somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খসড়া পাণ্ডুলিপি : উড়াল হাওয়া'র শেষ অংশ

২৭ শে জুন, ২০১০ সকাল ৮:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১ম অংশ
Click This Link


ইচ্ছাগাছ
জন্মের ঋণ চিরদিন অমলিন, একই আকর্ষণ
দূরে দাঁড়ানো লাজুক কিছু প্রশ্ন… বৃষ্টির শরীর
সময় রাখছি টেনে সাধ যে দীর্ঘকাল বাঁচার
মায়ের কাছে আজও কোলশিশু; দুধের সন্তান

এমন কিছুই হাওয়ানির্ভর নয়; ইচ্ছাগাছ দাঁড়াও…

দুই.
রোদ জড়ানোর দায়, এমনিতেই বেশি স্মরণীয় হয়
নামিয়া এসো শত-ক্ষত, কালচক্রে ডুবাও নিষিদ্ধস্নান
নিয়ম রক্ষা জ্বলছো কি চিতায়? প্রত্যাশা ডাঙা-সাঁতার
এতো আয়োজন, সহজে ধরে রাখার ক্ষণ দ্যূতিময়

অক্ষম আশা, আমাকে ফেরাতে পারবে কি? কোথাও…

তিন.
গাছ তুমি পান করো রোদ, ছেঁড়া যত সময়ের গান
আমার ভেতর যত নিরহঙ্কার ছায়াভরে দিচ্ছে উড়াল
একবিন্দু শরম পরিয়াছো… দেহে অন্যরকম আওয়াজ
শেষবিন্দুতে জমাও দেহগরিমা; ধিয়ানে শ্রাবণ জলগ্রহণ

ফের যাত্রায় পরাগরেণু হলেও তুমি জলপিপাসা নও…

চার.
জলচুম্বনে জমা আর কত দ্বিধা; করতল-রেখা আর আশা
তোমাকে লুকিয়ে রাখছি সন্তরণ… শেষঅংশ, রাত্রিধংসাবশেষ
শেষরাত্রি ব্যাকুলা হলে; আমাকে টানে সান্ত্বনারেখা; অপরিচিতা
জানো কি সেকথা— ‘দুঃখও যা আছে সবই মধ্যবিত্তে ঘেঁষা’

পলে-পলে খুলে যাওয়া দেহবোতাম, কোন সূত্রে আঙুল থামাও…

জলগণিত
আঘাত যত ঘনিভূত হয়— তবুও
বিবেকের লাগাম টেনে ধরতে হয়…
আসলে আমি, নিয়ম ভাঙতে পারিনি
শিখিনি, কোন নিয়মে দাঁড়াতে হয়

তাই— মুহূর্তে মিশে গাণিতিক সংকেত…


বেঁচে থাকা আর কল্পনা… সবই তথাকথিত
তারচে’ আজ নাক ডেকে ঘুমিয়ে পড়া ভালো
ঘুমের ভেতরও কথা বলি— বোলাবার ইচ্ছায়!
জরাঘুম শোনো, চাপাকথায় বানাও জলগণিত

দূররোদে ডুবে আছি, সমধিকার আর কত…

আকর্ষণ-আয়োজন কি একসঙ্গে বাঁচে? তবে—
প্রতিকূলতা ডিঙাতে পারিনি সুদূরের টানে…
চুপচাপ দূরে দূরে আছি কেবল দেহের জোরে
এমন বেঁচে থাকাও রোমাঞ্চ, চিন্তা ও লোভে

আকর্ষণ-আয়োজন মাপযন্ত্র থেকে অনেক দূরে

মানুষ কেনো বেশিদিন বাঁচে
বেদনার সাথে অকারণেই সম্পর্ক ভালো।স্বপ্ন, তুমি বেদনার হাত ধরে বেঁচে থাকো আর সীমিত আকারে অভিমানী হও ঠোঁটে… বেদনা চেকআপ করতে পয়সা লাগে না।তবুও ডাক্তারের কাছে যাওয়া-আসা ক্লান্তিকর অস্বস্তি লাগে

