somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জনগণের মুক্তি, আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির স্লোগান-ভাংচুর র্মাকা আদর্শ-মতাদর্শের খপ্পরের বাইরেই নিহিত

২৭ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নারয়ণ গঞ্জের সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন সারা দেশের মনোযোগের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। আনেকে মনে করছে এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভয়াবহ দু:শাসনের যথার্থ উত্তর-চপেটাঘাত মানুষ বিএনপির প্রার্থীকে ভোট প্রদানের মাধ্যমে প্রদান করবে - বিএনপি পন্থিদের মোটামুটি এমনই ধারণা। এবং তারা মনে করেন আগামী নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে যাবতীয় সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। দেশে শান্তির বেহেস্তি হাওয়া বইবে। কিন্তু ঘটনা যে তা ঘটবে না, সেটি বোঝার মত ইচ্ছা বা দূরদৃষ্টি যাই বলি না কেন – কোনটাই তাদের আছে বলে মনে হয় না। এই ক্ষেত্রে যেটি হতে পারে সেটি হল ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী মহাজোট সরকার যেমনটি করেছে - তারা সবকিছুর দায়ভার বিগত সরকারের কল্লায় তুলে দিয়ে দিন বদলের গান গেয়েছিলো। সেই গান এখনো শেষ হয় নাই। আসলেই কি বিএনপি পন্থিরা যেমনটা ভাবেন, সেটি সঠিক?

০১
আওয়ামী লীগ গত তিন বছরে দেশের ভয়াবহ দুরবস্থা করছে, তাতে বিন্দু মাত্র সন্দেহ নাই। দ্রব্যমূল্যসহ জীবন-যাত্রার ব্যয়ভারের ভয়াবহ বৃদ্ধি, গ্যাস-বিদ্যুতের তীব্র সংকট, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অমানবিক অবনতি, শেয়ার বাজারে ধ্বস, সড়ক-নৌ যোগাযোগের বেহাল-দশা, মন্ত্রী-এমপিদের দুর্নীতি ইত্যাদি ছাড়াও ভারতের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থের ভয়াবহ রকমের জলাঞ্জলি এবং বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর কাছে দেশের গ্যাস ও কয়লা ক্ষেত্র-গুলোসহ ‘জাতীয় সম্পদ’ পিএসসি চুক্তির মাধ্যমে তুলে দেওয়ার মধ্যে দিয়ে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটকে তীব্রতর করে তুলেছে।

বাংলাদেশে, সরকারের হিসাব মতেই, ২০০৯-এর জানুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ, যা ২০১১ আগস্ট মাসে এসে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ২৯ শতাংশে। জানুয়ারি ২০০৯-এ খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং তা বেড়ে আগস্ট ২০১১-তে এসে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৭০ শতাংশে। ২০০৯-এর জানুয়ারিতে যখন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে, তখন মোটা চালের গড়-মূল্য ছিল কেজি-প্রতি ১৮ থেকে ১৯ টাকা। এখন সে মূল্য এসে দাঁড়িয়েছে ৩২ থেকে ৩৫ টাকা। ২০০৯-এ গড়ে চালের দাম ২০/২২ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৪৫/৫০ টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। ভোজ্য তেলের লিটার ৭০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ১২০ টাকা (০১)। উল্লেখিত বর্তমান সরকারের এই সকল ব্যর্থতা আদতে তার ব্যক্তিগত বা আওয়ামী লীগের দলিয় ব্যর্থতা শুধু নয়। এই ক্ষেত্রে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ উভয়ের অবস্থানের দিকেই একটু খেয়াল করা দরকার।

বর্তমান পুঁজিবাদী বিশ্বব্যাবস্থা এক ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে পরেছে। এবং এই সংকট একই সাথে রাজনৈতিকও। মধ্যপ্রাচ্যে বর্তমান রাজনৈতিক সংকট বা পরির্বতনের পেছনে অর্থনৈতিক কারণগুলো যেমন গুরুত্বপূর্ণ, আবার এই অর্থনৈতিক কারণেই ইরাক-আফগান যুদ্ধ। ল্যাটিন আমেরিকা ও আফ্রিকাতে এইরকম যুদ্ধ অনেক আগেই শুরু হয়েছিল এবং সেখানে অনেক দেশ এই যুদ্ধে পরাজিত হয়েছে, আর কিউবা, ভেনিজুয়েলা, বলিভিয়ার মত কেউ কেউ বিজয়ীও হয়েছে, এবং সে বিজয় ধরে রাখার জন্য তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। বর্তমানে খোদ আমেরিকাতেই ‘ওয়ার স্ট্রিট দখলে’র মত তীব্র পুঁজিবাদ বিরোধী আন্দোলন চলেছে।

