somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সর্দারজির জোকস্ ২

০৫ ই এপ্রিল, ২০১২ সকাল ৯:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

#
ক্লাসে সর্দারজি ও শিক্ষকের মধ্যে কথা হচ্ছে—
শিক্ষক: আচ্ছা, তুমি বলো তো, পৃথিবীতে সবচেয়ে প্রাচীন পশুর নাম কী?
সর্দারজি: স্যার, জেব্রা।
শিক্ষক: বলো কী! তা জেব্রাকে কেন তোমার প্রাচীন পশু মনে হলো?
সর্দারজি: স্যার, প্রাচীনকালে সবকিছুই তো সাদা-কালো ছিল। যেমন টিভি, মোবাইল ফোন। এখন সেই সাদা-কালোর বদলে হয়েছে রঙিন। কিন্তু জেব্রা তো এখনো সেই সাদা-কালোই রয়ে গেছে। তাহলে তো জেব্রা প্রাচীনকালেরই পশু হওয়ার কথা, স্যার!

#
সর্দারজি পুলিশ স্টেশনে ফোন করেছেন—
সর্দারজি: স্যার, ফোন করে আমাকে এক ব্যক্তি বারবার হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এর কিছু একটা বিহিত আপনাদের করতেই হবে।
পুলিশ: তা আপনাকে ফোনে কে এই হুমকি-ধমকিগুলো দিচ্ছে?
সর্দারজি: স্যার, টেলিফোন অফিস থেকে একই ব্যক্তি কয়েক দিন থেকেই ফোন করে বলছে, আগামী ১৫ তারিখের মধ্যে বকেয়া বিল পরিশোধ না করলে আপনার ফোনের লাইন কেটে দেওয়া হবে। কত্ত বড় হুমকি, একবার ভেবে দেখুন, স্যার!

#
জানালার পর্দার কাপড় কিনতে সান্তা সিং একটা কাপড়ের দোকানে ঢুকেছে।
অনেক ঘেঁটেঘুঁটে শেষে একটা ঝলমলে গোলাপি রঙের কাপড় পছন্দ হয়েছে তার।

কাপড় কাটার সময় দোকানি বললেন, ‘কয় গজ কাপড় লাগবে আপনার?’
সান্তা ভ্রু কুঁচকে বলল, ‘কয় গজ মানে! পাক্কা পনেরো ইঞ্চি কাপড় কেটে দাও।’

দোকানি চোখ বড় বড় করে বললেন, ‘পনেরো ইঞ্চি মানে! পাগলে পেয়েছে আপনাকে? এই কাপড় দিয়ে কোনো জানালার পর্দা হবে!’
সান্তা একগাল হেসে বলল, ‘আরে মিয়া, এই পর্দা তো আমার কম্পিউটারের জন্য।’

‘কম্পিউটারের জন্য! কম্পিউটারে কেউ পর্দা দেয় নাকি?’
‘কেউ দেয় না, আমি দিই। কারণ আমার কম্পিউটারে ‘উইন্ডোজ’ আছে!’

