ভারতের সঙ্গে ঋণ সহায়তা চুক্তি করা হলে এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
শুক্রবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটি সদস্য এমকে আনোয়ার এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘ভারতের একটি ব্যাংক থেকে বিশ্ব ব্যাংকের চেয়ে সাত গুণ বেশি সুদে ঋণ নেওয়ার যে চুক্তি বাংলাদেশ করতে যাচ্ছে তা দেশের জন্য মর্যাদাহানিকর। এ ধরনের চুক্তি হলে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে।’
ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি শনিবার ঢাকা আসছেন। তার উপস্থিতিতেই ভারতের এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি হওয়ার কথা।
প্রতিবেশি এই দেশটির সঙ্গে করা দেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তি বাস্তবায়ন না করে সেগুলোর সর্বশেষ অবস্থা সংসদ ও জনসম্মুখে উপস্থাপন করারও দাবি জানান এমকে আনোয়ার।
ভারতের সঙ্গে বৈরিতা নয় বিএনপি সুসম্পর্ক চায়- এমন মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীন দেশের সরকার কখনও জাতীয় স্বার্থ ও সম্মান বিসর্জন দিয়ে অন্য দেশের সঙ্গে দাসত্ব চুক্তি করতে পারে না। তাই সরকারকে এ ধরনের চুক্তি করা থেকে বিরত থাকার আহবান জানাই।’
‘প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গিয়ে বাংলাদেশের যা যা দেওয়া যায় সব উজাড় করে দিয়ে এসেছেন’- অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তিনি বাংলাদেশ ভূ-খণ্ডে করিডোর, বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে এসেছেন। কিন্তু ফারাক্কা, টিপাইমুখ বাঁধ, তিন বিঘা করিডোর, দণি তালপট্টি, সমুদ্রসীমা, তিস্তা বাঁধ, পানির ন্যায্য হিস্যা, সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশি হত্যা, বাণিজ্য বৈষম্য, ভারতে বাংলাদেশের স্যাটেলাইট চ্যানেল দেখার অনুমতিসহ অমীমাংসিত ইস্যুগুলোতে তিনি কিছুই করেননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের আকাশসীমায় ভারতের বিমান, বাংলাদেশস্থ ভারতীয় দূতাবাসে তাদের সৈন্য, বাংলাদেশের অনুমতি না নিয়ে বিমানে স্কাই মার্শাল ও নিরাপত্তা কর্মীরা আসছেন। ভারতের সঙ্গে করা চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারের অতি উৎসাহ দেশবাসীকে শঙ্কিত করে তুলেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস-চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান।
ভারতের সঙ্গে ঋণচুক্তি হলে আন্দোলন: বিএনপি
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
১০টি মন্তব্য ৪টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।