পাকিস্তানপন্থীরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। সেই হত্যার প্রতিশোধ নিতে এবং স্বাধীনতাবিরোধীদের হাত থেকে দেশরক্ষায় এগিয়ে এলেন মুক্তিযোদ্ধা ও শীর্ষ পর্যায়ের সেনা কর্মকর্তা বঙ্গবন্ধুপ্রেমী খালেদ মোশাররফ, হায়দার, জামিল প্রমুখরা। অথচ কর্ণেল তাহেরদের ছড়িয়ে দেয়া গুজবের কারণে এই দেশপ্রেমিকরা ভারতীয় দালাল হিসেবে পরিচিত হলেন। বিপ্লবের নামে হত্যা করা হলো মুক্তিযোদ্ধা-বঙ্গবন্ধুপ্রেমী অসংখ্য সেনা কর্মকর্তাকে।
তবে জিয়ার বিশ্বাসঘাতকতায় কর্ণেল তাহেরদের উদ্দেশ্যও ব্যর্থ হয়েছে। বাংলার চে' তাহেরকে দিতে হয় চরম মূল্য। চে' বলা মানে তাহেরের প্রতি পক্ষপাত নয়, প্রেমও নয়; চে আর তাহেরের পথ ছিলো একই, ফাঁসির মঞ্চেও যিনি মাথা নত করেননি, তাকে চে' ছাড়া আর কার সাথে তুলনা করা যায়? কিন্তু বঙ্গবন্ধুর পথ ছিলো ভিন্ন, দেশের কল্যাণে যখন যে পথে হাঁটা দরকার, সে পথেই হেঁটেছেন তিনি, তা জানা যায় ২৬ মার্চ, ১৯৭৫ বঙ্গবন্ধুর জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণ থেকে, বঙ্গবন্ধুর অকপট এ ভাষণ শুনলে, মুজিববাদী না হয়ে পারা যায় না; এ সময়ের আওয়ামী লীগ অবশ্য বঙ্গবন্ধুর সেই পথে নেই। জাসদ-বিশ্বাসে জিয়ার ঘাতকতা প্রকাশের পর থেকেই তাহেরপন্থীদের একটা অংশ আওয়ামী লীগের ছাতায় এসে প্রগতিশীলতার ঝাণ্ডা তুলে ধরার চেষ্টা করছেন।
মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা রণাঙ্গনের (সেক্টর ২) নেতা ও বঙ্গবন্ধুপ্রেমী খালেদ মোশাররফ, হায়দার হত্যার রক্তের দাগ যাদের হাতে, সেই কর্ণেল তাহেরপ্রেমীরা কী আওয়ামী লীগার হতে পারেন? সাত নভেম্বর, ১৯৭৫ এর শহীদদের আত্মা কী এতে স্বস্তি ও শান্তিতে ঘুমাতে পারেন?
রাষ্ট্রচালনায় বঙ্গবন্ধুকে যারা স্বস্তিতে থাকতে দেননি, তারা আজ বড়ো আওয়ামী লীগার। এদেশে তেল আর জলও মিশে যায়। বিচিত্র এই দেশ! তবু জাতির বিবেক কিছু বলবে না?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


