মুক্তিযোদ্ধারা দেশের জন্য গৌরব। কিন্তু প্রশ্ন হ্ল দেশের সত্যিকার মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা কতজন? প্রশাসনের ক্ষমতার অপব্যাবহার করে অনেকেই নতুন করে মুক্তিযোদ্ধার খাতায় নাম লেখিয়েছে। আর যারা এই সনদের একবার মালিক হতে পারে, তার নাতী পর্যন্ত সরকারী সুবিধা আর ৪০% নাম্বার পেয়েই পাশ করতে পারে বিসিএস পরীক্ষা। এ জন্যই অনেক অসাধুর টার্গেট থাকে এমন একটা সনদ জোগাড় করা। এর নেই কোন প্রতিকার। কারন এটা এমন একটা সংবেদনশীল ব্যাপার যে সবার এখানে আবেগ কাজ করে।
যাক কথা গুলো যে জন্য বলেছিলাম ,
আমাদের গ্রামে একজন মুক্তিযোদ্ধা(?) যার নাম "আবুল হাশেম" পিতার নামঃ মৃত আব্দুল আলী, আইডি নংঃ 0203030273
জেলাঃ চাঁদপুর
উপজেলাঃ কচুয়া
গ্রাম/মহল্লাঃ চক্রা
ডাকঘরঃ বাজার জগতপুর
যা কিনা মুক্তিযোদ্ধা ওয়েব সাইটে পেলাম http://molwa.gov.bd/fightersearch/index.php?,
কিন্তু গ্রামের কোন লোক বলতে পারবেনা যে তিনি কোন কালে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। তিনি পুর্বে দরিদ্র ছিলেন, এবং পুরোনো ছাতা ঠিক করে সংসার চালাতেন। মুক্তিযোদ্ধার সময় তিনি গ্রামেই ছিলেন, কোন রুপ মুক্তিযোদ্ধার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন না।
তিনি নিরীক্ষর হলেও তার ৬-৭ শিক্ষিত ছেলে চাকরি পাচ্ছিল না। তারাই এ কাজটি ২ বছর আগে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধ পরিষদ এর অসাধু কর্মকর্তাদের কয়েক লাখ টাকা খাইয়ে মুক্তিযোদ্ধার সকল সুবিধা অবৈধ ভাবে নিচ্ছে। অবশ্য কিভাবে সনদ জোগার করেছে আমার সঠিক জানা নেই। বিঃদ্রঃ তারা বর্তমান ক্ষমতাশীল দলের সাথে জড়িত। ২ বছরে এই সার্টিফকেট কাজে লাগিয়ে সবার সরকারি চাকরি হয়ে গেছে। কিন্তু বাহ্যিক ভাবে তারা এখনো প্রচার করছেনা, জানা গেছে তাদের বাবার মৃত্যুর পর প্রচার করবে। কারন তখন কেউ সত্যতা যাচাই করতে পারবেনা।
এই হ্ল অবস্থা।
এরকম বাংলাদেশে কত হাজার আছে কে জানে। এগুলো মনে হতেই খুব খারাপ লাগে। একটা মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফকেট বানিয়ে আনা মানে নাতি পর্যন্ত নো টেনশান। কিন্ত কোন রুপ তদন্ত না করেই এই সার্টিফকেট দেওয়া হচ্ছে। যা কিনা দেশের জন্য লজ্জা কর। দেশের মুক্তিযুদ্ধ কি আজ শুধুই ব্যাবসা?
মন চায় প্রতিবাদ করি। কিন্তু প্রতিবাদের ভাষা খুজে পাচ্ছি না । এটা কি আইনত প্রতিবাদ করার কোন প্রদ্ধতি কারো জানা আছে?
তার সাথে চাই সত্যিকার মুক্তিযোদ্ধারা যেন তাদের অধিকার বঞ্চিত না হয়।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:২৪