অতনুর বাসায় গেলাম আমরা চারজন।
কাকীমা বড়ো বাটিতে করে চারটে দইবড়া রেখে গেলেন সামনে।
অতনুদের চারটে গাই আছে। এরমধ্যে দুটো আবার কিছুদিন আগে বাছুর দিয়েছে।
অতএব, দইবড়া নিশ্চিত ঘরে বানানো।
কল্লোল আর আমি ভাবছিলাম, ছোটো বাটি আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করবো নাকি টপাটপ মুখে পুরে দেবো।
সিদ্ধান্ত নিতে পারলামনা। চটজলদি সিদ্ধান্ত নেবার মত ধী আমাদের নেই।
মিথুন দা আমাদের গুরু, পুঁথিগত বিদ্যায় না হলেও বৈষয়িক বিদ্যায় ত বটেই।
তিনি কালবিলম্ব করলেন না। একসাথে দুটো দইবড়া মুখে পুরে দিলেন। আর চিবানোর ফাঁকে ফাঁকেই বললেন,
'বুঝলি ছোকরার দল, আমি সারাজীবনই মিনিমালিজমের চর্চা করে আসছি'
শিবলীটা ভীষণ লোভী। মৃদুস্বরে গাই গুই করে উঠলো, 'দাদা একাই দুটো সাবাড় করে দিলে....'
আমি থামিয়ে দিলাম।
গুরুর মুখে মুখে তর্ক করতে নেই।
তাছাড়া, মিনিমালিজম এর চর্চা করে এমন গুরু এই ভোগবাদী জগতে পাওয়া ভারী দুষ্কর, হু হু বাবা!