কিছু দিন আগে মুনির হাসান স্যার এর "একটি আইটি নগরীর সন্ধানে" লিখা পরলাম; পড়ে খুব ভাল লাগল। এ ধরনের একটি উদ্যোগের কথা জেনে খুশি হলাম। রাজশাহীতে যে ধরনের সার্ভে করা হয়েছে এ ধরনের সার্ভে বাংলাদেশের সব বিভাগীয় শহরে হওয়া উচিত। এজন্য প্রয়োজন স্থানীয় জনগনের আগ্রহ এবং অংশগ্রহন। সব বিভাগীয় শহরে সার্ভে করার সুবিধা হল এতে খুব সহজেই আইটি নগরীর জন্য কোন শহরের কি সুবিধা তা জানা যাবে।
একই ধরনের সার্ভে আমরা সিলেট এর জন্য করার কথা ভাবছি। প্রাথমিক ভাবে আমরা কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছি। সার্ভের কাজ পুরুপুরি ভাবে ফেব্রুয়ারি হতে শুরু হবে। এরপর মার্চ মাসের শেষের দিকে শাবিপ্রবিতে সার্ভের ডাটা এবং সবার অংশগ্রহনে সেমিনার আয়োজন করা হবে। সেই সেমিনার হতে আমরা আশা করছি আমাদের পরবর্তীতে কি করতে হবে সে বিষয়ে একটা ধারনা পাওয়া যাবে।
প্রাথমিক ভাবে আমারা যেসব তথ্য পেয়েছি তার ভিতর কিছু উৎসাহ জনক
তথ্য রয়েছে। এর ভিতর অন্যতম হল বিনিয়োগ।
শুরুতেই ঢাকা হতে কেউ এসে বিভাগীয় শহরের আইটি জোন এ ইনভেস্ট করতে চাইবেনা। এদিক হতে সিলেটের জন্য প্লাস পয়েন্ট হল তার নিজস্ব বিনিয়গকারীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, সিলেটের ব্যাংকগুলোতে প্রবাসীদের ১৪ হাজার কোটি টাকা অলস পড়ে আছে। এ টাকা গুলোকে যদি আইটি খাতে নিয়ে আসা যায় তবে তা ভবিষৎ বাংলাদেশ নির্মাণে গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়া আছে লন্ডন প্রবাসী
সিলেটের ব্যবসায়ীরা। যারা কিনা কেবল মাত্র সিলেট এ শিল্প স্হাপন করা হলে তাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। তাই আমার মনে হয় সিলেট এই একটি দিকে অন্য যে কোন বিভাগীয় শহর থেকে এগিয়ে, ঢাকা এবং চিটাগং কে বাদ দিয়ে বলছি।
লন্ডন প্রবাসীরা যখন ইনভেস্ট করবে তখন একই সাথে যদি লন্ডনে ব্রাঞ্চ অফিস খুলা হয় তবে সহজেই ইউরোপের কাজ গুলো সরাসরি পাওয়া যাবে। আইটি শিল্প বিকাশের জন্য যা সহায়ক হবে।
এখন কর্মপরিকল্পনাঃ সার্ভের পর আমরা সিলিটে সেমিনার করার কথা ভাবছি, এরপর সিলেট চেম্বারের সহযোগিতায় লন্ডনে অনুরুপ সেমিনার করা হবে প্রবাসী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে।
দেখা যাক কতটা কি করা যায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৪৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