শোনা গেল, বেদনার বয়স বাড়ছে চেপে রাখি। কাউকে কিছুই বলি না। শুধু জিজ্ঞাসা এই যা... মরার পর কী কবিতা লিখা যাবে?কে শুনে কার কথা; শেষমুহূর্তে ঋণ বাড়ছে অনেক; আমাদের গড় আয়ু সাতান্ন! আমাদের গড় উচ্চতা পাঁচফুট তিন; ফলে গড়ে একটাই ঋণ ধরে রাখাও কঠিন

ওহ!... মানুষ কেনো বেশিদিন বাঁচে?

সময়ফেরা
ফিরতে চাই গর্বে কমপক্ষে তিন ক্রোশ দূরে
তোর হাসির আপসেট জেনে শেষ ভরসা মনে
তোর কাছে যাওয়ার রহস্য ভালো লাগা রিপ্লে
-অন্তরঙ্গ-তিনকোণে
যা কিছু ফেলে আসা হলো, হাতে তুলে নাও
ধুলো-বালু সরাও, জল ঢালো স্নান করাও
ফ্রেমে বাঁধো তারে; ড্রয়িংরুম সাজাও
অন্যরা দেখুক, শিখুক কীভাবে জোড়াআদর
আর ভালো লাগা, চিরকাল মন লুটে খায়

জানুক আর্তনাদ পুষে কতটুকু দূরে থাকা নিরাপদ!
অ-পোষণঠোঁটে

আশা ও অতীত
আপাত শুরু হউক পাঠ ‘ইচ্ছের তীব্র তীর’ বেয়ে ওঠা
নিয়ম ও সংঘাত
আর্তনাদ বাড়াও হাত হইয়ো না চুপচাপ; চোখে স্বপ্নঠাসা
কি কও বিষদাঁত?
গতিপথে চোখ ফুলে আছে; স্মৃতি নাড়িয়ে এত কার হাঁটা?
রাখো প্রস্তুত!
আকার-ইঙ্গিতে ব্যথা গলে পড়ে; তখন শরীর কি রকম লাগে?
সে বিবেচনায় স্মরণ করি লোকালয়; আপাত পৌষ ও মাঘে

বন পাড়ায় মূল্যবান কিছুই নেই; মনখারাপ হওয়া প্রিয়রাত
দরজায় দাঁড়ায়!
এবার দেখে নেবো কোথায় দাঁড়ালো ক্ষতচিহ্ন; কতটা অক্ষত
হাওয়া-দোলায়
তোমার চোখের দিকে তাকালেই দেখি; দৃষ্টি ও আর্শী! ফেরত
চাচ্ছে বিনয়
তেমন কিছুই নেই; বোঝাপড়া বড় হতে-হতে ছোঁয়া হচ্ছে না আহত
প্রশংসা বড় হতে-হতে মন শিখুক; আমাকে চিনুক আশা ও অতীত


সন্দেহ খুলে নাও দু’হাত ছুঁয়ে
বড় সন্দেহপ্রবণ হলাম কারো লাবণ্য চোখে, বাঁধন আপাত তুলে রাখা থাক আসঙ্গমূলে… মনপাখি কি জানে? মৃতকফিন যে কার দেহকারুকাজ দেখে উড়ছে চাপাভিমানে। চাপাভিমান, এসো— এপৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হই, বিরহদিনে আমরাও পালাই। যদি চলে যাই, সন্দেহ একা দাঁড়াতে পারবে তো? স্বপ্নসঞ্চয়ে

স্বপ্নগাহন না-মিললে দিকদর্শন আশ্বাসে ফুটে; যেখানে আমাদের কেউ খুঁজে পাবে না, এমন কি দেহও জানবে না দীর্ঘশ্বাস ছুঁলে।চাপাভিমান চলো, চলো… মঙ্গল গ্রহে যাই, নতুন সংসার বানাই। আমাদের সন্তান, সন্ততিরা পাবে তো আশানন্দ পূর্বপুরুষের উত্তরাধিকারে?

