ছোট বেলায় শুনতাম এমন এমন দেশ আছে , আমরা যা করি বা বলি অথবা খাই ,
সেসব দেশে ঊলোটা করে । যেমন ঢাকায় বসে দেদারসে পুরী খাবার অর্ডার দিন
আপত্তি নাই, কিন্ত সিলেট গিয়ে এমন অর্ডার করে দেখুন কত ধানে কত চাল টের পাবেন ।
ঘটনাটি ঘটেছে দেশের বাইরে, তাই অনুবাদ করে পেশ করা হলো :-
ক্লাস ছুটি হলে আমাদের পাঁচ বছর বয়সী কন্যাকে কিন্ডারগার্টেন থেকে আনতে গেলে বাবা জানতে পারল স্কুলের প্রিন্সিপাল মহোদয় আমাদেরকে ওনার অফিসে দেখা করতে বলেছেন। প্রিন্সিপালের সাথে দেখা করলে উনি কোন কথা না বলেই বাবার হাতে এক টুকরো কাগজ ধরিয়ে দিয়ে বললেন “নিন, এই ছবিটা আপনার মেয়ে আজকের ড্রয়িং ক্লাসে এঁকেছে!” ওনার মুখ দেখে বুঝতে পেরেছিলাম ব্যাপারটায় উনি যথেষ্ট হতবিহ্বল ও বিব্রতবোধ করছেন এবং একই সাথে আমার জন্য সহমর্মিতাও ছিল তার চেহারায়।
সন্ধ্যায় মেয়ের মা আর বাবা মেয়ের আঁকা ছবিটা মনোযোগ দিয়ে দেখল এবং বুঝার চেষ্টা করল, ও আসলে কি আঁকতে চেয়েছিল। মেয়ে তার মায়ের কোলে বসেছিল এবং আমরা ইনিয়ে বিনিয়ে তাকে নানান কথা জিগ্জেস করছিলাম ।
সেই আলোচনার কিয়দাংশ নিম্নরুপঃ
বাবাঃ (মেয়ের আঁকা ছবিটা টেবিলে রাখলাম এবং তাকে জিগ্জেস করলাম) “মা,
আজকে স্কুলে ড্রয়িং ক্লাসে তুমি যে ছবিটা এঁকেছো এর সম্পর্কে মাম্মি-কে একটু বলতো”।
কন্যাঃ “ওহ, এটা! এটাতো আমার অনেক পছন্দ! তুমিও এটা পছন্দ করো?”
বাবাঃ “হ্যাঁ মা, আমিও পছন্দ করি। তুমি কি এর সম্পর্কে আমাকে কিছু বলতে পারবে?”
কন্যাঃ “আমি আজকে স্কুলে ড্রয়িং ক্লাসে এটা কি এঁকেছি”
বাবাঃ “ছবিটা ঠিক আছে, সুন্দর হয়েছে। কিন্তু বাবাকে একটু বলোতো তুমি এখানে কি আঁকতে চেষ্টা করেছো?”
কন্যাঃ “আমরা সবাই মিলে আমাদের খুব প্রিয় একটা জিনিস এঁকেছি”।
এবার মেয়ের মায়ের চোখ কপালে উঠলো।
বাবার কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়লো কিন্তু ছবিটা ভালভাবে বুঝার চেষ্টা করল যে, এমন ভাব করে তা লুকানোর চেষ্টা ।
বাবাঃ “তা তো ঠিক আছে। তা মা, তোমরা তোমাদের কোন প্রিয় জিনিসটা এখানে এঁকেছো তা বাবাকে একটু বলো”
কন্যাঃ “বাবা! তুমি কি বোকা!। তুমি দেখতো পাচ্ছো না,
এখানে একটা টেবিলের উপর রাখা একটা মাফিন কেকের ছবি এঁকেছি।”
মেয়ের উত্তর শুনে তার মায়ের হাসতে হাসতে ফ্লোরে গড়াগড়ি খাওয়ার দশা।
বাবাঃ “হ্যাঁ তাই তো মা। ওয়াও, এটাতো খুব সুন্দর হয়েছে।”
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:১৬