ঘটনা গুলো এত দ্রুত ঘটে গেছে যে পরমুহূর্ত গুলো ঘোর লাগা অবস্থায় কেটে গেছে।বুঝে উঠতে পারিনি কি ঘটে যাচ্ছে !
শৈলপ্রপাত,বান্দরবান:
কাছ থেকে এমন সৌন্দর্য দেখে পুরোটা সময় ই ব্যস্ত ছিলাম ছবি তোলার কাজে।
যে ছবিটি দেখছেন তার আরো বামে দাঁড়িয়ে ছিলাম।ছবিটি তে উচ্চতা বোঝা যাচ্ছেনা,প্রতিটি ধাপ আরো নিচু।
বলাই বাহুল্য আমার পায়ের নীচে যে শ্যাওলার পুরু স্তর ছিল তা বোঝার ক্ষমতা শুধু আমার না,অনেকের ই হয়তো নেই।ছোট বেলায় কত আছাড় খেয়েছি,পিছলে পড়েছি,কখনো কি এমন হয়েছে যে দাড়িয়ে থেকেই পিছলে পড়ে যাচ্ছি?
দিব্বি তাকিয়ে আছি মামা-মামীর দিকে,তাদের অস্থিরতা দেখে তখনো বুঝিনি আমি পড়ে যাচ্ছি।বেশিদূর পড়তে হতনা,এক ধাপ নিচে পড়লেই আমার মাথার অংশ বিশেষ খুজে পাওয়া যেতনা।
মামী আমার হাত ধরার পর ই বুঝতে পারলাম কি হচ্ছে।
আমি যদি তাঁর জায়গায় থাকতাম,আমার বুঝতে ও সময় লাগত যে ওকে বাঁচাতে হাত ধরতে হবে।এরকম রিফ্লেক্স খুব কম মানুষের ই থাকে।
বেচেঁ গিয়েছি?
না,এখনো বাঁচিনি!
ব্যালেন্স রাখতে না পেরে পড়ে গিয়েছিলাম,কিন্তু শ্যাওলা এত ই পিচ্ছিল যে,জিন্স আর টি শার্ট ও শ্যাওলার হাত থেকে আমাকে রেহাই দিতে পারেনি।পড়েই যাচ্ছিলাম,আমার সাথে মামীও।পরে এগিয়ে এলেন মামা।দুজন টেনে ধরে উঠালেন আমাকে।
তখনও বুঝে উঠতে পারিনি কি হতে পারত।
ফেরার পথে দেখি ৪ জন ছেলে বসে ছিল ছবিতে দেখানো প্রথম ধাপ টির ওপরেই।তাহলে কি আমি কেড়ে নিতে পারতাম আরো ৪ জনের জীবন??
আল্লাহ'র অশেষ মেহেরবাণী।
প্রায় সময় ই নাড়া দেয় আমাকে মুহুর্ত গুলো।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





