হুজুগের আড়ালে জাতীয় পর্যায়ে গণমাধ্যমে গুরুত্ব পাচ্ছে না আমাদের একমাত্র 'জাতীয় শহীদ বুদ্ধিজীবি স্মৃতিসৌধ। গতকাল ও আজকের প্রথম আলো থেকে বাংলাদেশ প্রতিদিন; সব ধরনের দৈনিক পত্রিকার প্রতিবেদন ও ছবি দেখলে মনে হয়, আমাদের জাতীয় পর্যায়ের শহীদ বুদ্ধিজীবিদের স্মরণে রায়েরবাজারের স্মৃতিসৌধটিই প্রধান স্মৃতিসৌধ। আসলে তা নয়। বঙ্গবন্ধুর সময়েই মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবি স্মৃ
অথচ এ দুই দিনের দৈনিক পত্রিকারগুলোর ছবি পরিচিতি ও শিরোনাম বলছে, রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবি স্মৃতিসৌধ। এর প্রকৃত নাম পাওয়া যাবে ভিত্তি ও উদ্বোধীন ফলকে। যাতে স্পষ্ট করেই নাম লেখা, 'রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে শহীদ বুদ্ধিজীবিদের স্মৃতিসৌধ'।
আমাদের সাংবাদিক ও আলোকচিত্র সাংবাদিকরা হয়তো অজ্ঞতাহেতু ১৪ ডিসেম্বর কেন্দ্রিক কার্যক্রমে 'রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে শহীদ বুদ্ধিজীবিদের স্মৃতিসৌধ' বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। কিন্তু রাষ্ট্রীয় আচারে প্রকৃতই জাতীয় সম্মানই পাচ্ছে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবি স্মৃতিসৌধ। তাই রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতাসহ রাষ্ট্রের অন্যান্য পদাধিকারি ও রাজনৈতিক দলগুলো আগে মিরপুরে যান শহীদ বুদ্ধিজীবিদের শ্রদ্ধা জানাতে।
শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনে সুবিধামতো যেকোনো স্মৃতিসৌধে যাওয়া যায়। কিন্তু জাতীয় দৈনিকের কাজে জাতীয় পর্যায়ের শহীদ বুদ্ধিজীবি স্মৃতিসৌধটি প্রাধান্য পাওয়া উচিত। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে নির্মিত ভাস্কর্যের কোনটার নাম কী, তা ভালো করে জেনে নিতে হবে। সেগুলোর আক্ষরিক নাম ব্যবহার করা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি সম্মান জানানোর বড় একটা পথ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


