৪০৭০ সাল।আজ শুক্রবার।ভোলা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র।আমরা ছিলাম ৪ জন।আমি , রাকেশ , সৌরভ ও জুদান।মাসটা ছিল মার্চ।আমরা ছিলাম গোয়েন্দা। ও আমি তো আমার পরিচয় দিতে ভুলে গেসি।আমি হলাম তাহমিদ আফসার স্বপ্ন।আমারা ৪ জনই ক্লাস ৭ এ পড়ি।সবার পুর নামটা বলে দিচ্ছি। রাকেশ দে, সাজেদুল ইসলাম সৌরভ, শাহারিয়ার রহমান জুদান।
১৯ তারিখ।আমাদের খুব বরিং লাগছে।হটাৎ আমাদের হেড মাস্টার স্যার আমাদের ৪ জন কে ডেকে পাঠালেন।আমরা গেলাম।স্যার কথহ্মন চুপ করে রইলেন।তারপর বললেন
স্বপ্ন শোন।আমাদের স্কুলের প্রশ্ন চুরি হেয়ে গেসে আমার কম্পিউটার থেকে।আমি বুঝেছি যে ভাবে সেটা হল আমি একটা সফটওয়্যার দিয়ে রেখে ছিলাম।কেউ এটা খুললে আমি বুজতে পারব।আর আমার কম্পিউটার কারো ধরা নিষেধ।এখন কী করব।
আমি বললাম স্যার নতুন প্রশ্ন করেন।
স্যার বলল তোমরা তো গোয়েন্দা।
আমার অবাক হয়ে স্যারের দিকে তাকিয়ে রইলাম।কারন আমরা ৪ জন ছাড়া কেউ জানেনা যে আমারা গোয়েন্দা ।
রাকেশ বলল স্যার আপনি কী করে জানলেন।
স্যার একটু হেসে বললেন আমি কিছুদিন আগে জুদান কে বলতে শুনেছি ও নাকি গোয়েন্দা।
আমরা সবাই ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম।স্যার বলল রাগ হয়ো না।
ও তো তোমাদের কেই বলছিল।আমাদের সবার রাগ কমে গেল
।আমি বললাম আপনি কই ছিলান স্যার।স্যার বলল,আমি ছিলাম ঠিক তোমাদের পাশে স্টার সিনেপ্লেক্সে।
সৌরভ বলল স্যার আপনি ঢাকা গিয়ে ছিলান।
স্যার বলল হ্যা।ছবি দেখতে গিয়ে ছিলাম।
সৌরভ বলল স্যার আপনি কিন্তু কাউ কে বলবেন না আমরা গোয়েন্দা।
স্যার বলল আচ্ছা।
আমি বললাম স্যার আমারা তাহলে চোর খুজে বের করি।স্যার কাল আমরা আমাদের জিনিস পত্র নিয়ে চলে আসব।
সকাল হল , আমারা সবাই গেলাম হেড স্যারের রুমে।
স্যার বলল এই যে কম্পিউটার।
রাকেশ তার পকেট থেকে একটা প্লাস্টিকের কাগজ বের করল।কাগজটা আমাকে দিল।আমি কীবোর্ড এর উপর কাগজ টা রাখলাম।সব ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে নিলাম।
স্যার বলল আনেকেই তো কম্পিউটার ধরসে।
আমি বললাম প্রিন্টার কী কেউ ধরসে আজ
স্যার বলল না।
আমি বললাম স্যার আপনার কম্পিউটার কী অন করতে পারি।স্যার ঐ প্রশ্ন কী কেউ প্রিন্ট করসে।
স্যার বলল হ্যা।
আমি বললাম কে স্যার
।স্যার বলল চোরটা।
আমি বললাম স্যার এটা কী নতুন।
স্যার বলল হ্যা।
কবে কিনেছেন।
যে দিন প্রশ্ন চুরি হইসে।
তাহলে তো স্যার আপনি এখনও কোন প্রিন্ট বের করেন নি।স্যার বলল না।
শুধু চোরটা.........
