একটা ছেলে। নাম তার স্বপ্ন। সে ছিল খুব অদ্ভুত। নিজের ভুবনে হারিয়ে থাকত। তার মত চিন্তাভাবনার ছেলে সে খুজে বেড়াত। তার যত বন্ধু-বান্ধব ছিল তারা সবাই ছিল পুরান চিন্তাধারার। তারা সবসময় উলটা-পালটা চিন্তা নিয়ে ঘুরে বেড়াত। সে কম্পিউটার নিয়া থাকতে পছন্দ করত। আর সে ছিল সাবার সাথে ফ্রী মাইন্ডের।
সে হটাৎ একদিন গল্প লিখতে বসল। সে বসা মাত্র তার একটা ফোন এল। সে ফোনে কথা বলায় মগ্ন হয়ে পড়ল। প্রায় ১ ঘন্টার মত কথা বলল। যার ফলে তার গল্প লেখার কথা মনে থাকল না। তখন ১০টা বাজে। তার আম্মু তাকে ডাকল ভাত খেতে। সে গেলো ভাত খেতে। তারপর সে টিভি দেখতে বসল। প্রায় ১২টা পর্যন্ত টিভি দেখলো। তারপর তার মনে পড়ল গল্পটির কথা। কিন্তু তখন সে লিখতে পারবে না । কেননা তার সকালে উঠতে হবে।
পরেরে দিন সকাল ৯টায় সে আবার বসল গল্পটি লিখতে। সে বসতে না বসতেই তার বাবা তাকে ডাকল। ডেকে বলল ঔষুধ আনতে। সে গেলো ঔষুধ আনতে। পথে তার দেখা হল একটা ছেলের সাথে। ছেলেটি তার স্কুলেই পড়ত, কিন্তু তার সাথে স্বপ্নের অতভালো সম্পর্ক ছিলনা। কিন্তু আজ তার সাথে স্বপ্নের অনেক কথা হল। আসতে আসতে সে স্বপ্নের একজন প্রিয় বন্ধু হিসেবে গড়ে উঠল। স্বপ্নের মেন্টালিটি স্বপ্নের সেই বন্ধুটি বুঝে ফেলে। এবং অনেকটা তার মত হল। স্বপ্নেও তার সাথে সবকিছু শেয়ার করতে লাগল। সেই ছেলেটি স্বপ্নের সবকিছু জানল। এবং স্বপ্নকে মানিয়ে নিল। সেই ছেলেটির নাম ফাহিম।
অনেক দিন পর স্বপ্ন আবার গল্পটি লিখতে বসল। কিন্তু কেন যেন এবারও তার ডাক পড়ল। যার ফলে সে চিন্তা করল সে আর গল্পটি লিখবে না। তাই সে আর গল্পটি লিখতে বসল না। অন্য দিকে মন দিল সে। সে প্রথমে শুরু করল অনুষ্ঠান অরগানাইজেসন দিয়ে। যেটাতে সে সাফল্য পেল। তার পর সে চিন্তা করল তার অনুষ্ঠানে সে উপস্থাপনা করবে। সে সেটাতেও সাফল্য পেল। যার ফলে সে তার স্কুলে একটা পরিচিতি নাভ করল। তারপর সে বিতর্কের দিকে মননিবেশ করল। তারপর একটা সুযোগ এল তার এতদিনের পরিশ্রমের পরীক্ষা দেয়ার। কিন্তু তার বিপক্ষে পড়ল গার্লস স্কুলের একটা দল। তার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা ছিল মেয়েদের দেখলে সে লজ্জা পেত এবং কথা বলতে পাড়ত না। যার ফলে সে সেইদিন বিতর্কে হেরে যায়। তারপর সে চিন্তা করে যে তার দুর্বলতাটা দূর করতে হবে। তাই সে আসতে আসতে তার দুর্বলতাটা দূর করতে সার্থক হয়। সে তার দ্বিতীয় প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থানের অধিকারি হয়। তারপর তার অনলাইনে অনেক বন্ধু হয়। যার ফলে সে কোন বিপদে পড়লে তাদের থেকে সাহায্য পায়।
তারপর সে একদিন নাটক করে। সে এবং তার দল ১ম স্থানের অধীকারি হয়। সে চিন্তা করে তার এই গল্প লিখতে বসার কারনেই তার এই সাফল্য। সে এই কথা ফাহিমকে বলতে যায়। কিন্তু সেদিন ফাহিমকে সে পেলনা। সে যানতে পাড়ল ফাহিম ভোলার বাহিরে গিয়েছে। যার ফলে সে ফাহিমকে কথাটি বলতে পাড়ল না। ফাহিম ১ সপ্তাহ পর ভোলায় আসল। কিন্তু স্বপ্নের মনে রইল না কথাটি। সে ফাহিমের বাসায় গেল, তার খোজ-খবর নিল। প্রায় ১ঘন্টা তার বাসায় থাকার পর স্বপ্ন তার বাসায় চলে এলো। তার পরের দিন সে স্কুলে গেল এবং শুনল ফাহিম মোবাইল কিনেছে। তারপর স্বপ্ন ফাহিমের মোবাইল নাম্বার নিল।
স্বপ্ন বাসার সবকিছু বলত। যার ফলে সে তার বাসায় যেটা বলত তার প্রমান দিতে হত না। স্বপ্ন এ বিশ্বাস কখন ভাঙ্গবেনা এটা সে পন করল। কারন তার ধারণা ছিল একদিন না একদিন তার আব্বা আম্মা তো যানবেই তার গোপন কথা। তাই সে কোন কিছু লূকাত না। প্রায় ২ বছর কেটে যাওয়ার পর তার মনে পরল সেই গল্পটির কথা। সে সাথে সাথে ফাহিমকে ফোন দিল এবং ঘটনা বলল। ফাহিম তাকে বলল গল্পটা লিখতে। তার মনে একটা কথাই আসল আল্লাহ হয়তবা গল্পটা আমাকে লিখতে দেইনি এই কারনে। এখন সে গল্পটি তার অভিজ্ঞতা দিয়ে লিখবে । তাই সে নাম দিল তার গল্পের “একটা গল্প লিখতে গিয়ে”। সে গল্পটি লিখেছে কিনা যানি না। কবে লিখবে কেইবা যানে?
[কিছু সত্য ও কিছু বানোয়াট জিনিস নিয়ে আমার এই লেখাটি। জানিনা কারো ভালো লাগবে কিনা]

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




