বাংলার আনাচে কানাচে লুলু সম্রাটরা ছড়িয়ে আছে তাদের লুলুপনার মশাল উড়িয়ে। আজ এমন এক লুলুকেই নিয়ে লেখাটা।
কালাম আমাদের গ্রামেরই সূর্যসন্তান, মানে লুল জগতের সূর্য। বাপের যেমন বিস্তর টাকা তেমনই তার লুলামীর ব্যপকতা বলার অপেক্ষা রাখেনা। লুল হিসেবে তার যতই প্রশংসা করিনা কেন আমার কাছে মনে হয়, কমই করতেছি। একসময় ভাবতাম চেহারা সুন্দর হলে লুল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায়, কিন্তু কালাম আমার সেই ধারণা অনেক আগেই ভূল প্রমাণ করে। তার কথা হলো, চেহারা লাগেনা, নিজেকে উপস্থাপন করতে পারলেই হলো, তাইলেই তুমি নারী হৃদয়ে জায়গা করে নিতে পারবা অনায়াসে???
আমাদের কালাম স্কুল বয়স থেকেই প্রেমের ব্যপারে পরিপক্ক(সাধারণত বিখ্যাত লুলরা কচি বয়স থেকেই প্রতিভা দেখাতে থাকে)। বিশ্বাস না হলেও এটাই সত্য যে স্কুলে থাকা অবস্থায় সে পাঁচ জনকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে চারজনের ব্যাপারে সফল (সাকসেস রেট অনেক হাই)। এদের একজনকে আবার আমি কিন্চিৎ লাইক করতাম
যত দিন যায় ততই তার লুলামি বাড়তেই থাকে। কিন্তু অবশেষে তার পিতা বাধ্য হলেন তার বিয়ে দিয়ে দিতে, যা তার লুলামি জগৎকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে
কিন্তু কথায় বলে না, ঢেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভাংগে.......তেমনি লুল বিয়ে করলেও লুল ই থাকে। আমাদের লুল কালাম বিবাহের বছরখানেক পর থেকেই আবার তার লুলামি চালিয়ে যায়। ঘরে সন্তান আসে, একটি ছেলে হয়, তারপর মেয়েও হয়, তারপরও আমাদের কালাম লুলামি ছাড়েনা।
পার্শবর্তী দুই গ্রামে দুই মেয়ের সাথে লুলামী সম্পর্ক শুরু হলো। কিন্তু চোরের যেমন দশদিন তেমনি গৃহস্তেরও কিন্তু একদিন। অবশেষে সেই গ্রামবাসীরা জোর করে কালামের সাথে বিয়ে করিয়ে দেয়। মানুষের এক বউ নিয়াই জীবন তেনা তেনা আর কালামের তো তিন বউ
ঐদিন আমি কইলাম, হিনা রাব্বানিরে দেখছনি, কি কাম করতাছে? আমারে কয়,
"দোস্ত আর দেখাইও না কোনো রাব্বানি আর হিনা,
তিন বউ নিয়া এমনিতেই মুশকিল আমার জিনা"।
পূর্বের লেখার একখান লিন্কু
View this link

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




