আশা - ১ পড়ুন
Click This Link
জামাই আলী সাহেব শাশুড়ীকে বুঝালো,দেখেন আপনাদের মেয়ে একা
এবং এখানে থাকলে তার লেখাপড়া তেমন ভালো হবেনা। আমাদের এলাকার স্কুলটায় পড়া লেখা ভাল হয়, আর এখানে তাকে শাসন করার মত কেউ নেয়। আকাশ তার বোনকে ভয় পায়। আমাদের ওখানে থাকলে আকাশের পড়া লেখা ভালো হবে। জামাইয়ের কথা শুনে আকাশের মা ভাবলো আমার যদিও একটু কষ্ট হবে, তবে ছেলে ওখানে থেকে যদি মানুষ হয়তো ভালো। জামাইকে বললো আকাশকে যদি আপনাদের বাড়িতে নিয়ে যান,ঐখানে যদি সে ভাল পড়া লেখা করে ভালো।কিন্তু আমি ভয় পাচ্ছি আপনার শশুর যদি আমার উপর রেগে যায়।আকাশের বাবা, বড় ভাই, দুলা ভাই, সবাই এক জায়গায় দুবাইতে থাকে।
আকাশের দুলা ভাই বললো,আপনি কোন চিন্তা করার দরকার নেই। আমি যাওয়ার পর ওনাকে সব বুঝিয়ে বলব। তার পর দিন আকাশের দুলা ভাই আকাশকে সাথে নিয়ে তার স্কুলে গেল।আকাশদের স্কুলের নাম দুধমুখা উচ্চ বিদ্যালয়। এই স্কুলটা ঔ থানার মধ্যে নাম করা স্কুল।আলী সাহেব আকাশকে নিয়ে সোজা প্রধান শিক্ষক এর রুমে গেলেন।সালাম দিয়ে প্রধান শিক্ষক কে পরিচয় দিলেন,আমি আকাশের ভগ্নিপতি।প্রধান শিক্ষক আকাশদের পরিবারের সবাইকে চিনে।তার বড় বোন ও এই স্কুলেই পড়েছে।
প্রধান শিক্ষক আকাশের দুলা ভাইকে উদ্দেশ্য করে বলে আপনি তাহলে তাসনিয়ার জামাই। তাসনিয়া ও আমাদের ছাত্রী ছিল। কৌশল বিনিময়ের পর প্রধান শিক্ষক জিজ্ঞেস করলো আপনার জন্য কি করতে পারি। আলী সাহেব বলে স্যার আমি আসলে আকাশকে আমাদের গ্রামে নিয়ে যাব এবং তাকে আমাদের ঐখানে স্কুলে ভতি করাবো। প্রধান শিক্ষক কথাটা শুনে মনে হ্য় একটু চিন্তিত! মুখটা ভারি করে কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর মুখ খুলল। বলল, তার বড় ভাই বোন সবাই এই স্কুলে পড়া লেখা করে বাহির হয়েছে এবং তার বাবা আমার বন্ধু মানুষ।
যাক, আপনি তাকে নিয়ে যাবেন ।কারন কি আমাদের এখানে তার কোন সমস্যা হচ্ছে নাকি? আলী সাহেব বলে না। আপনাদের এখানে কোন সমস্যা নয় ,আসলে সমস্যাটা হচ্ছে তার বোন একা আর আমি বিদেশের বাড়ীতে থাকি। আমি তার বোনের কাছে তাকে রেখে যেতে চাচ্ছি।
আপনি যখন নিয়েই যাবেন দেখি আকাশের কি মত।আকাশকে প্রধান শিক্ষক জিজ্ঞেস করলো,''আকাশ তুমি কি যেতে রাজি''?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




