আজ রাতে খাওয়ার জন্য নগর মহলে গিয়েছিলাম। শুনেছি ওদের করা ভুনা খিচুরি খেতে দারুন। তাই গিয়েছিলাম পরখ করতে। এককথায় যদি বলি তবে বলতে হয় খেয়ে আমি মুগ্ধ । রান্না করা যে একটা শিল্প, তা আজ আবার নতুন করে জানলাম। মাহফিল রেস্তোরার খিচুরিটাও বেশ, যদিও ওদের বাবু্র্চ্চি পরিবর্তন হওয়ার পর পুরনো সে স্বাদ আর পাইনি। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে নগর মহলের খিচুরি আলাদা কিছু।
আমি খুব অবাক হয়েছি নগর মহলের নাম এত পরে জানাতে। গত চার বছরে কি খেতে হলে কোন রেস্তোরায় যেতে হবে তার ঊপর বেশ ভাল ধারনা তৈরি হয়েছে।
নানের জন্য সবসময়ের পছন্দ হল আল পাইন। ওদের ফালুদাটাও বেশ। এমন অনেক হয়েছে; শুধু ফালুদা খাওয়ার জন্যই আল পাইনএ গিয়েছি। যদিও শেষ যে বার ওদের ওখানে ফালুদা খেয়েছি সে অভিজ্ঞতা মোটেও সুখকর নয়। কাবাবের সাথে দেয়া ওদের কাসুন্দির ঝাঝ টা মাত্রারিক্ত। অবশ্য আমার তা ভালই লাগে।
ইষ্টিকুটুম এর কড়াই আইটেম টা মজার। অন্য কোথাওর কড়াই এত ভাল লাগেনি। এমন কি উন্দালের ও নয়। হালিম এর জন্য ও তাই।
উন্দাল প্রিয় কারন তার বৈচিত্রের জন্য। আলুকা পরটার সাথে পালক পনির খেতে অসাধারন। আর উন্দাল স্পেশাল বিরিয়ানি সত্যি স্পেশাল। যারা খায়নি তাদের বলে বুঝানো সম্ভব নয়।
আল কাওছার এর হাক ডাক তার কাবাবের জন্য। যদিও প্রথম বার খেয়ে হতাশ হয়ে ছিলাম। কারন কাবাবে লবন বেশি ছিল। পরে গিয়ে সে অতৃপ্তি দূ্র করেছিলাম।
কাচ্চির জন্য মারজান । অন্য কোথাওর কাচ্চি এত ভাল লাগেনি।
সিলেটের ফখরুদ্দিন ব্রাঞ্চ এ বিরিয়ানি খেতে গিয়ে হতাশ হয়েছি। ঢাকা ব্রাঞ্চ এর মানের আশে পাশে ও নয়। এই দুই জায়গায় যারা খেয়েছে পার্থক্য তারা সহজেই আচ করতে পারে। স্পাইসি তে খেতে গিয়েও ভাল লাগেনি।
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় আখনি খেয়েছি। তবে রোজার সময় করা আশিয়ানার আখনি বিশেষ কিছু। ওদের পরিবেশন টাও চমৎকার।
বিভিন্ন ধরনের ভর্তার জন্য পারফেক্ট জায়গা হল পাচ ভাই রেস্তোরা । ওদের মাছের ডিম ভুনা, কালা ভুনা, কোয়েল ও কবুতর ভুনাও মজার। তবে ওদের মাছ রান্না আমকে হতাশ করেছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