তুমি পেয়েছো কি জলালিঙ্গন, নাকি পেলে পাতার আড়ালে যাওয়া হাওয়াসর্দারি? তবে আমার আলজিভে হননস্পৃহা এতোটা গভীর যে, কোনো নিয়ম জানে না, জলেও বিসর্জন জ্বলছে, তুমি টেনে নিয়ে যাও সহঅর্জন; সন্দেহ খুলে নাও দু’হাত ছুঁয়ে

রূপ খেয়ে নিদ্রা যাই
মন ফুরফুরে তাই, রূপ দেখে, রূপ খেয়ে নিদ্রা যাই। নিদ্রা এতো অধিক যেন ইচ্ছেকে ভাবায়। সম্পর্ক, তুমি কৌশলে দাঁড়াও, দেখবে দ্বিধাদ্বন্দ্বগুলো কিছুই জিজ্ঞেস করবে না। কারণ— আমার কামনা খেয়ে তুমি অন্যত্রে থাকো; অন্যত্রে ঘুমাও, ওহ্! বিধি… তুমি কি জানো? তোমার সরলতার ব্যাখ্যা আমি কিভাবে সাজাই…

কাছে পেলে কিছুই বলবো না, চুপচাপ জড়িয়ে র’বো, দূরে থাকো তাই জোছনা দেখে দেহতৃষ্ণা মিটাই,অনুভবফুল তোমাকে ছুঁই...

দূরদৃষ্টি
ইচ্ছে কাঁদি, কিন্তু পারি না! চোখ জিজ্ঞেস করলো, কাঁদবে, জল পাবে কই? জলটুকুন খেয়ে ফেলছে দেহতৃষ্ণা।... তারচে’ ভালো চোখের গভীরতা খুলে ফেলা হউক, খুলে ফেলা হউক আরো কিছু ঘুম, অদেখা শোকটাও দেখুক, কিভাবে খোলস পরে থাকে সমপরিকল্পনা

২.
সেও বিপরীতমুখি, চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকা, আশেপাশে মানুষজন ভালোই আছে এমন প্রণোদনা অভিমানে খাড়া, অভিমান দূরত্বে যাও; আমাকে পাবে দৃষ্টিজঙ্গলে; দৃষ্টিজঙ্গলে আমরা কি ঘুমিয়ে পড়তাম? ‘অফেরত-ঋণে’…
৩.
ইচ্ছে হলে এককাপ চা হতে পারে, চা খেতে-খেতে ভাবা যাবে শুধু কি পিঠ ঠেসে দাঁড়িয়ে আকাশদেখা, যানবাহনদেখা হাওয়াভরে পাতার খেলা দেখা, নাকি দেখা পাতার আড়ালে রোদের ঝিলিক কিংবা দূর্বাঘাসের উপর রোদের চুম্বন… নাকি দূরদৃষ্টিবনে নিঃশ্বাসে মিশে যাওয়া...

দূরদৃষ্টিবনে আমার রক্তক্ষরণ হচ্ছে, মুহূর্ত এতো দীর্ঘ হচ্ছে!
কিছু ভাবতে পারছি না; দোষ দেবে বলে; কাঁদতেও পারি না

অপরিচিতা
অপরিচিতা, জানার কিছুই ছিল না।তবুও দেহের ভাষা ভালো বুঝে চোখ।ভালো দেখায় মুখের সাজগোজ। কানে পাতাদুল, আঙুলে দুটি রিং,গলার চিকণ চেইন… বেবীগোলাপী রঙে আমার দুর্বলতা এতো-এতো বেশি যে, তাও মিলে গেল জামা পরায়

