আগে একজনকে আড়াই বছর ধরে চিনতাম। অনেক ঘুরাঘুরি করেছি অনেক বাদাম খেয়েছি তার সাথে বসে। সে আমাদের বাসায় আসতো আমিও তাদের বাসায় যেতাম। তারপর দুজন তিন মাস আগে পরে বিদেশে এসেও যাতায়াত ছিল। উইকেন্ডে দেখা হতো। উক ডে তেও মাঝেমাঝে হাজির হতো। তারপর মাস ছয় আগে থেকে লোকটাকে বিরক্ত লাগতে শুরু করে। এমন না যে সে খারাপ লোক। জাস্ট আমার বিরক্ত লাগতে শুরু করে।
ও হ্যা আড়াই বছরের পরিচয় থাকলেও আমরা কেউ কখনো কমিটমেন্ট জাতীয় কিছু করিনি। ঘুরাঘুরি করার জন্য কমিটমেন্ট করতে হবে এইসব আজকাল উঠে গেছে।
তারপর পাঁচ মাস আগে ওদের বাড়ি থেকে বিয়ের প্রস্তাব। এক বছর আগে এই প্রস্তাব এলে হয়তো লুফে নিতাম। কিন্তু সেদিন বললাম আমাকে সপ্তাহ খানেক সময় দিন ভাবতে। বিরক্তি কাটিয়ে এক সপ্তাহ চেষ্টা করলাম ওর পাশে নিজেকে ভাবতে। সপ্তাহ পার হতে মনে হলো হবে না। খামাখা সারাজীবনের জন্য একটা অসহ্য অবস্থার মধ্যে পড়তে হবে। ছেলে তো আমার কথা শুনে কাহিল। দেখি চোখ থেকে জল টপ টপ করে কফির কাপে পড়ছে। সে নাকি কবে থেকে কী ভেবে বসে আছে ইত্যাদি। আমি বললাম এতদিনে একবারও এই কথাটা আমাকে না বলে কথা নাই বার্তা নাই বাড়ি থেকে প্রস্তাব পাঠাবা কেন? ও কিছু না বলে ছাদের দিকে তাকিয়ে কী যেন ভাবে। আমি কোনরকম সিমপ্যাথি বোধ করি না। আমার মহা বিরক্ত লাগতে থাকে। এক সময় উঠে চলে আসি। আসার সময় কাউন্টারে বিল দিয়ে আসি।
এর তিন দিন পরে সে বিশাল একটা ইমেইল করলো। তার ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সের স্ক্রিনশট সহ। আমি নাকি সেদিন বিল দিয়ে তাকে এবং তার বংশকে অপমান করেছি ইত্যাদি। আপনারাই বলেন বিদেশে বসে এইসব ভাল্লাগে ? মেইলের জবাবে বললাম, বাড়ি বসে বেলের শরবত খাও আর ভবিষ্যতে আর কখনো আমার সাথে যোগাযোগ করবা না।
এই হলো গত এক বছরের মধ্যে আমার জীবনে ঘটে যাওয়া একটা বড় ঘটনা। কে যেন জানতে চেয়েছিল। তাই বললাম।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




