নাহ্ আতঙ্কিত অবচেতন মন থেকে। আরে না শঙ্কিত সে অকস্র ভ্রমরের দংশনে। হয়েছে কি? হয়নি কথাটা হবে এমন-জলপ্রপাত আর ঝর্ণা যেমন আপন বেগে চলে তার প্রথমা দিয়ে, মানে তার আপন বেগে চলতে বারি প্রয়োজন,
তেমনি এই পৃথিবীর সকল মনুষদেরও নিজস্ব প্রথমার প্রয়োজন। কিন্তু ঝর্ণার গতি পথ অবিরাম থেকে নিথর হয়ে যায় এক পর্যায়ে। হ্যাঁ বলুন তো এর জন্য কে দায়ী ? সৃষ্টিকর্তা না তার প্রেরিত মানুষ। আর মনুষের তৈরী গতিময় পথের পাথেয় হয় নানা উৎস। কিন্তু উৎস কি সব সময় সংবরণ হতে দেয় সকল চাহিদাকে ! নাহ্ আমরা সকলেই চলে যাবো , কিন্তু মায়ায় ঘেরা পৃথিবীর চারদিকের অদৃশ্য চাহনি পেতে কার না মনে চায় ? আসলে সবাইতো সকল কিছুর প্রতিবাদ; নাহ্ সকল কিছুর অক্ষমতা। হ্যাঁ সকল কিছুর চাহিদা পূরণ পেতে বা দিতে সক্ষম হয় না। আমি কি সবই তুলে নেবো এই ধরনী থেকে ? সকলেই যে শুধু মমতার বাধনে বন্ধুন করে বিনি মৃত্যের মালায় আবদ্ব করতে চায় মোরে। যাবার সময় হয়ে এসেছে গো, এই রজনী যেন আর না কাটে, এই জ্যোৎস্না যেন অমাবস্যায় ডুবন্ত থাকে, ওই চাঁদ যেন লজ্জা পায়, আর আমি সকলকেই আবদ্ধ করে হবো ওদের মতো । যাত্রা শুধু করবো অদৃশ্যে।
কিন্তু পথে হলে দেরী কি করবো! স্রষ্টা কি জন্ম লগ্ন থেকেই আমায় প্রত্যক্ষ করছেন ? নাহ্ অনেক হয়েছে একটা ছেড়া কাঁথা আর এক জোড়া কলম, আর সাদা কাফন হলেই আমার চলবে। আমার প্রশ্ন গুলো স্রষ্টাকে লিখে দেব ।আর এর সাজা হিসেবে আগত কালের জন্য প্রস্তুতি নেব।
খোদা আমি যে সদাশয় লাজুক, একটা কিছু কি অনেক বেশী হবে আমার চাওয়া। নাহ্ অনেক দিয়েছেন, এবার হয়তো দেয়ার পালা। হায়রে! হিসেব তো মিলছে না, স্রষ্টা জীবনের দরকষাকষি কি আমারে মানায়? যখন ইচ্ছে উঠিয়ে নিন ত্রিভূন থেকে, আমি প্রস্তুত। বলবো আর মাত্র কয়েকটি মুহূত। কেন জানেন? বলবো আমাকে হৃদয়ের দংশন থেকে মুক্তি দিয়ে তবেই তুলে নেন এই মায়ার জগত থেকে।
কি দেবেন?
এই তো মাত্র একটাই চাওয়া ?
দেবেন কি?
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:০৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