অধিক চিন্তায় ভুলে গেছি সব, ইদানিং নিজের সাথে কথা বলতে পারি না।কৌতূহলে অপরিচিতার চুল দেখি। চুল কতটুকু দীর্ঘ না-হলেও নারী বলা যায়। ভ্রু কতটুকু কেঁটেছেঁটে ছোট বানালে আই-ভ্রু ছাড়া কিছুই পড়ে না চোখে। ঠোঁটে কতটুকু সন্দেহ জাগায় বিস্ফোরণ চোখ… কে জানে, কত আগেই ফুরিয়েছে জলঠোঁট খেলা।চোখের ডানপাশে অস্পষ্ট যে ছোট্ট কালো তিলটা সেখানেই আমি রহিয়াছি খাড়া।গালের টোল দেখতে দেখতে… বুক বুকঅব্দি আর যাওয়া গেল না

অপরিচিতা, কমবেশি সব রহস্যের বস্তু আঁচ হলো ধীরে, কিন্তু তোমার হাসির রহস্য বুঝা গেল না!...


কামনা পাতা
না-ছুঁলে পাথর হয়ে ওঠো হাতের রেখা, রূপ খোলে গোপন করো অচিনতালু; লক্ষ্য করো, দেখো, কার চক্ষে গাঢ় হয়ে দাঁড়ায় রাত পোহাবার আলো… কার বুক ছিঁড়ে এসো আর দেহ বেয়ে যাও! অচিন মায়া। যে পোড়ায়নি পাতালে, নীরব রেখায় তার বশে কাঁপছি, কাঁপছে কিশোরবেলা, হৃদয় ভোলাবার আগে চোখ খোলো, বুক খোলো, খোলো দেড়হাত মোড়ানো নিষেধ টানা…। সুদূরে আছো, তনুমনে আছো, জল খোলে ধরো কামনাপাতা। শেষরাত্তি গ্রহণ করো, এসো দেখি কতটা জ্বালায়, কতটা উড়ায়, উড়াল হাওয়া

আমাকে ভাবায়নি কেউ, উড়াল হাওয়ায় তোমার আসা-যাওয়া!…

যদি কথা হয়
যদি কথাই হয়; সারা দিয়ে যাবো
প্রয়োজনে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে র’বো
—আড়াআড়ি
শুধু অপেক্ষা একটি শোবার ঘরে
চারটি দেয়াল খাড়া
তিনটি অন্ধঘড়ির কাঁটায় লাফিয়ে উঠছে
নিঝুম-অন্ধকার; অন্ধহাওয়া

দৃষ্টি আমার জন্য কিছু না-কিছু জমিয়ে রাখে
সরে দাঁড়ায়; সেও কথা শোনে না…
কোথায় যে উড়াল দিয়ে যাবো; কোন রাত্তিতে
একা জাগিয়াছো অন্ধফুলকলি; জ্যোৎস্নাহীন নিশ্চয়তা
শেষরাতে কিচিরমিচির শব্দেও মিলে গভীর নীরবতা

প্রীতিকাল
স্বপ্নঘোরে ব্রত আমি, দেখো কেমন প্রস্তুতি? কি বাজছে!কি আর বাজানো গেল না; নিষেধ আছে। ঝাপসা চোখে সবই দেখি, যেমন ইচ্ছাহত্যা।শুধু সময় লাগে মানুষকে চেনার!তুমি কি জানবে না সমগ্রচিন্তা।প্রীতিকাল সহজে মিলে, মিলে না অস্থিরতা, সময়ফিতা

পাশ দিয়ে হাঁটো, আলো খেয়ে বাঁচো, আর কত অপেক্ষা?
সহ্য হচ্ছে না ঠিক বারোটার পর… খুলে নাও নীলজামা
ঠোঁট ছুঁবে তাই, ব্যথাচিহ্ন মর্মে গাঁথো, গাঁথো আরো গভীরে
ছুঁতে পারবে কি তাড়িত হলে আরো গভীর রোমাঞ্চ…

