নৈশভোজ করে এলাম-
বেশ হলো!
:ও, তাই বলো!
আহ! এখনও হাতে সুগন্ধ লেগে।
:বাহ! কী আইটেম পড়লো পেটে?
গ্রিল উইথ সিসামি-
কালারটা গাঢ় বাদামী।
:আর কী?
আরও ছিল, বুফে তো তাই...
মসলায় ভারী-
দেশী মুরগির ঠ্যাং ফ্রাই!
:দেশী মুরগি?! ছিঁড়লে ক্যামনে?
খুব easy, দাঁতে টানলে!
পুড়ে প্রায় কয়লা যে-
বেশ মজা ছিল খেতে!
:হুম, ...শুনেছি, একটি ফ্লোরে-
মাথার কঙ্কালও ছিল পড়ে!
কতসময় ধরেই না পুড়েছে ওটা।
কঙ্কাল! কীসের কথা বলছো ও মা?!
:শোননি খবর? নিশ্চিন্তে কয়লা হলো-
নিশ্চিন্তপুরের মানুষগুলো!
ওরাও যেন পুড়েছে হলোক্যস্টে-
হিটলারের নাৎসিরা পুড়িয়েছিল যেভাবে।
কর্তারা পেছায়নি সহমত পোষণে-
Sad, tragic death!
মুঠোফোনের জড়ানো আলাপনে
শেষ সময়টারও হলো ইনক্রিমেন্ট!
সব ফ্রাই তো হলো, মানুষও ফ্রাই হলো
আরও সাথে ফ্রাই হলো ভবিষ্যৎ কত,
অন্তঃসত্ত্বার গর্ভে আট মাসের প্রাণও
মৃত্যুর কুঠুরিতে হলো নিহত।
কী হবে এই দেশের! নেই কি কেউ স্বার্থ ত্যাগে?
বলি হবে অনেক কিছু, আরও একটু জ্বলুক আগে!
এখন আমরা বরং খাই-
কবিতার ফ্রাই।
দিয়েছি এর স্তবকে স্তবকে আগুন ধরিয়ে
একটু পরেই জ্বলে যাবে,
পুড়ে কয়লা হবে
নতুবা ছাই রবে ছড়িয়ে ।
আমি শোকাহত নই। এতো শোকের মাঝে আমার শোক করে লাভ নেই।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১১