আমার অবলোকন করা দূরের পাদলিপি যখন মুছে যেতে থাকলে
ত্রস্ততায় যখন অত্যুগ্র হতে থাকলে আমার বিসর্জনের পাদবাক্যে
তোমরা কারা হে , প্রাচীন তম গান বেঁকে বসলে নিল্পিপ্ততায়
জোছনা আসে চাঁদের হাট বসে দূরে
অপেক্ষারা বিম্বিসায় ভুগে ভুগে নিঃশেষ
ছান্দিক অধঃপতনে নেমে এসো হে জোছনা বাবাই
পড়ন্ত বিকেলের বিধৃত উপকথারা নিশ্চিহ্ণ হলে
ইতিকথায় আমি আছি জেনো রে বাবাইটা ,
আর , তোমার শতাব্দীর শোকতাপ , আহাজারি বিদগ্ধ চিত্তেরা পাখা মেলে দিলে
আম্মু ফুত্কার দিলেই ঝড়ো ঝঞ্ঝা হয়ে গেলো উন্মাতাল ব্যথারা
তারপর , তারপর - বাবাইটা এসো, এসো ঠিক এখানে
আঁচল তলে , বহুদিনের পোড়া আবদার গুলো মলিন হলে
স্বর্ণালী উদগামীতা নির্বাসনে চলে গেলে নিরাকার হলো
এইসব প্রান্তিক যাপনকাল, বিরহের বিষণ্ন প্রলাপ
অধরার মাঝে দেখো তো বাবাই, '' অত্যুগ্র মিছিলের শোর শোনা যায় কি ? ''
দেখো , চির হরিত্ বনের অমরতা নয়
বাসন্তী উন্মনা নয়, নয় অচিন গল্প কথা -
গল্প কথক খুব ভোরেই মৃত্যু পথে উন্মোখ হয়ে
ঘর ছেড়ে চলে গিয়েছে, অধরার শোক স্তিমিত
হয়ে গেলো, পুনরায় যদিও বিরহে নির্বাসনে এলো
আমি পাশেই আছি, বাবাই, ছিলেম আজন্ম অবদি ।
লাশের সমাকীর্ণ শীতের মৌসুমে
যান্ত্রিক লাবণ্যে গীতিকাব্যে পদ্যে অসম্পূর্ণ
আত্নগত বাক্যলিপির জমাট ক্ষোভ জমে গিয়েছে ইদানিং
আমি আর আমার বাবাই
আজন্ম অথবা আমৃত্যু
অস্পৃহ্য যন্ত্রনায় কাঁতরিয়ে পাশাপাশিই ছিলেম ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




