অতঃপর ভোর হয় দূরবর্তী কোন এক রাজলক্ষীর দুয়ার
ফেড়ে ও কারা চলে আসে ধীর স্থির উন্মনার জোয়ার
পথে পথে সম্বল রেখে দেখে যায় চিন্তাহীন আগলে রাখা
কষ্টরা এখন পাখা তুলতে জানে চিন্তার আকাশে মেঘের
হাতছানি
স্বপ্নাবিষ্ট
ময়ুরী হে ,
এই মেঘ, বাদলা দিনের ঘোর
জলের দেশ, মুহ্যমান আর্বিভাব
দিগন্তে রৌদ্দুর, দূর শুকতারা
দেখি একী আজ ! নির্মেঘ দিনে
লুকোচুরি আলো ছায়া পরিশেষ
শেষ পরিশেষ গান জয়গান -
অদৃষ্টের ফের আলোক নাচন
দূরে কোকিলের গান বসন্ত বাদ্যন
শুনো হে কীর্তন জয়গান নির্মেঘ দিনে
পড়ন্ত বেলায় রৌদ্দুর হাওয়া
আহা, উত্তাপ ! ফের মরীচিকা ।
জলে জলচর স্বপ্নাচর দিগন্তে
দেখো, আলয় হেনে কে ও দূরে
ইত্যকার কাব্য অবসান নাহি হে ।
ভোর দেখো অতঃপর ,স্বপ্ন লোনাজল
পাখির গান ,গ্রীষ্মে কোকিলের হাতছানি
বর্ষায় কোকিলের গান, আঁশটে সুরভী
মাহেন্দ্র ভৈরবী দূর অজয় বিথীকা পরে
এহেন সমাপ্তি রচনায় হে ময়ুরী এসো
দিগন্ত যেথায় মেলায় ভার অস্ফুট ক্ষণ
তার;
অশেষ সমাপ্তিতে দীর্ঘ অবশেষ রেখো
ময়ুরী দেখো ,মৃত্যু বারবার ফিরে চলে
দূর আলোকমালায় ঘুরে ফিরে এসে ঠাঁই
রাস্তার পোষ্টার মনমুগ্ধ চিত্রাভাসে শেষ
হলে অবশেষ কোকিলের গান
দূরাভাসে চলে আসা অপাঙ্ক্তেয়
কিঞ্চিত বেড়াজালে বাবাই চেয়ে
বলে, অদৃষ্টের পরিহাস তাই হে ময়ুরী
এসো ,চলে এসো দীর্ঘ সমাপ্তির পদ চেয়ে
আবির রাঙ্গা দীর্ঘন্ত নির্মেঘ জেনে এসো
লোনাজল বিস্তীর্ণ হলে অক্ষয় মৃত্যুরাজে
স্বপ্ন এনো সাথে শালিকের ঝাঁক থেকে
দুটি শালিকে রেখে যেও চড়ুই এর ঝাঁকে
প্রত্যেহ ভোরের আলোয় আমার নিকুঞ্জগানে
সাথী হবে একাকী রোদন শেষ পরিশেষ
অস্তিত্বের অবশেষ ধীর লয়ে বিরাজে
দূর কুসুম চন্দ্র আহ্বানে জোছনার পর
স্বর্গীয় বাবাই ফিরে চায় ,
রাতভর রক্ষকুল বিধি নাই
অসম স্রোত দীগন্ত সীমায়
আলোয় ছায়া ছায়া আলোয়
ভারাক্রান্ত এই আমি আজো
পথের সমাপ্তি টেনে চেয়ে রই
দূর ছায়া ছায়া রৌদ্দুর ছটা
নির্মেঘ বসন্ত জুড়ে স্বপ্ন
স্বপ্ন আনাগোনা কানাগলি ছেয়ে থেকে
অস্ফুট ডাক ম্রিয়মান কোকিল কণ্ঠে
বিকার গ্রস্ত হাতছানি
এখন ,অতঃপর চলে যাও ।
এবং দেখো ছাদের কার্নিশ দিয়ে
খেলা করে আমার বাবাই, মগ্নতা
উপুড় হয়ে থাকা নির্মেঘ বসন্ত
জলসায় বসন্ত নেয়ে এসেছে তাই
বাবাই হাত ধরে হাঁটে সাথে সাথে
বাঁশঝাড়ের কোণে চন্দ্রমুখী তটে
বিভত্স্য উত্তাপ !
দগ্ধ হওয়া দিনে
তুমি আমি এবং চেয়ে থাকা বাবাই
এসো দাড়াই ব্যালকোনিতে এসে
দূরের রাজ্য রাজাময় করে গড়ে
স্বপ্ন উন্মোখ করে পাড়িয়ে দেই
ঘুম,
ঘুম পিয়াসী বাবাই আমার ।
এবার দাড়িয়ে যাই চিন্তাক্লিষ্ট
অঘোম র্নিঘুম বিছানায় শর্তহীন
দেখে যাই ঘুমন্ত বাবাই মুগ্ধতা
ছেয়ে রেখে জগত ভোলা বাবাই
আমার, ঘুমো এখন, ঘুমো এখন ।
অতঃপর ভোর হয় শ্রাবন বেলা শেষে
গুটি গুটি পায়ে এসে দাড়ায় বাবাই
প্রশ্নাকুল চোখে উদ্বেগহীন উদভ্রান্ত তাই
চেয়ে চেয়ে দেখে আম্মুটা এখনো জেগে
তাকিয়ে দূর কোন আলোকমালায় দূরে
অসমাপ্ত থাকে পৌঢ় আভাষে , ' আম্মু '
এরপর ছুটে যায় দূর নিগুড় অন্বেষে
বলে যায়, ভালো থেকো, ভালো থেকো ;
অতঃপর চুপচাপ ।
আমি ফিরে আসি
ব্যালকোনিতে -
' ইস্ পাজী বাবাই আমার ,যাও, ফিরে এসো কিন্তু ;
যেমনটা আমি চাই, ঠিক তেমন করে, আলোকমালায় । '
অতঃপর , কোন এক ভোরে
আমার পাজী বাবাই ফিরে
ঝিক মিক বসন্তের দিনে
নিয়ে আসে বুক ভরা আলিঙ্গন শেষে আমার বাবাই
তাই, আমার কোল জুড়ে তখন -
নক্ষত্রের বসবাস
চাঁদের হাতছানি
বসন্ত ভৌরবী,
নির্মেঘ দিগন্ত
একূল ওকূল
চাঁদের হাট ;
পাজী বাবাই আমার ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




