somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এমন সন্তান যেনো আমি আপনি না হই।

১১ ই মে, ২০১৫ রাত ২:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ আন্তর্জাতিক মা দিবস । সকল মাকে জানাই সালাম।অনেক ব্লগার বন্ধুরাই লিখছেন মাকে নিয়ে। সব লেখার প্রতিপাদ্য বিষয় হোলো মাকে ভালবাসুন, কদর করুন। কে করবে? আমি আপনি আমরা যারা মায়ের সন্তান আছি তারা।
যারা নিচের খবরটি মিস করেছেন তাদের জন্য,তবে এমন সন্তান যেনো আমরা না হই। দাঁত থাকতে যেনো দাতের মর্ম বুঝি।
আজ যে আচরন বা ব্যবহার আপনি আপনার মা বা আমি আমার মায়ের সাথে করবো ঠিক তেমনটাই ফেরত পাবো আমার আপনার সন্তানের কাছ থেকে। দুই মিনিট সময় নিয়ে লেখাটা পড়ুন,তারপর মনকে জিজ্ঞেস করুন, দেখুন আপনার মন কি বলে।






নারায়ণগঞ্জে পেটের সন্তানরা যাকে বস্তায় ভরে রাস্তায় ফেলে গিয়েছিল, অবশেষে সেই বৃদ্ধ মা হাসিনা বেগম সন্তানদের মুখ না দেখেই মারা গেলেন। পাঁচ মাস আগে উদ্ধার হওয়া এই বৃদ্ধার সন্তান কিংবা পরিবারের কেউ খোঁজখবর না নিলেও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সাধারণ মানুষ তাঁর খাওয়া-থাকা আর চিকিৎসার আনুষঙ্গিক খরচ বহন করে। শুক্রবার রাতে মানুষের সেই ভালোবাসাকে সঙ্গী করেই না ফেরার দেশে চলে যান হাসিনা বেগম। তবে মৃত্যুর আগেও ছেলেমেয়ের পরিচয় প্রকাশ করে যাননি এই মা। গত ১৩ জুলাই ফতুল্লার শাসনগাঁও এলাকার রাস্তার মধ্যে একটি বস্তায় হাসিনা বেগমকে পাওয়া যায়। তাঁর বয়স আনুমানিক ৭০ বছর। ছেলেমেয়েরা বৃদ্ধ মাকে ভরণপোষণ করতে অনীহা প্রকাশ করে। দিতে চায়নি আশ্রয়ও। তারা তাঁকে বস্তায় ভরে ওই স্থানে ফেলে গিয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন হাসিনা বেগম। তখন তিনি সন্তান কিংবা পরিবারের কারো নাম বলতে পারেননি। দিতে পারেননি নির্দিষ্ট ঠিকানাও। পরে হাসিনা বেগমকে উদ্ধার করে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাউছুল আজম। খবর ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই তাঁর সাহায্যে এগিয়ে আসে। পরে গত ১ সেপ্টেম্বর তাঁকে শহরের আয়শা-আলমাস বেসরকারি বৃদ্ধাশ্রমে পুনর্বাসন করা হয়। সেখানেই শুক্রবার তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটে। গুরুতর অসুস্থ হাসিনা বেগমকে প্রথমে শহরের পলি ক্লিনিক ও পরে ঢাকার হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে নেওয়া হয়। শুক্রবার রাত সোয়া ১১টা তাঁর মৃত্যু ঘটে। গতকাল শনিবার সকালে তাঁর লাশ নারায়ণগঞ্জে আনা হয়। দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরতলির গোগনগর কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়। এ সময় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাউছুল আজম, আয়শা-আলমাস বৃদ্ধাশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা আলমাস আলী, জেলা মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) সভাপতি ডা. শাহনেওয়াজ, কিশোর মেলা ক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন, নাজির হোসেন, আজহারুল ইসলাম, মিলন বেপারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। দাফনের পর আবেগ আপ্লুত কণ্ঠে ইউএনও গাউছুল আজম বলেন, নিজ সন্তানের ভালোবাসা না পেলেও বৃদ্ধ মা হাসিনা বেগম আপামর জনসাধারণের যে ভালোবাসা পেয়েছেন, তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। সন্তানরা যেন বৃদ্ধ বয়সে মা-বাবাকে কষ্ট না দেন, এ কামনা করে গাউছুল আলম জানান, যেহেতু বৃদ্ধ মা হাসিনা বেগমের সন্তানদের সন্ধান পাওয়া যায়নি, তাই তাঁর লাশ নারায়ণগঞ্জে দাফন করা হয়েছে। এদিকে উদ্ধারের পর হাসিনা বেগম স্মৃতিবিভ্রমের কারণে ছেলেমেয়েদের নাম বলতে পারেননি, নাকি অভিমান করে সন্তানদের কাছে আর ফিরতে চাননি তা তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রহস্য হয়েই থেকেছে। কারণ উদ্ধারের পর হাসিনা বেগমের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়েছে। তখন তাঁকে তীব্র অপুষ্টি ও বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত বলে হয়েছিল। এর ফলে তাঁর মধ্যে স্মৃতি বিভ্রাটের লক্ষণও দেখা যায়। তবে সন্তান বা অন্য স্বজনদের নাম বলতে না পারার বিষয়টি বোধগম্য ছিল না। অনেকের ধারণা, যে সন্তানরা মাকে বস্তায় ভরে ফেলে দিতে পারে, সেই সন্তানদের পরিচয় প্রকাশ করতে চাননি বলেই তিনি অভিমান করে বিস্মৃতির ভান করেছিলেন। - See more at: Click This Link




বিস্তারিত এখানেঃ
http://www.kalerkantho.com/print-edition/news/2014/12/07/159815
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মে, ২০১৫ রাত ২:৪৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×