আমি আর পতাকার পানে তাকাতে পারি না।
পতাকার লাল বৃত্ত আমার কাছে আর উদীয়মান সূর্য না।
এ আমার তনুর সবুজ শাড়িতে লাগা নিষ্পাপ রক্তের দাগ।
কলঙ্কিত পতাকার পানে আমি আর তাকাতে পারি না।
হায়েনারা ঝাপটে ধরেছে পাতাকাকে
পৎ পৎ পতাকা আর উড়তে পারে না,
কিছু শকুন হেঁচকা টানে পতাকার ফিতেটাকে খুলে দেয়
পতাকা পড়ে যায় ভূমিতে...
কুকুরেরা কামড়ে ধরে পতাকার সতেজ সবুজ।
"বাঁচাও বাঁচাও" বলে কণ্ঠনালীর সবটুকো শক্তির অপচয় করেছে,
পতাকা বলেছে "প্লিজ, ছেড়ে দাও।
তোমরা আমার বাবা হও, তোমরা আমার ভাই হও"।
ওরা ছাড়েনি।
দাঁতে-নখে ছিলে-ছোবলে-খুঁচিয়ে ছিন্নভিন্ন করেছে
পতাকার হৃদয়ে থাকা রক্ত-লাল বৃত্তটাকে।
পাগল পতাকা জানে না- পিশাচের কোন মা নেই, বোন হয় না।
পতিত পতাকার পানে আর তাকাতে পারি না।
দেখি শুধু হিংস্র হায়েনার উল্লাসের ক্ষত চিহ্ন।
হায়েনারা জানে না,
পতাকার পতন হয় না।
পতাকারা মরে না।
পতাকারা ফিরে আসে
বাংলার আকাশে, সবুজ দুর্বাঘাসে।
পতিত পতাকাকে ওড়াতে মৃদু বাতাস
ঝড়ো কালবৈশাখী হয়ে আসে,
ক্ষেতে-মাঠে-রাজপথে, সবখানে।
এই ঝড়ে ঝরে পড়ে জালিমের মসনদ,
ধ্বসে পড়ে সব শেয়াল-শকুন-হায়নার কুৎসিত গুহা।
তনুর সবুজ শাড়িতে রক্তের দাগ নিয়ে আবারও পতাকা উড়ে।
অসহায় আমি আর পতাকার পানে তাকাতে পারি না।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৮