নলিনী কান্ত বাবুর বাড়ীতে আজ যেন পিঠে খাওয়ার ধুম পড়িয়া গিয়েছে। দুধে ভেজানো পিঠে থেকে শুরু করিয়া আরও কত রকন পিঠে যে তাহার গিন্নী তৈরী করিয়াছেন, তাহা গুনিবার অপেক্ষা রাখেনা।
প্রায় দেড় সন বাদে তাহার মেয়ে জামাই সহ প্রথম বারের মত শশুর বাড়ীর আত্মীয়-স্বজন আসিয়াছে। তাহাদের ভাল-মন্দ আপ্যায়ন না করিলে যে মেয়ের মুখ রক্ষা হইবে না। তাই এতো সব আয়োজন।
সকলেই পেট পুরিয়া সেই সকল পিঠে ভক্ষন করিতেছেন। আর বারেবারে সকলেই প্রশংসায় পন্চমুখ হইয়া যাইতেছে। তাহারা এতো সুস্বাদু পিঠে কোন জন্মে খায়নি।
নলিনী কান্ত বাবুর গিন্নী তাহার মেয়ের শাশুড়ীকে পিঠে তুলিয়া দিতে গেলে তিনি বলিলেন-
"আমাকে তুলিয়া দিতে হবেনা দিদি। আমি নিজেই তুলিয়া নিতে পারিব। আমিতো এ বাড়ীকে নিজের বাড়ীই মনে করিতেছি।"
সত্যিই তিনি নিজের বাড়ী মনে করিয়া পাত্র হইতে তুলিয়া লইয়া খাইতে শুরু করিলেন।
কিছুক্ষণ পরেই কোথা হইতে যেন বমির শব্দ শোনা গেল। সকলেই খাওয়া থামিয়া দেখিল, নলিনী কান্ত বাবুর মেয়ের শাশুড়ীর হাতে একটি ব্যাঙ্গ-এর পা ঝুলছে এবং তিনিই বমির চেষ্টা করিতেছেন।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:৩২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