০২
বাংলাদেশে জনগণের বর্তমান এই দুর্দশার পেছনে যারা খালি আওয়ামী লীগের হাত অথবা দায় খুঁজে বেড়ান তাদের জ্ঞাতার্থে উল্লেখ করছি, দলবাজির থেকে দৃষ্টিটাকে দূরদৃষ্টিতে পর্যবসিত করতে চেষ্টা করুন। এটি আওয়ামী লীগের ব্যক্তিগত বা দলিয় সমস্যা নয়। এটি হল আন্তর্জাতিক পুঁজিবাদের নয়া উদারনীতি ‘নিউ-লিবারেল অর্থনীতি’র মহাত্ব। এর মূল কথা হচ্ছে, রাষ্ট্রের আর কোনও সিদ্ধান্ত থাকবে না। রাষ্ট্রের কাজ হচ্ছে পুঁজির পাহারা দেয়া এবং পুঁজির অবাধ বিস্তার ঘটানো। পুঁজি-বাজারের হাতে গোটা সমাজকে শপে দেয়া আর বাজারকে পাহারা দেয়া। আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে ‘নিউ-লিবারেল আর্থিক ব্যবস্থা’ সারা পৃথিবীতেই ব্যাপকভাবে স্টাব্লিস্ট করা শুরু হয়।

বাংলাদেশে এরশাদের আমল থেকে বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফের মাধ্যমে এই অর্থনীতির যাত্রা শুরু এবং ’৯২ এ বিএনপির ক্ষমতা-কালীন সময়ে প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের হাত ধরে এটির বিকাশ হয়। আমাদের মনে হতে পারে সাইফুর রহমান সাহেব বেশ দক্ষতার সাথে এটিকে পরিচালনা করেছেন, আর আওয়ামী অর্থমন্ত্রীরা এই ক্ষেত্রে পুরোপুরি ব্যর্থ। ’৯৬ তে এবং বর্তমান অর্থনৈতিক দুরবস্থায় এটি প্রমাণিত। এখন যেহেতু সাইফুর রাহমান সাহেব নাই, এবং ৯/১১ পরর্বতি বিশ্ব ব্যবস্থায় রাজনীতি ও অর্থনীতির ক্ষেত্রে সকল গুরুতর নয়া প্রবণতা বিদ্যমান সেগুলোকে বিবেচনায় নিলে বিএনপি – যদি ক্ষমতায় আসে - সামনের র্টামে এই বিষয়গুলোতে কতটা ভালো করতে পারবে, সেটির বিবেচনা জরুরী। তবে শাসকশ্রেণীর দল হিসেবে বিএনপি ও আওয়ামীলীগের মাঝে তারা যতই নিজের ফারাক বা বিভেদ-বিভক্তি ঝগড়া মারামারি হৈচৈ করে প্রদর্শন করুক না কেন, অন্তর্গত ভাবে তাদের অবস্থান এক ও অভিন্ন।

০৩
তাদের অন্তর্গত এই এক ও অভিন্ন অবস্থান বুঝার জন্য বেশি উদাহরণের প্রয়োজন নাই। এই ক্ষেত্রে ’৯২ পরর্বতি সময় থেকে দেশের গ্যাসক্ষেত্রগুলো বিদেশী কোম্পানিগুলোকে ইজারা দেওয়ার ধারাবাহিক প্রক্রিয়াই উদাহরণ হিসেবে যথেষ্ট। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়েই এই প্রক্রিয়া নিষ্ঠার সাথে পালন করে আসছে বছরের পর বছর ধরে। ১৯৯৩ সালে, তৎকালীন বিএনপি সরকারের আমলে ১ম বিডিং রাউন্ডে ৬টি পিএসসির মাধ্যমে মোট ৮টি ব্লক বহুজাতিকের কাছে ইজারা দেয়া হয়। যথাক্রমে কেয়ার্ন এনার্জি ও হল্যান্ড সি সার্চের কাছে ব্লক ১৫ ও ১৬, অক্সিডেন্টালের কাছে ব্লক ১২, ১৩ ও ১৪, অকল্যান্ড-রেক্সউডের কাছে ব্লক ১৭ ও ১৮ এবং ইউনাইটেড মেরিডিয়ান কর্পোরেশনের কাছে ব্লক ২২। এরপর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১৯৯৭ সালে ২য় বিডিং রাউন্ডের মাধ্যমে চারটি পিএসসি চুক্তির মাধ্যমে মডেল পিএসসি ১৯৯৭ অনুসারে মোট ৪টি ব্লক বহুজাতিকের হাতে তুলে দেয়া হয়। যথাক্রমে শেল-কেয়ার্ন এর হাতে ব্লক ৫ ও ১০, টাল্লো ও শেভরন-টেক্সাকোর হাতে ব্লক ৯ ও ইউনিকলের হাতে ব্লক ৭। এর ধারাবাহিকতায় বিডিং রাউন্ড ২০১১ এবং মডেল পিএসসি ২০০৮ অনুসারে ১৬ জুন মার্কিন বহুজাতিক কনোকফিলিপসের হাতে সমুদ্রের ১০ ও ১১ নং গ্যাস ব্লক তুলে দেওয়া হল।

