somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমরা চার গোয়েন্দা স্বপ্ন , রাকেশ, সৌরভ, জুদান

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

৪০৭০ সাল।আজ শুক্রবার।ভোলা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র।আমরা ছিলাম ৪ জন।আমি , রাকেশ , সৌরভ ও জুদান।মাসটা ছিল মার্চ।আমরা ছিলাম গোয়েন্দা। ও আমি তো আমার পরিচয় দিতে ভুলে গেসি।আমি হলাম তাহমিদ আফসার স্বপ্ন।আমারা ৪ জনই ক্লাস ৭ এ পড়ি।সবার পুর নামটা বলে দিচ্ছি। রাকেশ দে, সাজেদুল ইসলাম সৌরভ, শাহারিয়ার রহমান জুদান।
 
১৯ তারিখ।আমাদের খুব বরিং লাগছে।হটাৎ আমাদের হেড মাস্টার স্যার আমাদের ৪ জন কে ডেকে পাঠালেন।আমরা গেলাম।স্যার কথহ্মন চুপ করে রইলেন।তারপর বললেন
স্বপ্ন শোন।আমাদের স্কুলের প্রশ্ন চুরি হেয়ে গেসে আমার কম্পিউটার থেকে।আমি বুঝেছি যে ভাবে সেটা হল আমি একটা সফটওয়্যার দিয়ে রেখে ছিলাম।কেউ এটা খুললে আমি বুজতে পারব।আর আমার কম্পিউটার কারো ধরা নিষেধ।এখন কী করব।
আমি বললাম স্যার নতুন প্রশ্ন করেন।
স্যার বলল তোমরা তো গোয়েন্দা।
আমার অবাক হয়ে স্যারের দিকে তাকিয়ে রইলাম।কারন আমরা ৪ জন ছাড়া কেউ জানেনা যে আমারা গোয়েন্দা ।
রাকেশ বলল স্যার আপনি কী করে জানলেন।
স্যার একটু হেসে বললেন আমি কিছুদিন আগে জুদান কে বলতে শুনেছি ও নাকি গোয়েন্দা।
আমরা সবাই ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম।স্যার বলল রাগ হয়ো না।
ও তো তোমাদের কেই বলছিল।আমাদের সবার রাগ কমে গেল
।আমি বললাম আপনি কই ছিলান স্যার।স্যার বলল,আমি ছিলাম ঠিক তোমাদের পাশে স্টার সিনেপ্লেক্সে।
সৌরভ বলল স্যার আপনি ঢাকা গিয়ে ছিলান।
স্যার বলল হ্যা।ছবি দেখতে গিয়ে ছিলাম।
সৌরভ বলল স্যার আপনি কিন্তু কাউ কে বলবেন না আমরা গোয়েন্দা।
স্যার বলল আচ্ছা।
আমি বললাম স্যার আমারা তাহলে চোর খুজে বের করি।স্যার কাল আমরা আমাদের জিনিস পত্র নিয়ে চলে আসব।
 
সকাল হল , আমারা সবাই গেলাম হেড স্যারের রুমে।
স্যার বলল এই যে কম্পিউটার।
রাকেশ তার পকেট থেকে একটা প্লাস্টিকের কাগজ বের করল।কাগজটা আমাকে দিল।আমি কীবোর্ড এর উপর কাগজ টা রাখলাম।সব ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে নিলাম।
স্যার বলল আনেকেই তো কম্পিউটার ধরসে।
আমি বললাম প্রিন্টার কী কেউ ধরসে আজ
স্যার বলল না।
আমি বললাম স্যার আপনার কম্পিউটার কী অন করতে পারি।স্যার ঐ প্রশ্ন কী কেউ প্রিন্ট করসে।
স্যার বলল হ্যা।
আমি বললাম কে স্যার
।স্যার বলল চোরটা।
আমি বললাম স্যার এটা কী নতুন।
স্যার বলল হ্যা।
কবে কিনেছেন।
যে দিন প্রশ্ন চুরি হইসে।
তাহলে তো স্যার আপনি এখনও কোন প্রিন্ট বের করেন নি।স্যার বলল না।
শুধু চোরটা.........                
 
                                    আমি সফটওয়্যার অন করে দেখলাম একটা কপি প্রিন্ট করা হয়েছে।আমি সাথে সাথে প্রিন্টার থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে নিলাম।প্রিন্ট গুলা ছিল অনেক মোটা মোটা ।আমার হেড স্যার কে সন্দেহ হল।আমি বললাম স্যার পানি খান।স্যার গ্লাস হাতে নিল।পানি খেয়ে গ্লাসটা টেবিলে রেখে দিলেন।আমি একফাকে গ্লাস থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে নিলাম।তখন কিছু বললাম না।আমি বললাম স্যার আজ তো কিছু হল না।আমি কাল আসব এবং বের করব কে এটা।কারণ আমি জেনে গেছি কার কাজ এটা।আজ বলব না।সিউর হয়ে বলব।স্যার বলল আচ্ছা।আমরা সবাই চলে আসলাম
রাত ১২টা বাজে।বাবা-মা ঘুমিয়ে পরেছে।আমি স্যারের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও প্রিন্টারে লেগে থাকা ফিঙ্গারপ্রিন্ট এক সাথে মিলিয়ে যখন দেখলাম তখন আমি অবাক।ফিঙ্গারপ্রিন্ট মিলে গেসে।আমার মেজাজ পুরা খারাপ।
 
