।
বন্ধু: এভাবে বললে কেন? ছেলেদের সঙ্গেও আবার কারও বিয়ে হয় কি?
সর্দারজি: দূর বোকা, তুমি দেখছি কিছুই জানো না। আমার বোনের তো একটি ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে।

#
খোলা মাঠে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে সর্দারজির অনেকক্ষণ ধরে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা দেখে তাঁর এক বন্ধু জিজ্ঞেস করল, ‘কি রে, রোদে মানুষের অবস্থা কাহিল, আর তুই কিনা সূর্যের নিচে দাঁড়িয়ে আছিস! ব্যাপারটা কী!’
সর্দারজি বললেন, ‘আরে বোকা! অনেকক্ষণ বাইরে থেকে এসেছি, ঘেমে গেছি। তাই এখন সূর্যের নিচে দাঁড়িয়ে শরীরের ঘামটাকে শুকিয়ে নিচ্ছি।’ সর্দারজির জবাব।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০১২ সকাল ৯:৩৩
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সকলের দায়িত্ব।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৮



এগুলো আমার একান্ত মতামত। এই ব্লগ কাউকে ছোট করার জন্য লেখি নাই। শুধু আমার মনে জমে থাকা দুঃখ প্রকাশ করলাম। এতে আপনারা কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দায়ী না। এখনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেতনার সময় জামায়াত বদ্ধ ইসলামী আন্দোলন ফরজ নয়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৮



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×