বাড়ির পাশে বিঘা দুয়েকের মধ্যে একটা জঙ্গল ছিলো । আম গাছ লিচু গাছ নারকেল গাছ । নাম না জানা লতানো গাছের ঝোপ ঝাড় । পশ্চিম দেয়াল আকড়ে শেকড় সহ পাশাপাশি দুটো কাঠাল গাছ । আমগাছ গুলিতে শামুকখোল সাদা লম্বা ঠোটের কয়েকটা বক দেখেছিলাম বর্ষাকালের এপাশে ওপাশে । ওদের কখনই অতিথি পাখি মনে হতো না । চারপাশে ইটের দেয়াল ছিলো বলে বেশি বৃষ্টিতে ডুবে যাওয়া জঙ্গলটা রাতারগুল হয়ে উঠতো । শীতের ভোরে গাছ গাছালির ফাঁকে কুয়াশায় কত শত রহস্য গল্প লুকানো , সেই রহস্য হাতছানি দিত ।
জঙ্গলের মালিকের ছেলের কঠিন অসুখ । চিকিতসার অর্থ প্রয়োজনে জঙ্গল বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি । আটটি প্লটে ভাগাভাগি হয়েছে জঙ্গল । একজন ক্রেতা বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেছেন । বাকিগুলি বিক্রি হয়ে গেছে । কেউ বিল্ডিং বানাবে কেউ বানাবে না ।
জঙ্গলে কয়েকটা বেজী ছিলো । ভাগ্নের কয়েকটা কবুতর খেয়ে ফেলেছিল বেজীতে । ভাগ্নে সাদাকালো এই প্রাণীর সবচেয়ে বেশি দেখতে পাওয়া একটার নাম দিল কোটি' । বিকেলে ছাদে উঠেই জঙ্গলে ঢিল ছুড়ে কোটি' কোটি 'বলে তাড়া করত ।
জীবনের প্রয়োজনে সবকিছু বদলালো ।
ইদানিং ছাদে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি ।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৩৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