সকাল ১০টা বাজে আমি তখন স্কুলে গেলাম।হেড স্যারের রুমে গিয়ে বললাম স্যার আমাদের কষ্ট দেওয়ার মানে কী।স্যার বলল কেন কি হয়েছে।আমি বললাম স্যার চোরটা তো আপ্নি।স্যার হো হো হো হো করে হেসে দিলেন আর বললেন সাবাস।তোমাদের আমি টেষ্ট করছিলাম।তোমাদের আমার কাজে লাগবে।
 
 
এখন আমাদের বয়স ২২ বছর । আমরা এখন বাংলাদেশ গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান পোষ্টে আছি । আমরা ৪ জন একই পোষ্টে আছি কারন আমরা ৪ জন কেউই কারো থেকে কম নই । আমরা হলাম বাংলাদেশ সিকের্ট গোয়েন্দা বিভাগের হেড । এটি গঠিত হয়েছে আমাদের ৪ জনকে নিয়ে । সিস্টেম কম্পিউটার ছাড়া আর কেউই জানেনা আমরা গোয়েন্দা । আমাদের বাবা-মা ও না ।
আমাদের দেশের প্রধান মন্ত্রিকে খুন করা হয়েছে । আমাদের কাজ হলো খুনি কে খুজে বের করা । আমি আগে আমাদের অস্ত্র সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া টা প্রয়োজন । আমাদের প্রধান অস্ত্র যেটা সেটা হলো লেজার কীপেড কম্পিউটিং পিস্তল । এই পিস্তলটির প্রধান বৈশিষ্ট্য হল খালি এক বার লহ্মের দিকে তাক করলে সে আর লরতে পারেনা । আমরা বের হলাম। আমি বললাম রাকেশ কী দিয়ে শুরু করতে পারি বল তো। রাকেশ বলল শোন আমি তোকে কী বলছি। প্রথম। যেখানে খুন হইসে সেখানে চল। আমি আর রাকেশ গেলাম যেখানে খুন হইসে সেখানে। সৌরভ আর জুদান কে পাঠালাম প্রধান মন্ত্রির সম্পর্কে তথ্য আনতে। এখন বাজে ১২টা দুপুর ১২টা। জুদান আর সৌরভ এখনো আসে নাই।আমরা অনেক চিন্তায় আছি।কিছুহ্মন পর একটা মেসেজ আসল আমার মোবাইলে।আমি মেসেজ টা পরলাম আর রাকেশ কে বললাম সর্বনাশ হয়ে গেসে।রাকেশ বলল কী হইসে।আমি বললাম মেসেজটা পরে শুনাছি শুনলেই বুঝবি।
Hey my Dear detective’s. How are you? I have a Bad News to share with you and Rakesh. The think is I have killed Judan. But Sourov is alive. Don’t try to tress this mobile cause after I send you this message I destroy the sim and mobile.
I think u know its Judan’s Mobile. I also like to share I killed prime minister.
রাকেশ এবার কী করবি।
জানি না রে। কাদতে ইচ্ছা করতে সে।
আমার ও কিন্তু কেদে কিছু হবে না।সেটা তোর বোঝা উচি’
এখন চল কাজে লেগে পরি।বুঝছো।
হ্যা।
আমরা গেলাম মন্ত্রির বাসায়(প্রধান মন্ত্রি)।এজোব কারবার সব গুছানো।কোন ক্লু নাই।
রাকেশ চল ফোন ট্রেস করি।
আমরা ফোন ট্রেস করলাম । দেকলাম ফোন অন করা।ওটার পিছু করলাম।চলে গেলাম ঢাকা গুলসানে।ওখানে দেকলাম সৌরভ কে বেধে রেখেছে।আমরা ছুটাতে গেলাম।আরই আগুন ধরে গেলো পুরো বিল্ডং – এ। এখন আমি বললাম রাকেশ আমাদের বাচালাগবো না সৌরভরে বাঁচা। কারন সৌরভই জানে লোকটা কে।আমরা অনেক কষ্টে বেঁচে গেলাম সৌরভ ও বেচে গেছে।কিন্তু জ্ঞান হীন। ১ সপ্তাহ পর ওর জ্ঞান ফিরলো। ও বলল লোকটি হলো জুদান। আমরা সব হতোভাগ হয়ে তাকিয়ে রইলাম।
 
পরে আমরা খোজ পেলাম জুদান এখন লন্ডন এ আছে। ওকে আমরা ধরে আনলাম এবং জিজ্ঞেস করলাম তুই কেনো এ কাজ করেছিস। জুদান বলল টাকার জন্য । আমি বললাম সৌরভ কে মারলি কেনো । যাতে তোরা বিশ্বাস করস যে জুদান সত্যি মারা গেসে।আমি তো মনে করছিলাম তোরা আগুনে পুরে মরবি।কিন্তু আমার বেডলাক আমার পিছু ছারলো না।
কত টাকা পেয়ে ছিস।
২ কোটি টাকা ।
কে দিলো
পাকিস্তান সরকার।
আমি তো এখন তোকে মেরে ফেলবো
তার পর পকেট থেকে পিস্তল বের করে গুলি করলাম জুদান কে।তাও একটা না ৬টা।
তার পর অনেক কাদলাম।
হটাৎ একদিন………………………………………
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৫৭
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×