#
কাহীনি লন্ডনে। এক শিখ প্রচুর রুটি খেতে পারে। বন্ধু-বান্ধব সবাইই জানে যে সে এক বসায় এক হাজার রুটি অনায়াসেই খায়। একবার তাকে চ্যালেন্জ করে বসল এক বৃটিশ।
: তুমি রুটি খাওয়ার প্রতিযোগিতায় আমার সাথে পারবে না।
শুনে ভীষণ ক্ষেপে গেল শিখ।
: প্রশ্নই ওঠেনা। আমি কেমন রুটি খেতে পারি বন্ধু-বান্ধব সবাইই জানে । তার উপরে আমি খাই দেশি রুটি, তোমার মত পাউরুটি না।
এই কথা শুনে বৃটিশটি মোটেও দমল না, বরং চতুর হাসি হেসে বলল, আমি তোমার সাথে বাজী ধরতে চাই। রুটি খাওয়ার প্রতিযোগিতা করব আমরা দু'জন, যে জিতবে সে অপরকে ১০০ পাউন্ড দেবে।
যুদ্ধংদেহী ভংগীতে বাজী গ্রহন করল শিখটি।
নির্দিষ্ট দিনে উভয়ে বসল। শিখ ও বৃটিশ দু'জনের পাশেই বিপুল পরিমান রুটি। উভয়ের বন্ধু-বান্ধব এই প্রতিযোগিতা দেখার জন্য তাদের চারদিকে গোল হয়ে বসেছে।
শিখটি একটানে ৩০০ টি রুটি খেয়ে ফেলল।বৃটিশটিও একটানে ৩০০ টি রুটি খেয়ে ফেলল। এরপর শিখটি আরও ২০০ টি রুটি খেয়ে ফেলল। এবার বৃটিশটি খেল ২৫০ টি রুটি ।এরপর শিখটি খেল ১০০ টি রুটি। বৃটিশটি খেল ১২০ টি রুটি । দর্শকরা একে অপরের মুখ চাওয়া-চাওয়ি করছে। এমনটা তারা আশা করেনি। এরপর শিখটি খেল ২০ টি রুটি। তার পর পর বৃটিশটি খেল ৫০ টি রুটি। এরপর শিখটি অনেক কষ্টে ৩ টি রুটি খেল। বৃটিশটি আরও ১০ টি রুটি খেল। আর না পেরে হার মানল শিখ। বাজীতে হেরে ১০০ পাউন্ড দিয়ে দিল বৃটিশটিকে। বিজয়ের উল্লাস নিয়ে হাসতে হাসতে চলে গেল বৃটিশটি ।
এহেন ফলাফলে হতবাক শিখটির বন্ধু-বান্ধব। বিস্মিত হয়ে তারা প্রশ্ন করল, ''কিরে তুই তো অনায়াসেই একটানে ১০০০টি রুটি খেতে পারিস, আজ এমন হলো কেন ?" চিন্তিত মুখে শিখটি বলল, " আমিও কিছু বুঝতে পারছি না, কেন যে এমন হলো! আমি নিস্চিত আমি একটানে হাজারটি রুটি খেতে পারি, এমনকি এই প্রতিযোগিতায় আসার আগেও, আমি বাসায়, ১০০০টি রুটি খেয়ে প্র্যাকটিসও করে এসেছি।"

#
এক রাতে হঠাৎই বিদ্যুৎ চলে গেল।
সর্দারজি: কই গো, ফ্যানটা ছাড়ো না!
সর্দারজির স্ত্রী: বোকা নাকি তুমি! দেখছ না, মোমবাতি জ্বালিয়ে রেখেছি? ফ্যানটা ছাড়ি আর মোমবাতিটা নিভুক আরকি!

#
সর্দারজি বাস কাউন্টারে গিয়ে বললেন, ‘আমাকে দুটো টিকিট দিন তো।’
কাউন্টার কর্মী: দুটো টিকিট কেন, সর্দারজি? আপনি তো একা দেখছি !
সর্দারজি: একটা টিকিট যদি হারিয়ে যায়, তাই আগে থেকেই আরেকটা টিকিট অতিরিক্ত কিনে রাখছি।
কাউন্টার কর্মী: আর যদি দুইটাই হারিয়ে যায়?
সর্দারজি: হে হে, সমস্যা নেই। আমার কাছে পাস আছে !

#


#

১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সকলের দায়িত্ব।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৮



এগুলো আমার একান্ত মতামত। এই ব্লগ কাউকে ছোট করার জন্য লেখি নাই। শুধু আমার মনে জমে থাকা দুঃখ প্রকাশ করলাম। এতে আপনারা কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দায়ী না। এখনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেতনার সময় জামায়াত বদ্ধ ইসলামী আন্দোলন ফরজ নয়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৮



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×