যদি বলি রাখছো কি মনে, অর্ধেক নিয়মে, হৃদয়নির্মাতা।উৎসাহ, কল্পনা ধরে রাখো নিঃসন্দেহে মিলে যাবে দেখো সঞ্চয়। রীতিনীতিসহ আরো কিছু ত্রুটি, মর্মে গ্রহণশক্তি… জল খোলে দেখো; দেখতে কি পাও কি রাত্রিবহর প্রীতিকাল কীভাবে তোমাকে লুকাই দেহের ভেতর

নিদ্রাসংশয়
আত্নহননের পর কি হবে, ভাবতে ভালো লাগে না; ক্লান্তি লাগে। অবসর দু’চোখ মেলিয়া ধরো, দেহাবেগ ঘিরিয়া ধরো তাও নয়; তবে এ-ও জেনেছি যে— কোন উপাখ্যান মেপে কী কারো অভিযোগ মিথ্যে হবে? হবে না জেনেই আবেগি হলাম; পথে বে-পথে ঘুরে জেনেছি নষ্ট চোখে দিনদিন বাড়ছে ঘুমের বয়স।আগুন আমাকে ছুঁতে পারে না, জলও পারে না আলাদা ভাবতে ‘পাপ জেনেও স্পর্শ করি’ পাপ কেনো আগে করিনি? ভাবলেও পতনের ব্যাখ্যা কেই চায়নি! মিথ্যা, জেনেছো কি? নিদ্রাসংশয়…

অস্থিরতা ঠেলেই যাবো; নষ্ট চোখে আর কত জাগিয়া রাখি নিদ্রাসংশয়

এক ইঞ্চি দূরে
যতদূরে যাই আরো উজ্জ্বল হতে দেখি রোদফুল হাসি; জামার ভেতর বেনিয়ামও দেখে কে শ্বাস টেনে রাখে! তুমি প্রতি ইঞ্চি ছায়া মাড়িয়ে হাঁটো, ছায়া ধরে দাঁড়াও! রোদেও হাঁটো; রোদের অহংকার দেখতে দেখতে তোমারও কি অহংকার বেড়ে গেলো?... রোদে হাঁটলে আমার মাথা ব্যথা বাড়ে

ছায়াও আজ স্বার্থপর হলো, গাছের পাতা নড়ছে না, তাতে কী হল…

কবেই আমি অমানুষ হলাম
আমরা সকলেই প্রাণী, সকলেই স্তন পান করিলাম
আমরা সকলেই মানুষ, ক’জন তবে মানুষ চিনিলাম

আমরা মানুষ, আমাদের প্রাণ আছে, মন আছে
আমরা মানুষ আমাদের আবেগ-অনুভূতি আছে

বন্ধুরা বলতে পারো? জানার ভেতর কেনো এতো মনোস্কাম…
বন্ধুরা কি জানো, প্রাণের ভেতর কবেই আমি অমানুষ হলাম!

আঙুলের শাসন
আমার রক্তকণিকা থেকে খুলে নাও মৃত কম্পনগুলো। জানো, ঝরা, মৃতরক্ত দুটির ধরণ এক, ইচ্ছে করলে তাদের সাথে কথা বলা যায়, কীভাবে বলবে?—
শুধু বলার ভঙ্গি জানা দরকার।হাত কাটলে গড়িয়ে পড়া রক্তের ফাঁকে স্থিরদৃষ্টি রাখি; ডেটল লাগাই না, ব্যথাট্যথা অনুভবও হয় না ইদানিং। বরফ কাটতে কাটতে হাতের এমনি অবস্থা যে, বরফ কাটলে হাতে আর জল লাগে না।শুধু কষ্ট একটাই আঙুলের ফাঁকগুলো ফেটে গেলে কলম ধরতে পারি না; শুধু তখন রক্তাপ্লুত হয়ে পড়ে আঙুলের শাসন

