আয়ুটা খেয়ে ফেলছে পৃথিবী। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকেই হাঁটা শুরু করছি মহাকালের পথে। সমতালে হেঁটেই চলছি। পথে পথে রেখে এসেছি কিছু পাপ, কিছু যাপন। একটা গোপন যাপন রেখে এসেছি প্রেমিকার জানালায়। জানালায় ঝুলে থাকা ছেঁড়া লাল ঘুড়িটা এখনও তার সাক্ষী হয়ে আছে।
লাল ঘুড়ি
০৭০৩১৫
--------------------
সে একদিন আমার ডান হাতটা টেনে নেয়। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে আমার হস্ত রেখাবলি। বলে দেয় আমার অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যতের শূন্য বিন্দুগুলি। আমি তার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকি। আমি বুঝতে পারি, সে যে আয়না ঘরে কিছু লুকিয়ে রেখেছে। চোখ যে সর্বদাই সৎ। সেই থেকে আমি চোখের ভাষা পড়তে পারি।
চোখ
০৯০২১৫
-------------------
ছেলেটাকে বললাম, তোমার পৃথিবীটা আমাকে কয়েকদিনের জন্য ধার দাও। আমি লাটিমের ঘূর্ণি দেখতে গিয়ে আমার পৃথিবীটা হারিয়ে ফেলছি। ছেলেটা তার কাঁধের ঝোলা হতে গোলাপী রঙের একটা লাটিম বের করে সুতোয় জড়িয়ে শূন্যে ঘুরিয়ে দিল। আর বললো, আমি হাজার বছর ধরে মানুষকে শূন্যে লাটিমের ভ্রমি দেখিয়ে বেড়াই।
লাটিমের ঘূর্ণি
২৩০২১৫
------------------
গাছের পাতাগুলিকে দুঃখদের গল্প বলে দিয়েছিলাম। সেই থেকেই গাছের পাতারা একে অন্যকে হাওয়ায় দুলে দুলে গল্প বলে।
গল্প
২২০১১৫
-----------------
চোখ খেকো একটা মানুষের সাথে আমার পরিচয় বহুদিনের। তাকে আমি ছাড়া কেউ দেখতে পায় না। যে মানুষই আয়নায় মিথ্যা চোখ আঁকে, সে তখনই তার শাদা চোখ দুটো খেয়ে আসে। এরপর চিরকালই ইমিটেশন চোখ দিয়ে ঐ লোকটাকে পুরো পৃথিবীটা দেখতে হয়।
চোখ খেকো মানুষ
২৩০২১৫
----------------
যে কবিতাগুলির নাম হয় না
তারা ওপারে পাতার বাঁশি বাজাতে বাজাতে চলে গেল। এপারে কয়েকজন কবি, বসন্তে একটা ফুল ফোটা দেখার অপেক্ষায় এখনও প্রহর গুনে।
-
এমন পড়ন্ত রোদের ভাঁজে ভাঁজে
গুঁজে রেখেছি প্রেমিকার মায়ার ন্যাপথলিন।
-
যেথায় আমার পূর্ণতা;
সেথায় সে ভাবে অপূর্ণতা!
..........দীঘির জলে নিঃশব্দে ডুবে থাকা একটা শামুকের জীবনী লিখছি।