আমি সফটওয়্যার অন করে দেখলাম একটা কপি প্রিন্ট করা হয়েছে।আমি সাথে সাথে প্রিন্টার থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে নিলাম।প্রিন্ট গুলা ছিল অনেক মোটা মোটা ।আমার হেড স্যার কে সন্দেহ হল।আমি বললাম স্যার পানি খান।স্যার গ্লাস হাতে নিল।পানি খেয়ে গ্লাসটা টেবিলে রেখে দিলেন।আমি একফাকে গ্লাস থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে নিলাম।তখন কিছু বললাম না।আমি বললাম স্যার আজ তো কিছু হল না।আমি কাল আসব এবং বের করব কে এটা।কারণ আমি জেনে গেছি কার কাজ এটা।আজ বলব না।সিউর হয়ে বলব।স্যার বলল আচ্ছা।আমরা সবাই চলে আসলাম
রাত ১২টা বাজে।বাবা-মা ঘুমিয়ে পরেছে।আমি স্যারের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও প্রিন্টারে লেগে থাকা ফিঙ্গারপ্রিন্ট এক সাথে মিলিয়ে যখন দেখলাম তখন আমি অবাক।ফিঙ্গারপ্রিন্ট মিলে গেসে।আমার মেজাজ পুরা খারাপ।
সকাল ১০টা বাজে আমি তখন স্কুলে গেলাম।হেড স্যারের রুমে গিয়ে বললাম স্যার আমাদের কষ্ট দেওয়ার মানে কী।স্যার বলল কেন কি হয়েছে।আমি বললাম স্যার চোরটা তো আপ্নি।স্যার হো হো হো হো করে হেসে দিলেন আর বললেন সাবাস।তোমাদের আমি টেষ্ট করছিলাম।তোমাদের আমার কাজে লাগবে।
এখন আমাদের বয়স ২২ বছর । আমরা এখন বাংলাদেশ গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান পোষ্টে আছি । আমরা ৪ জন একই পোষ্টে আছি কারন আমরা ৪ জন কেউই কারো থেকে কম নই । আমরা হলাম বাংলাদেশ সিকের্ট গোয়েন্দা বিভাগের হেড । এটি গঠিত হয়েছে আমাদের ৪ জনকে নিয়ে । সিস্টেম কম্পিউটার ছাড়া আর কেউই জানেনা আমরা গোয়েন্দা । আমাদের বাবা-মা ও না ।
আমাদের দেশের প্রধান মন্ত্রিকে খুন করা হয়েছে । আমাদের কাজ হলো খুনি কে খুজে বের করা । আমি আগে আমাদের অস্ত্র সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া টা প্রয়োজন । আমাদের প্রধান অস্ত্র যেটা সেটা হলো লেজার কীপেড কম্পিউটিং পিস্তল । এই পিস্তলটির প্রধান বৈশিষ্ট্য হল খালি এক বার লহ্মের দিকে তাক করলে সে আর লরতে পারেনা । আমরা বের হলাম। আমি বললাম রাকেশ কী দিয়ে শুরু করতে পারি বল তো। রাকেশ বলল শোন আমি তোকে কী বলছি। প্রথম। যেখানে খুন হইসে সেখানে চল। আমি আর রাকেশ গেলাম যেখানে খুন হইসে সেখানে। সৌরভ আর জুদান কে পাঠালাম প্রধান মন্ত্রির সম্পর্কে তথ্য আনতে। এখন বাজে ১২টা দুপুর ১২টা। জুদান আর সৌরভ এখনো আসে নাই।আমরা অনেক চিন্তায় আছি।কিছুহ্মন পর একটা মেসেজ আসল আমার মোবাইলে।আমি মেসেজ টা পরলাম আর রাকেশ কে বললাম সর্বনাশ হয়ে গেসে।রাকেশ বলল কী হইসে।আমি বললাম মেসেজটা পরে শুনাছি শুনলেই বুঝবি।
Hey my Dear detective’s. How are you? I have a Bad News to share with you and Rakesh. The think is I have killed Judan. But Sourov is alive. Don’t try to tress this mobile cause after I send you this message I destroy the sim and mobile.
I think u know its Judan’s Mobile. I also like to share I killed prime minister.
রাকেশ এবার কী করবি।
জানি না রে। কাদতে ইচ্ছা করতে সে।
আমার ও কিন্তু কেদে কিছু হবে না।সেটা তোর বোঝা উচি’
এখন চল কাজে লেগে পরি।বুঝছো।
হ্যা।
আমরা গেলাম মন্ত্রির বাসায়(প্রধান মন্ত্রি)।এজোব কারবার সব গুছানো।কোন ক্লু নাই।
রাকেশ চল ফোন ট্রেস করি।
আমরা ফোন ট্রেস করলাম । দেকলাম ফোন অন করা।ওটার পিছু করলাম।চলে গেলাম ঢাকা গুলসানে।ওখানে দেকলাম সৌরভ কে বেধে রেখেছে।আমরা ছুটাতে গেলাম।আরই আগুন ধরে গেলো পুরো বিল্ডং – এ। এখন আমি বললাম রাকেশ আমাদের বাচালাগবো না সৌরভরে বাঁচা। কারন সৌরভই জানে লোকটা কে।আমরা অনেক কষ্টে বেঁচে গেলাম সৌরভ ও বেচে গেছে।কিন্তু জ্ঞান হীন। ১ সপ্তাহ পর ওর জ্ঞান ফিরলো। ও বলল লোকটি হলো জুদান। আমরা সব হতোভাগ হয়ে তাকিয়ে রইলাম।
পরে আমরা খোজ পেলাম জুদান এখন লন্ডন এ আছে। ওকে আমরা ধরে আনলাম এবং জিজ্ঞেস করলাম তুই কেনো এ কাজ করেছিস। জুদান বলল টাকার জন্য । আমি বললাম সৌরভ কে মারলি কেনো । যাতে তোরা বিশ্বাস করস যে জুদান সত্যি মারা গেসে।আমি তো মনে করছিলাম তোরা আগুনে পুরে মরবি।কিন্তু আমার বেডলাক আমার পিছু ছারলো না।
কত টাকা পেয়ে ছিস।
২ কোটি টাকা ।
কে দিলো
পাকিস্তান সরকার।
আমি তো এখন তোকে মেরে ফেলবো
তার পর পকেট থেকে পিস্তল বের করে গুলি করলাম জুদান কে।তাও একটা না ৬টা।
তার পর অনেক কাদলাম।
হটাৎ একদিন………………………………………
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৫৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