আমার দূষিত রক্তকণিকা খুলে নিতে পারো, বাধা নেই, শুধু বিরক্ত করো না

হিসাব
আমার কাছে জমা রেখো না কিছু
কখন কোথায় যাই, ভাবনাও নাই
ছন্নছাড়া, অস্থিরতা, স্বপ্নের ভেতর…
একটা জীবন… এতো টানচেষ্টা-তর্ক

ফিরে আসার ভেতর অনিচ্ছাসম্পর্ক

দিনরাত সমানই ভালোলাগে ঘুমহীনরাত


আমার কাছে জমা রেখো না কিছু
বিক্রি করে দেবো, সিগ্রেট দরকার…
দুই টাকায় এখন গোল্ডলীফ মিলে না
আততায়ী চোখে অসুখ, ভয়ে দাঁড়াই

সিগ্রেট না-পেলে খাতা-কলম-কবিতাও খাই

আমার কাছে জমা রেখো না কিছু
জানবে না, সতেজস্বপ্ন কিভাবে ফুরায়
দেহ ঘিরিয়া নাচন, বেঁচে থাকা মন
আমার শোবার ঘর, আর কতদূর ঘুমায়

দিনরাত একই ভাবি; ভাবি মনের দায়


আমার কাছে জমা রেখো না কিছু
অনেকে বলে সঙ্গমের চেয়ে আর কিছু লোভনীয় নয়
তা বিরোধীতা করি; আমার কাছে লোভনীয় বিশ্বাস
একগাল আশার কথা হার্টের অসুখ; জরুরি… তবে

আশা ,অক্ষত র’বে অন্ততকাল, চাইলে ফেরত পাবে

পরাজিত
তুমি বর্ম খুলে নিতে চাও ফের জেগে উঠি
তুমি দাঁড়াও তাই, প্রযত্নে লুকাই চোখ, নীরব ক্লান্তি
গ্রহণ করেছো কথা, অনেককথা, যেন সহজ ব্যাপার

প্রেম পরাজিত হলে আগুন ভালো থাকা দরকার
ভালোবাসা, ছেড়ে যাবে না জেনে পরাজিত হই
পরাজিতরা ভালো থাকুক
ভালো থেকো সর্বশেষ ঘৃণা…
কিছু কথা নিজের না-হলেও খুলছি আমি—
ঘুমপাহাড় শীতল হও, বর্ম খোলা যাবে না

পূর্ণগ্রাস
করুণ অপেক্ষা, আমাকে পূর্ণগ্রাস করেছো
ইচ্ছে হলেও আমাকে করুণা করা যাবে না
সাক্ষাতের আগে মারা যাবে অধিককথা
হৃদরোগ, গোপন রহস্য জানবে? তবে—
গ্রহণ করো দেহগরিমা
লোভ ঘিরিয়া নাচো
প্রয়োজন অধিক জ্ঞানী, প্রাজ্ঞবান-নারী…
সান্ত্বনা, কথা আমি গুছিয়ে বলতে পারি না

অপ্রকাশের স্পৃহা
শঙ্কা, পুরোটা সময় জুড়ে আছে
নিজের মতো একা, চলে যাবে যাও
বোকা!
অনর্থক বসে থাকার কারাদণ্ড
ক্ষুধার চেয়েও কষ্ট; অপ্রকাশের স্পৃহা
চোখ, দেখছো কি বিষাদ, প্রসব বেদনা

প্রেম মরে না
রোদসম্ভবা চোখ বিবরণ-বরিষণ দেখে
পৃথিবীর স্নেহে বেঁচে আছি; চাপাতৃষ্ণা
আর মধ্যবয়সতৃষ্ণা বেশি মন্দ না
বেঁচে থাকো তুমি অবহেলায়; আশায়
আরাধনা প্রিয় হয়ে যায়, প্রেম মরে না
সে-ও কাঁদে অন্য আয়োজনে
কান্না গুনছে আয়না