বর্তমানে জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা এই সকল বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে গ্যাস কিনতে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। আন্তর্জাতিক তেল-গ্যাস কোম্পানিগুলোর হাতে দেশের গ্যাস উৎপাদন অর্ধেকেরও বেশি হওয়ায় সব ধরনের কর ও মূসক বাদে ২০০৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা গেছে বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর পেটে। শুধু শেভরন, কেয়ার্ন ও তাল্লো উত্তোলন ব্যয় এবং তাদের লাভের অংশ বাবদ নিয়ে গেছে ১৪ হাজার ৯২২ কোটি টাকারও বেশি। পুঁজির অভাবের কথা বলে এসব বহুজাতিক কোম্পানিকে ডেকে আনা হলেও তাদের হাতে যত বেশি গ্যাস ক্ষেত্র যাচ্ছে, পাচার হয়ে যাচ্ছে তত বেশি পুঁজি। দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে যে দামে গ্যাস কেনা হয় (৭ টাকা, সম্প্রতি তা ২৫ টাকা হয়েছে), তার চেয়ে ৩০ গুণ বেশি দাম (গড়ে ৩ ডলার বা ২১০ টাকা) দিয়ে একই গ্যাস বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে কিনতে হচ্ছে পেট্রোবাংলাকে (০২)। এছাড়াও চারদলীয় জোটের সময় এই বহুজাতিকের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে তারা দিনাজপুরের ফুলবাড়ির জনগণকে গুলি করে হত্যা করতেও দ্বিধা করেনি। মহাজোট সরকার অধ্যাপক আনু মুহাম্মদকে দিবালোকে রাস্তায় রাষ্ট্রীয় বাহিনী পুলিশ দিয়ে নির্যাতন করেছে।

একই ভাবে মহাজোট রেন্টাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের নামে বিদ্যুৎ কিনতে হাজার হাজার কোটি টাকা প্রাইভেট কোম্পানিগুলোকে লাভ দিচ্ছে। অথচও দেশিয় বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোকে সচল ও এইগুলোর উন্নয়নে কোন পদক্ষেপ নাই। দেশীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্স বা পেট্রোবাংলার উন্নয়নেও এরা কেউই মনোযোগ দেয়নি। এবং দিবে বলেও মনে হয় না। কারণ একটাই, ‘নিউ-লিবারেল অর্থনীতি’ কবুল করে প্রাইভেটাইজেনের জন্য ছাড় না দিয়ে উপায় কই। সুতরাং জনগণের মুক্তি, আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির স্লোগান-ভাংচুর র্মাকা আদর্শ-মতাদর্শের খপ্পরের বাইরেই নিহিত।


নোট:
লেখাটি আমার একটি পোস্টে ব্লগার স্বপ্নরাজের মন্তব্যের উত্তরে লেখা। উত্তরটি দীর্ঘ হওয়াতে আলাদা পোস্ট আকারে দিলাম। ওনার মন্তব্যের সাথে আরো অনেকেই কন্ঠ মিলিয়েছিলেন। তাদের জন্যও এই লেখা থাকলো। ধন্যবাদ।


সূত্র:
০১. দেশে অশান্তি রেখে বিশ্বশান্তির মেডেল By আমীর খসরু; সাপ্তাহিক বুধবার; ২৯-০৯-২০১১।
০২. ১৬ হাজার কোটি টাকা পাচার! By আনিস রায়হান; তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমেটির ওয়েভসাইট।


সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:৩৬
৭টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সকলের দায়িত্ব।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৮



এগুলো আমার একান্ত মতামত। এই ব্লগ কাউকে ছোট করার জন্য লেখি নাই। শুধু আমার মনে জমে থাকা দুঃখ প্রকাশ করলাম। এতে আপনারা কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দায়ী না। এখনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেতনার সময় জামায়াত বদ্ধ ইসলামী আন্দোলন ফরজ নয়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৮



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×