somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হুমায়ূন আহমেদের লাশ পরিবহন খরচের ১৪ লাখ টাকা আজও পরিশোধ হয়নি

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মৃত্যুর পর আজ হুমায়ূন স্যারকে ঋণগ্রহিতা হয়ে থাকতে হচ্ছে। অথচ মৃত্যুর বছর খানেক আগে উচ্চশিক্ষার জন্য একজন অসহায় ছেলে স্যারের কাছে দখিন হাওয়া তে গিয়ে কমপক্ষে ৩ লাখ টাকা অনুদান পায়। যিনি এভাবে অন্যের বিপদে বার বার এগিয়ে এসেছেন আর গোপনে মুক্তহস্তে বিলিয়ে দিয়েছেন তাঁর লাশ পরিবহন খরচের ১৪ লাখ টাকা ২য় স্ত্রী শাওন কেন পরিশোধ না করে নুহাশ পল্লী নাটক করলেন আজও অজানা রয়ে গেল সেটা। মৃত্যুর ২ মাস পর স্যার ঋণের দায় থেকে মুক্তি পেলেন না! এটাই শাওনিও ভালবাসা,সবই লোক দেখানো; মানবিকতা বর্জিত।


দু’মাস পেরিয়ে গেলও জননন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের মরদেহ বাংলাদেশে আনার খরচ পরিশোধ করা হয়নি। যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ টাকা। এ ব্যাপারে বিমানের টিকিটসহ মরদেহ আনার ব্যবস্থাপনার অর্থ পরিশোধের জন্য ২৬ আগস্ট নিউইয়র্ক থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে একটি ফ্যাক্স পাঠানো হয়। একই সঙ্গে একটি ই-মেইলও পাঠানো হয়। যেখানে বলা হয়েছে, হুমায়ূন আহমেদের মরদেহ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেয়ার জন্য দুটি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। আর সে যোগাযোগ অনুযায়ী তারা সবকিছুর ব্যবস্থা করে। এর পাশাপাশি দেশে আনার জন্য টিকিটেরও ব্যবস্থা করে দেয় তারা। বাংলাদেশের খ্যাতনামা কথাসাহিত্যিকের জন্য তারা সে সময় বাকিতে তাদের কাজ সম্পন্ন করে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তারা তাদের ব্যয়ভার পরিশোধ করার জন্য অনুরোধ জানায়।
জানা গেছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিউইয়র্কের কনস্যুলার জেনারেলের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সবকিছু সম্পন্ন করে। পরে তারা অব্যাহতভাবে ব্যয়ভার পরিশোধ করার জন্য তাগিদ দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মিশনের বাজেট থেকে খরচের অর্থ বরাদ্দ করার কথা বললেও এখন পর্যন্ত তা বরাদ্দ করা হয়নি। ফলে ১৯ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অর্থ বিভাগের কাছে বিমানের টিকিটসহ মরদেহ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ টাকা মঞ্জুরি চেয়ে চিঠি লিখেছে। চিঠিতে তারা হুমায়ূন আহমেদ, তার স্ত্রী, দুই সন্তান ও পরিবারের বন্ধু মাজহারুল ইসলামের বিমানের টিকিটও পরিশোধের কথা উল্লেখ করেছেন। ১৯ জুলাই নন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:১৯
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

সম্পর্ক

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২


আমারা সম্পর্কে বাঁচি সম্পর্কে জড়িয়ে জীবন কে সুখ বা দুঃখে বিলীন করি । সম্পর্ক আছে বলে জীবনে এত গল্প সৃষ্টি হয় । কিন্তু
কিছু সম্পর্কে আপনি থাকতে চাইলেও থাকতে পারবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×