প্রীতি
ওই যে দেখছো? সে-ও নীরবতায় ফুরায়
শেষ মিনিটের পর মুখ লুকিয়ে বসে আছি
স্বপ্ননেশা অনেকদূর... মাতাল হতে দেয়নি
বুকে একাধিক শব্দ ঠেকিয়ে ভীষণ স্বস্তি
পাচ্ছি; হৃদয় আজ ফ্রিজে রাখা হবে!
তাই—
কানে কানে কিছু বলতে চাই, বলি না
লিপিস্টিক ঠোঁটের প্রীতি বাড়াচ্ছে
বাড়ছে কামনা

নিরীহরহস্য
দৌড়ালে বাতাসের শব্দ কানে বাজে
দৌড়াতে পারি; কিন্তু নিষেধ আছে…
গতিবাতাসে আমিও আত্নাহুতি দেবো
রেফার করো; কিছু জিজ্ঞাস করো না
ও-শরীরচর্চা
নিরীহরহস্য
প্যান্টের পকেটে লুকিয়ে রাখি হাত
স্পর্শে ধুলা-বালি জমে দেই না
স্পর্শের যদি সর্দি-কাশি হয়
আমি গান শুনি, গায়ে মাখি না

স্পর্শ, সন্দেহ করতে নেই
আশা অনেক রকম জেনে, মনে যন্ত্রণা বাড়ে
আগত স্পর্শে সন্দেহ নেই
অদৃশ্যতৃষ্ণা, বেশিদূর যাবো না
কারণ—
সর্বক্ষণ ভুলে, ভুলভাবে কামনা করো মর্মতল
ভাবাও, ভাবো, ভাবনা সুন্দর!
দীর্ঘশ্বাস, নাম কী তোমার?
বলতে কেনো এতো দ্বিধা; আঘাত-অনুচর
আনন্দ পেতে নিঃশ্বাস চিরকাল স্থির হয়ে থাকে
ক্লান্ত হয়ে পড়ছি রোজ ঝরাস্বপ্ন পান করতে করতে
তুমি কিছু বুঝতে পারো কী?

অপরাধসমীপেষু
শিশুতোষ আশা স্থির পায়ে দাঁড়ায়
পাতাল সেচে ওঠানামা করো, স্নেহবন্ধন
আমার প্রয়োজন তারচে' বেশী কিছু নয়
অন্তরাত্নাপ্রিয়া...
অস্ফুটচোখ লাইসেন্স নাও, ছায়া ধরে দাঁড়াও
দাগ নেই, নামারও ভয় নেই, দেহপ্রলাপ…
অপরাধসমীপে, দ্বিগুণ করে রাখি
অপরাধসমীপে; দয়া খেয়ে বাঁচি
দায় এড়াতে গিয়ে এতোটা আদায়
তারচে’ বেশি ইচ্ছে নেই, সেখানেই দাঁড়াও

অস্থিরমন
কপালের দোষ দেয়া ভালো
অস্থিরমন আরামে ঘুমায়
পাথরে দীর্ঘক্ষণ বসি থাকি না
দুঃখ যদি খোঁদাই হয়ে যায়
সুখের কপালে দুঃখ আছে জেনে
অপেক্ষার ঘুম আসে না

রাতপাথর
কান্না মনের কথা বুঝে না বলে
চোখে কান্না আসে; দু’চোখ ছাড়া
কোনো পথ খোলা নেই, সুখে থাকো
মুখোমুখি থাকো, হারানো কান্না…
চোখের ভেতর এতো লোভ, লোভ আশার
লোভী, নিক্কনে বেঁধো না রাত ও পাথর
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুন, ২০১০ সকাল ৭:৫৮
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×